আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (89 points)
১. কেও যদি লুকিয়ে কাবিন ছাড়া বিয়ে করে  এবং নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দেয়, তাছাড়া  বিয়ের পর করা বিভিন্ন সরকারি কাগজ পত্রে ও পাসপোর্টে নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দেয় তবে কি তার বিয়ের কোনো সমস্যা হবে?

২. নতুন একটি সরকারি চাকরীর আবেদনে সে যদি নিজেকে সিংগেল পরিচয় দিয়ে আবেদন করে তবে কি বিয়ের সমস্যা হবে?

৩. আমি ইদনিং পেশাবের অনেক পরেও আমার লিংগে অতি অল্প পানি দেকা যায়, এর পরে থেকে পেশাবের সময় আমি বাথরুমে প্রথমে কিছু সময় বসি , তার পরে দাড়াই , কিছু সময় উটা বসা করি, লিংগে ও চাপাচাপি করি, হাটার সুবিধা না থাকয় পা অনেক বার(৪০+) উঠা নামা করি , তার পরে পরিষ্কার হই , দেখিযে কোনো সমস্যা না্ই সব ঠিক আছে , তার পর কিছূ সময় পরপর দেকি যে কোনো কিছূ বের হলো কি না, কখনো কোনো আলামত পাই না,কিন্তু কখনো বার  বার চ্যাকের  অনেক পরে চ্যাক করে দেখি খূবই হালকা একফোটা পানি বের হচ্ছে , কিন্তু তা না দেখলে বুঝা যায় না , এখন আমার কি করনীয় , রাস্তাঘাটে এভাবে কিছু সময় পরপর চ্যাক করা নিয়ে সমস্যাতেই আছি /

৪. সেদিন একই ভাবে চ্যাক করে  ফজর নামাজ পরোর পরে দেখি  লিংগের আগায় পানি না থাকলেও কিছু ভিতরে পানির খুবেই সামান্য আলামত দেখা যাচ্ছে . যা লিংগের বাইরে আসে নি , আমি কোনো ফোটা ও দেখি নি । তারপর সেখানে টিস্যু ধরায় এটি সামান্য ভিজে… এই নামাজ কি হয়েছে ?  না  কি আবার আদায় করবো>>?>?

৫. আমার বউ এর বাসা আর আমার বাসা দুই দিকে, রাস্তায় হাটার পরে বাসার কাছাকিাছি গেলে প্রায়ই বলে , এখন তোমার রাস্তা আলাদা আমার আলাদা/ এখন দুজন দুই দিকে চলে যাবো/এখন দুজনের দুজনের পথে , মানে এই টাইপের কথা বলে , তার এরুপ বলায় কোনো সমস্যা হবে না তো?(হুবুহু মনে পরছে না তবে কথাগুলো খানিক এমন ই )

৬. মানিব্যগে প্রসাব লেগে গেছে , এটা কিভাবে পাক করবো?

৭. আমি একজনকে  পড়াই যার বাবা বীমা কোম্পানিতে চাকরী করেন, উনার বউ কাপড়ের ব্যবসা করেন, দোকান আছে ।  এই মাসে ২০ দিন পড়ানোর পরে তার পরীক্ষা শেষ হবে, উনি যদি ১০ দিন বাাকি থাকার পরে ও যদি আমাকে ফুল মাসের টাকা দেন তবে কি তা আমি নিতে পারবো? উল্লেক্য আমি টাকার কথা উনার বউ এর সাথেই বলি আর উনিই ুউনার হাত দিয়েই টাকা নেই বা উনার মেয়েকে দিয়ে দেন , তাছাড়া আমার নিসাব পরিমান সম্পদ নেই এই অতিরিক্ত টাকা আমি নিতে পারবো?

৮. কেও যদি নিজেকে , উপজাতি তথা, চাকমা,মারমা,,ম্রো,ইত্যাদি বলে মজা করে পরিচয় দেয় , এতে কি কাফের হয়ে যাবে?

৯. ‘এই কাজ করলে তুমি ছাড়া  ‘  এরকম অসম্পূর্ণ বাক্যে কেও কোনো তালা* এর শর্ত দিলে তা কি শর্ত বলে গন্য হবে? নাকি বাক্য দিয়ে কি বলা হয়েচ্ছ শুনে তো কোও পরিষ্কার হবে না ও কোনো পরিষ্কার অর্থ পাওয়া যায় না বলে শর্ত হবে না

1 Answer

0 votes
by (679,000 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০৩)
https://ifatwa.info/31852 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
হাদীস শরিফে এসেছে,

عَنْ عِيسَى بْنِ يَزْدَادَ الْيَمَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

ঈসা ইবন ইয়াযদাদ আলইয়ামানী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ পেশাব করে, তখন সে যেন তার লজ্জাস্থানকে তিনবার ঝেড়ে নেয় বা পবিত্র করে নেয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩২৬)
 
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ الْحَكَمِ، أَوِ ابْنِ الْحَكَمِ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَنَضَحَ فَرْجَهُ .

حكم : صحيح

নাসর ইবনুল মুহাজির ..... হাকাম বা ইবনু হাকাম তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পেশাবান্তে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করেন এবং তাঁর লজ্জাস্থানে পানি ছিটান (অর্থাৎ লজ্জাস্থান হালকাভাবে ধৌত করার পর উযূ করেন)।
(আবু দাউদ ১৬৮)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি কয়েকবার নিংড়ানোর পর টিস্যু পেপার ব্যবহার করে কিছুক্ষন হাটাহাটি করবেন।
এর পর ভালোভাবে পানি ঢেলে দিবেন।
এতে কাজ না হলে চিকিৎসা করাবেন।
,
আপাতত নামাজের আগ দিয়ে ইস্তেঞ্জা না করাই আপনার পবিত্রতার জন্য উচিত হবে।
নামাজের পর ইস্তেঞ্জা করবেন,নামাজের আগে কাপড়ে পেশাব লেগে যাওয়া স্থান ধুয়ে পাক করে নিবেন অথবা নামাজের জন্য আলাদা কাপড় ব্যবহার করবেন।     
সেই কাপড়টিকে শুধুমাত্র নামাজের সময়ে ব্যবহার করবেন।       

(০৪)
উক্ত নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় আদায় করতে হবেনা।

(০৬)
উক্ত মানিব্যাগ ধুয়ে শুকাতে হবে,পানি নিংড়ানো বন্ধ হয়ে গেলে ২য় বার সেই মানিব্যাগ ধুয়ে শুকাতে হবে,পানি নিংড়ানো বন্ধ হয়ে গেলে, ৩য় বার সেই মানিব্যাগ ধুয়ে শুকাতে হবে,পানি নিংড়ানো বন্ধ হয়ে গেলে সেই মানি ব্যাগ ব্যবহার করতে পারবেন।

(০৭)
এই অতিরিক্ত টাকা আপনি নিতে পারবেন।

(১.২.৫.৮.৯)
এগুলো ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্ন।

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...