ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لَأَنْ يَهْدِيَ اللَّهُ بِكَ رَجُلًا وَاحِدًا خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ يَكُونَ لَكَ حُمْرُ النَّعَمِ
“তোমার মাধ্যমে যদি আল্লাহ একজন লোককেও হেদায়েত দেন তবে তা তোমার জন্য একটি লাল উট পাওয়া থেকেও উত্তম।” (বুখারী ১২/৩৭)
তিনি আরো বলেন:
مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنْ الْأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا
“যে ব্যক্তি হেদায়েতের পথে আহবান করে সে ঐ পরিমাণ সওয়াবের অধিকারী হয় যে ব্যক্তি তদনুযায়ী আমল করে। কিন্তু এতে আহ্বানকারীর সওয়াব কমানো হয় না।”(সুনানু আবি দাউদ-৪৬০৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিজ আশপাশ ও পরিচিত মহিলাদেরকে, পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী দাওয়াত দেওয়া যেতে পারে।এক্ষেত্রে অমুসলিম মহিলাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে তাদেরকে নিজ বাসায় এনে দাওয়াত দেয়া যেতে পারে। নিজ বাসায় নিয়ে এসে বা শুধুমাত্র তাদের জন্য কোনো সেমিনারের আয়োজন করেও তাদেরকে দাওয়াত দেওয়া যেতে পারে। যখন তাদের সাথে সু-সম্পর্ক হয়ে যাবে, এবং যখন তারা তাদের বাসায় আপনাকে দাওয়াত দিবে, তখন আপনি মাহরাম-গায়রে মাহরামের বিষয়টি নিয়ে আসতে পারেন। দেখবেন, আপনাকে বাসায় নেয়ার জন্য তারা তাদের ঘরের পুরুষকে সে দিন দূরে সরিয়ে রাখবে।
মনে রাখবেন, কাউকে দাওয়াত দিলেই যে সে গ্রহণ করে নিবে এমন নয়, বরং আপনার ব্যবহার ও নববী আদর্শ দ্বারা প্রথমে তাদেরকে আকৃষ্ট করতে হবে।তারপরই দাওয়াত ফলপ্রসূ হবে। এজন্য সর্বাগ্রে যে বিষয়কে প্রধান্য দিতে হবে, সেটা হল, তাদের প্রতি আপনার মহব্বত ও ভালবাসা।
ইসলামিক অনলাইন মাদরাসার অফিসে যোগাযোগ করলে, মুফতি জুবাইর দাঃবাঃ এর লিখিত দাওয়া সম্পর্কে অনেক কিতাব আপনি পেয়ে যাবেন।