ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
স্বামী যদি বলে "তুমি আমারে একদিন ছেড়ে দিবা" যেহেতু এই কথা দ্বারা স্বামীর যদি উদ্দেশ্য, যখনই ইচ্ছা আমার থেকে পৃথক হতে পারবে, তাই সারা জীবনের জন্য তালাকের অধিকার অর্জিত হবে।
(২)
স্বামী যদি সারাজীবনের জন্য মৌখিকভাবে তালাকের অধিকার দিয়ে ফেলে, তাহলে সেই অধিকার ফিরিয়ে নেয়া যাবে না।বরং সারা জীবনই মহিলার অধিকার অর্জিত থাকবে।
ِ إذَا قَالَ لَهَا: طَلِّقِي نَفْسَكِ سَوَاءٌ قَالَ لَهَا: إنْ شِئْتِ أَوْ لَا فَلَهَا أَنْ تُطَلِّقَ نَفْسَهَا فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ خَاصَّةً وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَعْزِلَهَا.
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০২)
(৩)
মহিলার উপর দম বা একটি বকরি সদকাহ করা ওয়াজিব হবে।এবং মহিলার হজ্ব হবে। কেননা চুল কর্তন করা ওয়াজিব।
(৪)
স্বামী স্ত্রীর শর্তযুক্ত বায়েন তালাক হওয়ার পরে নতুন করে বিবাহের আগে যদি আবার শর্তযুক্ত তালাক দেয় স্বামী, তাহলে সেই শর্তে নতুন করে বিবাহের পর আবার বাইন তালাক হবে না।
(৫)
বিবাহের কাবিন নামায় কাজি তালাক গ্রহনের অধিকার দিলেও স্বামী দেয় নাই। তখন থেকেই বউ জানত স্বামী না দিলে অধিকার পাবে না। স্বামী ও একই কথা জানত।
বিয়ের পর স্বামী কোনো কথায় মৌখিকভাবে অধিকার দিয়েছে কি না স্বামী স্ত্রী কারই মনে নাই। এই ক্ষেত্রে স্ত্রী যদি ওয়াসওয়াসায় পরে মুখে তালাক নেয়। তাহলে তালাক হবে না। কারন স্বামী সঠিক মনে করতে পারছে না পরবর্তীতে মৌখিক ভাবে অধিকার দিয়েছে কি না। এই ক্ষেত্রে সেই মহিলার তালাক হবে না।
(৬)
স্বামী যদি বলে "তুমি আমার সাথে থাকবা না ভবিষ্যতে" এইটা স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেওয়া বুঝায় না।