আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
126 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু
আমি কিছু বিষয় সম্পর্কে মাসায়েল জানতে চাই
প্রশ্ন ১ঃ আমার পিরিয়ডের সমস্যা আছে। দেখা যাচ্ছে যে সমস্যা জন্য এক মাসে দুইবার হয়ে যাচ্ছে এবং ১৫/২০ এর মতো থাকছে। মাঝখানে ১০/১৪ দিনের একটা গ্যাপ থাকে। আমি যতটুকু জানি যে মিনিমাম ১৫ দিন গ্যাপ থাকতে হবে। না হলে সেটা ইস্তিহাজা হিসাবে গণ্য হবে।
এখন প্রশ্ন হলো এই ১৫/২০ দিন কি আমি ইস্তিহাজা হিসাবে নামাজ পড়বো।??? আর বিগত দুই তিনমাসের সময় এই গ্যাপের হিসাবটা আমি ভুলে গেছিলাম, তাই প্রথম ১০ দিন পিরিয়ড হিসাবে ধরেই নামাজ পড়ি নাই।  বাকিদিনগুলো ইস্তিহাজা হিসাবে ধরে নামাজ পড়েছি। তাহলে কি ভুলে যাওয়ার জন্য নামাজ  না পড়াটা ঠিক হয় নি?  এই নামাজ গুলো কি কাযা পড়তে হবে?
প্রশ্ন ২ঃ একজন বোন হিফজ করছেন, উনি পড়া দেওয়ার সময় মাঝে মধ্যে আটকে গেলে দেখে পড়া দেন। কিন্তু উস্তাজকে বলেন নাহ যে দেখে পড়ছেন। কিন্তু উনার পড়াটা মুখস্থ করেন ঠিক ই। এখন প্রশ্ন হলো এই যে তিনি মাঝে মধ্যে দেখে দেখে পড়া দিচ্ছেন, এটাতে কি উনার হিফজ বাতিল হয়ে যাবে?  নাকি এটাতে কোনো বড় রকমের গুনাহ হবে???

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
এক হায়েয থেকে অন্য হায়েয পর্যন্ত ১৫ দিন গ্যাপ থাকে, এই ১৫ দিন ইস্তেহাযা গণ্য হবে।এই ১৫ দিন নামায রোযা করতে হবে। ইস্তেহাযার সূরতে প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবার অজুই যথেষ্ট। 

বিগত দুই তিন মাস, কতটি নামায পড়েন নাই, সেই সব নামাযগুলোকে হিসেব করে কাযা করে নিবেন।অনুমানের ভিত্তিতেই কাযা করে নিবেন।

(২)
হিফজ তো বাতিল হবে না, তবে ধোকা দেয়ার গোনাহ হবে। তাই উনার উচিৎ এভাবে উস্তাযাকে ধোকা না দেয়া।
 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
ﻣﻦ ﻏﺸﻨﺎ ﻓﻠﻴﺲ ﻣﻨﺎ 
"যে ব্যক্তি ধোকা দেয় সে আমাদের দলভুক্ত নয়" (সহীহ মুসলিম-১০১)আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/647


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...