আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম ,
আপনার কথা মতো আমি একটা মুসলিম মানসিক ডাক্তার এর কাছে  পরামর্শ এর জন্য গিয়েছিলাম সে আমাকে মানসিক রুগী হেসেবে গণ্য করে এবং ওষধ দিয়েছে।
আমার আপনার কাছে  আর একটা  বিষয় জানার ছিল ,
আজ আপনাদের  ওয়েবসাইটে আমি প্রথম বার দেখলাম এবং জানলাম কেনেয়া তালাক বিষয় এ । আগে কখনো জানতাম না এই বিষয়ে।
আমি যখন আমার স্ত্রীর সঙ্গে যখন  ফোনে কথা বলছিলাম এবং তর্ক বিতর্ক হচ্ছিল তখন আমি  তাকে  রেগে বলি আমি তোমাকে ডিভোর্স দিবো । এবং বলি তুমি আমাকে ডিভোর্স দিবা কি?  এরম কথা হতে হতে আবার বলি তোমাকে বিয়ে করেই ভুল করেছি।  এমন সব কথা হয়েছে সকাল এর দিকে আমার স্ত্রী আমার মা কে ফোন করে এবং বিষয় টা ঠিক করার চেষ্টা করে  আমি তখনও রাগ করে বললাম যা হবে হৌক ডিভোর্স দিবো  তখন মা  আমাকে খুব বকা ঝকা করে  । আমার কিন্তু কোনো রকম ইচ্ছা ছিল না এমন করা আমি তাকে শাসন বা শিক্ষা দিতে গিয়ে করেছি।  আমার তাকে তালাক দেওয়ার কোনো নিয়ত ছিল না।১ ঘণ্টা পর আমার স্ত্রীর কাছে চলে যায় এবং কথা বলে বিষয় টা ঠিক করি। এই বিষয় টাই আমাকে মানসিক রোগীর না মনে করে সাধারণ  মানুষ মনে করে উত্তর দিবেন.
এবার আমার প্রশ্ন হলো,
১.  ফোনের মাধ্যমে  কথা বলে কি কেনেয়া তালাক হয় নাকি সামনা সামনি  হয়?
২. আমি না বুঝে না জেনে এমন কথা বলেছি তাতে কি কেনেয়া তালাক হবে?  আমার কোনো নিয়ত ছিল না তালাকের । এবং আমি জানতাম না বিষয় টা।
৩.  তার পর  তো সেই ঝামেলার কারণে মানসিক অসুস্থ হয়ে, বিভ্রান্ত হয়ে , ১ তালাক বলে দিয়েছিলাম ।   মুফতী  সাহেব আমি জানতে চাইছিলাম  এই  কেনেয়া  বিষয় এ আমার  যদি তালাক হয় তাহলে  এক্ষেত্রে  কটা তালাক হবে। (  কেনেয়া বিষয় টা জানার পর চিন্তা হলো তাই প্রশ্ন করলাম)।

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
"তর্ক বিতর্ক হচ্ছিল তখন আমি  তাকে  রেগে বলি আমি তোমাকে ডিভোর্স দিবো । এবং বলি তুমি আমাকে ডিভোর্স দিবা কি?"

এরকম কথাবার্তা দ্বারা তালাক হবে না।বরং ভবিষ্যতে তালাকের ওয়াদা করা হচ্ছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...