জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
اِنۡ تَکۡفُرُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ عَنۡکُمۡ ۟ وَ لَا یَرۡضٰی لِعِبَادِہِ الۡکُفۡرَ ۚ وَ اِنۡ تَشۡکُرُوۡا یَرۡضَہُ لَکُمۡ ؕ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ؕ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمۡ مَّرۡجِعُکُمۡ فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ؕ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۷﴾
যদি তোমরা কুফরী কর তবে (জেনে রাখ) আল্লাহ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। আর তিনি তার বান্দাদের জন্য কুফরী পছন্দ করেন না। এবং যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও তবে তিনি তোমাদের জন্য তা-ই পছন্দ করেন। আর কোন বোঝা বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবে না। তারপর তোমাদের রবের কাছেই তোমাদের ফিরে যাওয়া। তখন তোমরা যা আমল করতে তা তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন। নিশ্চয় অন্তরে যা আছে তিনি তা সম্যক অবগত।
(সুরা আয যুমার ০৭)
وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی
কোনো ব্যাক্তি অন্য কোনো ব্যাক্তির গুনাহের বোঝা বহন করবেনা।
(সুরা ফাতির ১৮)
অর্থাৎ কেয়ামতের দিন কোন মানুষ অন্য মানুষের পাপভার বহন করতে পারবে না। প্রত্যেককে নিজের বোঝা নিজেই বহন করতে হবে। “বোঝা” মানে কৃতকর্মের দায়দায়িত্বের বোঝা। এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহর কাছে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজেই তার কাজের জন্য দায়ী এবং প্রত্যেকের ওপর কেবলমাত্র তার নিজের কাজের দায়-দায়িত্ব আরোপিত হয়। এক ব্যক্তির কাজের দায়-দায়িত্বের বোঝা আল্লাহর পক্ষ থেকে অন্য ব্যক্তির ঘাড়ে চাপিয়ে দেবার কোন সম্ভাবনা নেই। কোন ব্যক্তি অন্যের দায়-দায়িত্বের বোঝা নিজের ওপর চাপিয়ে নেবে এবং তাকে বাঁচাবার জন্য তার অপরাধে নিজেকে পাকড়াও করাবে এরও কোন সম্ভাবনা নেই।
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহের দাওয়াতে আপনার সেই বন্ধু যদি নারীদের জন্য পর্দার সহিত আলাদা স্থানের ব্যাবস্থা রাখেন,তারপরেও এক্ষেত্রে কোনো নারী বেপর্দা ভাবে চলে,বেপর্দা ভাবে ছবি তোলে,হারাম কাজ করে,তাহলে তার গুনাহ তার উপরেই বর্তাবে।
আপনার বন্ধুর উপর নয়।
,
কেননা আপনার সেই বন্ধু শরীয়াহ নীতিমালা মেনেই দাওয়াতে নারীদের জন্য পর্দার সহিত আলাদা স্থানের ব্যাবস্থা রেখেছিলেন।
,
পক্ষান্তরে আপনার বন্ধু যদি উক্ত দাওয়াতে নারীদের জন্য শরীয়াহ নীতিমালা মেনে পর্দার সহিত আলাদা স্থানের ব্যাবস্থা না রেখে থাকেন,তাহলে তাদের গুনাহের ভাগীদার আপনার সেই বন্ধুকেও হতে হবে।
কেননা মূলত সেই দাওয়াতের মাধ্যমে বেপর্দা হওয়ার কাজে আপনার বন্ধুর সহযোগিতা ছিলো।
আরো জানুনঃ-
(০২)
আপনি যদি হজ্জে যান,তাহলে আপনার হজ্জ আদায় হবে।
শুধুমাত্র আপনার স্বামী হজ্জে গেলে আপনার হজ্জ আদায় হবেনা।
(০৩)
গুনাহ হবেনা।
তবে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া এভাবে টাকা/গিফট চাওয়া সমীচীন নয়।
(০৪)
গুনাহ হবেনা।
(০৫)
আপনি তার নির্দিষ্ট কোনো দোষ বলেননি,তাই প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার গুনাহ হবেনা।
(০৬)
বিষয়টিকে পাত্তা দেয়া যাবেনা। ভ্রুক্ষেপ করা যাবেনা
কোনো আমল বাদ দেয়া যাবেনা।
তাহলেই ইনশাআল্লাহ আস্তে-ধীরে সমাধান পাবেন।
(০৭)
সাহু সেজদাহ দিতে হবেনা।
তবে আপনি যদি কোনোরকমে না দাঁড়িয়েই অনেকটা রুকু থেকে সেজদায় যাওয়ার মতো কাজ করেন,তাহলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
(০৮)
এটি তার প্রতি আপনার মুহাব্বতের বহিঃপ্রকাশ।
সম্ভবত তাকে দাওয়াত খাওয়ানোর সুযোগও আপনার হতে পারে।
(০৯)
একজনের গুনাহের বোঝা অন্যের হবেনা।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পুত্রবধূকে জোড় করে যেনা করা হলে পুত্রবধূর ও ছেলের গুনাহ হবেনা।
তবে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হওয়ায় তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে।
এটিই শরীয়তের বিধান।
যাহা যুক্তি দিয়ে চলেনা।
(১০)
হ্যাঁ, এই শর্তে বিবাহ করলে তাহা শুদ্ধ হবে।