আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (54 points)
edited by
১.হুজুর ঈমান ভংগের কারন না জানার  কারনে কেউ যদি দাড়ি নিয়ে ঠাট্রা করে তাহলে কি তার ঈমান ভংগ হবে?

২.হুজুর রোজার সময় দুই তিন জন মিলে  গল্প করার সময় দাড়ি কাটা নিয়ে কথা উঠলে, আমি হাসতে হাসতে বলি যে দাড়ি কাটা যাবে না, দাড়ি রাখা ওয়াজিব বা সুন্নাত এই রকম কিছু কথা বলি যা হবুহ আমার মনে নেই। তখন আমার মুখেও ওভাবে   দাড়ি ছিল না। এখন আল্লাহর রহমতে দাড়ি রাখছি।  দাড়ি  নিয়ে ঠাট্রা  করার কোন নিয়্যাত আমার মনের মধ্যে ছিলনা । হুজুর হাসতে হাসতে এ কথা বলার কারনে কি আমার ঈমানের কোন  সমস্যা হবে? তখন ঈমান ভংগের কারন জানতাম না।

৩.হুজুর আমার বন্ধুর সাথে গল্প করার সময় আমার বন্ধু বলে যে, চুল কাটতে অত টাকা খরচ করা যাবে না। তখন আমি বলি যে, তাহলে ঘাড় পর্যন্ত চুল রাখ। এটা আমি ঠাট্রার জন্য বলছি নাকি সঠিক মনে নেই। তবে আবার  মনে হচ্ছে ঠাট্রার জন্য বলছি মনে হয়। তবে আমার বন্ধু এই কথা ওভাবে বুজতে পারে নি। এই কথা বলার পর আমি আমার মনে হল এটাতো নবিজির সুন্নাত।হাদিস নিয়ে ঠাট্রা হয়ে গেল নাকি এজন্য আমি সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়ি। ঘাড় পর্যন্ত চুল রাখ এই কথা বলার কারনে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে? হুজুর আমি বিবাহিত।

৪. আমাদের সমাজে কেউ বড় চুল রাখলে তাকে মাস্তান টাইপ মনে করা হয়। স্কুলে বা মাদ্রাসায় চুল বড় রাখলে শাস্তি দেয়া হয় বা চুুল ছোট করতে বলা হয়।আমি ও আগে চুুল বড় রাখলে      খারাপ মনে করতাম। কিন্তু ঈমান ভংগের   কারন জানার পর, আর খারাপ মনে করিনা। কারন এটাতো সুন্নাত। খারাপ মনে করার কারনে কি ঈমানের কোন   সমস্যা হবে?    
৪.ঈমান ভংগের কারন না জানার কারনে কেউ যদি শিরকে আকবর, কুফরি কোন বিশ্বাস বা কুফরি কোন কাজ করে যা সে জানে না যে এটা কুফরি বা শিরক তাহলে কি তার ঈমান ভংগ হবে?  যদি বিবাহিত হয় তাহলে কি নতুন করে বিবাহ করতে হবে?

৫.হুজুর কেউ যদি ঈমাণ ভংগের কারন না জানার কারনে ঈমাণ ভংগের কোন কাজ করে তাহলে কি তার ঈমান থাকবে?

1 Answer

0 votes
by (710,360 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
না, ঈমান ভঙ্গ হবে না।

(২)
না, ঈমান ভঙ্গ হবে না।

(৩)
ঈমান ভঙ্গ হবে না।

(৪)
না, ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৫)
না, ঈমান ভঙ্গ হবে না। তবে কুফরি জানার পর তাকে তাওবাহ করতে হবে।আর তাওবাহ না করলে, ঈমান ভেঙ্গে যাবে।

(৬)
ঈমান থাকবে, তবে কুফরি জানার পর তাকে তাওবাহ করতে হবে।আর তাওবাহ না করলে, ঈমান ভেঙ্গে যাবে।

https://www.ifatwa.info/ 4560নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
(وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...