ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু দেয়া আপনার উপর আবশ্যক ছিলো।
সেজদায়ে সাহু যেহেতু আপনি দেননি,তাই উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করা আপনার উপর ওয়াজিব।
(০২)
শরীয়তের বিধান মতে নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পরিমান বসা ফরজ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الْحُرِّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُخَيْمِرَةَ، قَالَ أَخَذَ عَلْقَمَةُ بِيَدِي فَحَدَّثَنِي أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ أَخَذَ بِيَدِهِ وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ بِيَدِ عَبْدِ اللَّهِ فَعَلَّمَهُ التَّشَهُّدَ فِي الصَّلاَةِ فَذَكَرَ مِثْلَ دُعَاءِ حَدِيثِ الأَعْمَشِ " إِذَا قُلْتَ هَذَا أَوْ قَضَيْتَ هَذَا فَقَدْ قَضَيْتَ صَلاَتَكَ إِنْ شِئْتَ أَنْ تَقُومَ فَقُمْ وَإِنْ شِئْتَ أَنْ تَقْعُدَ فَاقْعُدْ " .
আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ নুফায়েলী, যুহায়ের, তিনি হাসান ইবনুল হুর, তিনি কাসিম ইবন্ মুখায়মারা হতে এই হাদীছটি বর্ণনা করছেন। তিনি বলেন, একদা আলকামা (রহঃ) আমার হস্ত ধারণ করে বলেন, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) একদা আমার হাত ধরে বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম তাঁকে (আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ) নামাযের মধ্যে তাশাহুহুদ পাঠের পদ্ধতি শিক্ষা দেন। অতঃপর তিনি আ’মাশের উপরোক্ত হাদীছের মধ্যে উল্লিখিত দু’আটি শিক্ষা দেন। (৯৬৮ নং হাদীস দ্রষ্টব্য)
অতঃপর তিনি বলেনঃ যখন তুমি এই দু’আ (দু’আ মাছুরা) পাঠ করবে, তখন তোমার নামায সমাপ্ত হবে। এ সময় তুমি ইচ্ছা করলে যাওয়ার জন্য দন্ডায়মান হতে পার বা বসেও থাকতে পার।
(আবু দাউদ ৯৭০)
নামাযের শেষ বৈঠকে কেউ না বসে দাড়িয়ে গেলে তখন ঐ ব্যক্তি আবার বসে যাবে, এবং তাশাহুদ দুরুদ ইত্যাদি পড়ে তারপর শেষে সাহু সিজদা দিয়ে নামাযকে সমাপ্ত করবে।
নামাজের শেষ বৈঠকে যদি কেউ তাশাহুদ পরিমাণ কাল বসার পর ভুলক্রমে দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে সুন্নাহ অনুসারে তাকে যেটা করতে হবে- সে সাথে সাথে বসে পড়বে এবং সাহু সিজদা দিয়ে যথারীতি সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবে। যদি সে দাঁড়িয়েই সালাম ফিরিয়ে নেয় তবু তার নামাজ হয়ে যাবে। তবে যদি ওয়াক্ত অবশিষ্ট থাকে তাহলে নামাজ পুনরায় পড়ে নিতে হবে।
(রদ্দুল মুহতার, ২/৮৭)
অতিরিক্ত রাকাতের সিজদা না করা পর্যন্ত স্মরণ হওয়ামাত্র বৈঠকে ফিরে আসবে এবং সাহু সিজদার মাধ্যমে নামায সম্পন্ন করবে।
কিন্তু অতিরিক্ত রাকাতের সিজদা করে ফেললে নামাযটি আর ফরয থাকবে না।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত নামাজে আপনি যদি ৪র্থ রাকাতের বৈঠকে তাশাহুদ পরিমাণ বসার পর ভুলক্রমে দাঁড়িয়ে গিয়ে এইভাবে ৬ রাকাত আদায় করে থাকেন,তাহলে আপনার চার রাকাত ফরজ হবে,আর বাকি দুই রাকাত নফল বলে গন্য হবে।
আর যদি আপনি ৪র্থ রাকাতের বৈঠকে না বসেই ভুলক্রমে দাঁড়িয়ে গিয়ে এইভাবে ৬ রাকাত আদায় করে থাকেন,তাহলে আপনার ফরজ নামাজ বাতিল বলে গন্য হবে।
পুনরায় আপনাকে উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।
(০৩)
হ্যাঁ নামাজ হবে।
(০৪)
হ্যাঁ আপনার রোযা হয়েছে,অযুও হয়েছে।
(০৫)
হজ্জ ফরজ হয়ে থাকলে হজ্জে যেতে হবে।
(০৬)
আপনার নামাজ হয়ে যাবে।