জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
সত্যকে অস্বীকার দ্বারা যদি উদ্দেশ্য হয় যে আল্লাহ বা নবী রাসুলদের অস্বীকার করা,ঈমান না আনা,ফেরেশতাদ,আসমানী কিতাব,কবর,আখেরাত,হাশর,জান্নাত, জাহান্নাম,পুনরুত্থান ইত্যাদিকে অস্বীকার করে,
সমস্ত ভালো ও মন্দ তাকদির থেকেই হয়,এটিকে যারা অস্বীকার করে,তাহলে সে ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবে।
আল্লাহ বলেনঃ “কত মহান তিনি যিনি ইচ্ছে করলে আপনাকে দিতে পারেন এর চেয়ে উৎকৃষ্ট বস্তু-উদ্যানসমূহ যার নিম্নদেশে নদী-নালা প্রবাহিত এবং তিনি দিতে পারেন আপনাকে প্রাসাদসমূহ! কিন্তু তারা কিয়ামতকে অস্বীকার করেছে এবং যে কিয়ামতকে অস্বীকার করে তার জন্য আমি প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত আগুন"। [সূরা আল-ফুরকানঃ ১০]
অন্য আয়াতে বলেনঃ “পূর্ববর্তীগণের নিদর্শন অস্বীকার করাই আমাকে নিদর্শন পাঠান থেকে বিরত রাখে।" [সূরা আল-ইসরাঃ ৫৯]
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ “তারা যত নিদর্শনই দেখুক না কেন ঈমান আনবে না”। [সূরা আল-আনআমঃ ২৫]
আরো বলেনঃ “তারা যাবতীয় নিদর্শন দেখলেও ঈমান আনবে না”। [সূরা আল-আরাফঃ ১৪৬]
আরো বলেনঃ “নিশ্চয়ই যাদের বিরুদ্ধে আপনার প্রতিপালকের বাক্য সাব্যস্ত হয়ে গেছে, তারা ঈমান আনবে না। যদিও তাদের কাছে সবগুলো নিদর্শন আসে, যতক্ষন পর্যন্ত না তারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেখতে পাবে”। [সূরা ইউনুসঃ ৯৬-৯৭]
অন্য আয়াতে বলেনঃ “আমরা তাদের কাছে ফিরিশতা পাঠালেও, মৃতেরা তাদের সাথে কথা বললেও এবং সকল বস্তুকে তাদের সামনে হাজির করলেও তারা কখনো ঈমান আনবে না; তবে যদি আল্লাহর ইচ্ছে হয়” [সূরা আল-আনআমঃ ১১১]
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেনঃ “আমরা যদি আপনার প্রতি কাগজে লিখিত কিতাবও নাযিল করতাম আর তারা যদি সেটা হাত দিয়ে স্পর্শও করত তবুও কাফিররা বলত, এটা স্পষ্ট জাদু ছাড়া আর কিছু নয়।" [সূরা আল-আনআমঃ ৭]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সত্যকে অস্বীকার করার দ্বারা যদি উপরোক্ত বিষয় উদ্দেশ্য না হয়ে এমনিতেই আমাদের সামনের কোনো ঘটনা উদ্দেশ্য হয়,আর যদি কেহ সেই ঘটনাকে অস্বীকার করে,তাহলে এতে কুফরি হবেনা।
(০২)
না,এতে ঈমান নবায়ন করতে হবেনা।
(০৩)
এটি কুফরি কিনা,এই মর্মে ইমামদের মতবিরোধ রয়েছে।
হানাফি মাযহাব মতে এতে কুফরি হবেনা।
তাই আপনাকে ঈমান নবায়ন করতে হবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-