জবাবঃ
- ইবরাহিম আঃ যখন নিজ কওমের শিরক দেখলেন,তখন উনার মন খারাপ হয়ে গেল,মন অসুস্থ হয়ে গেল,তখন তিনি তাদের পূঁজাতে যাওয়ার আহবানের প্রতিউত্তরে বললেন,আমি অসুস্থ। তারা বুঝল,তিনি শারিরিক ভাবে অসুস্থ। অথচ তিনি শারিরিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন না।এবং তিনি শারিরিক ভাবে অসুস্থতাকে উদ্দেশ্যও নেননি।উনার উদ্দেশ্য ছিল,আমি মানসিকভাবে অসুস্থ।
- শুধুমাত্র বিশেষ পরিস্থিতিতে হালাল।
আবুল ফরয ইবনুল জাওযী রাহ বলেনঃ
ﻭﺿﺎﺑﻄﻪ ﺃﻥ ﻛﻞ ﻣﻘﺼﻮﺩ ﻣﺤﻤﻮﺩ ﻻ ﻳﻤﻜﻦ ﺍﻟﺘﻮﺻﻞ ﺇﻟﻴﻪ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ، ﻓﻬﻮ ﻣﺒﺎﺡ ﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﻘﺼﻮﺩ ﻣﺒﺎﺣﺎ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻭﺍﺟﺒﺎ، ﻓﻬﻮ ﻭﺍﺟﺐ
প্রত্যেক ঐ ভালো উদ্দেশ্য যে পর্যন্ত মিথ্যার আশ্রয় ব্যতীত পৌছা প্রায় অসম্ভব, সেখানে মিথ্যা বলা বৈধ।মাকসাদ(উদ্দেশ্য) মুবাহ হলে,মিথ্যা বলা মুবাহ।মাকসাদ ওয়াজিব হলে মিথ্যা বলা ওয়াজিব(ফাতাওয়া দারাল ইফতা আল-মিচরিয়্যাহ)
আল্লামা ইবনূল কাইয়ূম রাহ বলেনঃ
ﻳﺠﻮﺯ ﻛﺬﺏ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ، ﻭﻋﻠﻰ ﻏﻴﺮﻩ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﺘﻀﻤﻦ ﺿﺮﺭ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻐﻴﺮ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻳﺘﻮﺻﻞ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ ﺇﻟﻰ ﺣﻘﻪ،
একমাত্র মিথ্যার মাধ্যমে হক্ব(অধিকার রক্ষা)পর্যন্ত পৌছা নির্দিষ্ট হলে নিজের উপর বা অন্যর উপর মিথ্যা বলা জায়েয যখন এতে অন্যর কোনোপ্রকার ক্ষতি হয় হবে না।(যাদুল মা'আদ-২/১৪৫)...............এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-
644
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথমে তাওরিয়াহ করার চেষ্টা করবেন।তথা এমন কোনো বাক্য বলবেন যে,আপনি কিছু একটা বলতে চাচ্ছেন,আর শ্রুতাগণ অন্যকিছু বুঝবে।যদি তাওরিয়ায়াহ করা সম্ভবপর না হয়,তাহলে এমন মুহুর্তে নিজেকে গোনাহ ও বেহুদা কাজ থেকে বাঁচাতে প্রয়োজনে মিথ্যাও বলতে পারবেন।এতে কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।