আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,


আমি আমার অভিভাবক ছাড়া দুইজন সাক্ষীর সামনে বিয়ে করেছিলাম,আমার এবং আমার বরের পরিবার রাজি থাকলেও দেরিতে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।
পরবর্তীতে আমাদের পারিবারিকভাবেই আবার বিয়ে হয়।বিয়েতে গহনাবাবদ আমার ৬০০০০ টাকা মোহরানা করা হয়।সেই গহনাতে একটা জিনিস থাকে যেটা আমার বর আমাকে হাদিয়া দিয়েছিলেন, পরবর্তি বিয়েতে মোহরানা দেওয়ার জন্য সেটা আমার থেকে ফেরত নেয়।এবং মোহরানা হিসেবে আমাকে সেটা পরবর্তী বিয়েতে দেয়।গহনাবাবদ ৬০০০০ টাকার বিষয়টা প্রথমে আমি বুঝিনি।আমি ভেবেছি গহনা আর টাকা দিয়েছে।পরে বিয়ের পর আমি বিষয়টি জানতে পারি।
১.এইভাবে বিয়ে কি সঠিক হয়েছে,নাকি আবার আমাদের বিয়ে পড়াতে হবে??যেহেতু উনি হাদিয়া দিয়ে পরবর্তীতে সেটা ফেরত নিয়ে মোহরানা হিসেবে দিয়েছে।আর আমি প্রথমে মোহরানার বিষয়টি বুঝিনি।

দয়া করে জানাবেন। জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1524

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এভাবে দুইজন পুরুষ সাক্ষীর উপস্থিতিতে নারী পুরুষ দুইজন উপস্থিত থেকে মহর উল্লেখ পূর্বক বিয়ে করে নিলে বিয়ে হয়ে যায়।সুতরাং আপনার বিয়ে বিশুদ্ধ হয়েছে।

হাদিয়া দেয়ার পর স্ত্রী গ্রহণ করে নিলে, সেই জিনিষকে স্বামী আর ফিরিয়ে নিতে পারে না। সুতরাং আপনাকে আপনার স্বামী যা কিছু হাদিয়া দিয়েছিলেন, সেগুলো এখন তিনি আর ফিরিয়ে নিতে পারবেন না। এই হাদিয়ার মালিক আপনি। এই হাদিয়া ব্যতিত স্বামীকে সম্পূর্ণ মহর পরিশোধ করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...