ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
মিথ্যা কথা বলা শরীয়ত অনুমোদিত নয়।
নিঃসন্দেহে মিথ্যা বলা হারাম।
শরিয়তে সত্যকে সর্বত্রই উৎসাহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সত্য মুক্তি দেয়, মিথ্যা ধ্বংস আনে।
যে কোনো পরিস্থিতিতে সত্য বলাই শরিয়তের মৌল দর্শনের দাবি।
পবিত্র কুরআন শরিফে এসেছে
لَّعْنَتَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ [٣:٦١
তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত করি যারা মিথ্যাবাদী। {সূর আলেইমরান-৬১}
হাদিস শরিফে এসেছে,
সাফওয়ান ইবন সুলাইম বলেন,
قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ ﷺ : أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ جَبَانًا ؟ فَقَالَ: ( نَعَمْ ) ، فَقِيلَ لَهُ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ بَخِيلًا؟ فَقَالَ: ( نَعَمْ ) ، فَقِيلَ لَهُ: أَيَكُونُ الْمُؤْمِنُ كَذَّابًا ؟ فَقَالَ: ( لَا )
রসুলুল্লাহ ﷺ -কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি কাপুরুষ হতে পারে? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি কৃপণ হতে পারে। তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞেস করা হয়েছে, মুমিন কি মিথ্যাবাদী হতে পারে? তিনি উত্তর দিলেন, না। (মুয়াত্তা মালিক ২/৯৯০)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি বেরলভি ইমামের পিছনে নামায না পড়ে কষ্ট করে অন্য মসজিদে জামাতে নামায পড়ুন।
বেরলভি ইমামের পিছনে নামায বর্জন করতে গিয়ে জামাত বর্জন করা জায়েয হবে না।
আলেমগণ লিখেছেন, তবে অন্য মসজিদ যদি অনেকটা দূরে হয়,বা আপনি যদি অন্য মসজিদে না গিয়ে বাসায় নামাজ আদায় করতে চান,তাহলে এটি জায়েজ হবেনা।
এক্ষেত্রে ঐ বেরলভি ইমামের পিছনেই নামায আদায় করতে হবে।
হ্যাঁ যদি বেরলভি সেই ইমামের আকীদায় শিরক থাকে,তাহলে পরবর্তীতে উক্ত নামাজ দোহরিয়ে নিতে হবে অর্থাৎ পুনরায় আদায় করতে হবে।
তবুও জামাত ত্যাগ করা যাবেনা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মিথ্যা বলা জায়েজ হবেনা।
আপনি এক্ষেত্রে তাওরিয়াহ করতে পারেন।
যেমন আপনি জবাবে বলবেন "এই তো সামনে,,,, বা কাজ আছে,বা একটি কাজ ছিলো তো,,,,
একজনের সাথে মিটিং আছে,মর্মে যে তাওরিয়াহ করেছেন,এটি মহান আল্লাহর শানের খেলাফ।
তাই এমন বাক্য বলা যাবেনা।