আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
225 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (25 points)
edited by
হুজুর ঈমান ভংগের কারন জানার পর বিভিন্ন প্রশ্ন মনে জাগতেছে

১.হুজুর অনেক আগে সম্ভবত ৯-১০ ক্ললাসেে  পরতে।    আমাদের এলাকার একটি মসজিদে একজন বৃদ্ধ আজান দিত।তার গলা এক্টু তোতলা থাকার কারনে তার আজান এক্টু অন্যরকম ছিল।আমি না বুজে তার আজান শুনে তার মত করে আজানের  কয়েকটা শব্দ সম্ভবত তার মত করে বলতাম বা   মুখ ভ্যাংগাতাম।হুজুর এর কারনে কি আমার ঈমানের  কোন খতি হবে? আমি ঈমান ভংগের কারন জানতাম না।হুজুর আমি বিবাহিত।   
২.হুজুর এখন আমাদের মসজিদে দুইজন ভাগাভাগি করে আজান দে। মাজে মধ্যে অন্য একজন আজান দেয়। তার সুর আমাকে অতটা ভালো লাগে না। আমি মনে মনে বলি এ কি জন্য আজান দেয়।আর সে যখন আজান দেয় তার আজানের সুর আমার মনে মনে তাকে মুখ ভ্যাংগানোর মত করে বাজে। কিন্তু আমি  তার সুরের মত   মুখ ভ্যাংগাইনা।  আমি সাথে  সাথে ইস্তিগফার পড়ি।  আমার এ রকম মনে  হওয়ার কারনে কি আমার ঈমানের সমস্যা হবে।

৩.হুজুর আমি প্রচন্ড  ওয়াসওয়াসায় ভুগতেছি।আমার বিভিন্ন প্রশ্ন মনে হচ্ছে শুধু। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
তবে আযানের বাক্য গুলি এভাবে উচ্চারণ করার দরুন মহান আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (25 points)
হুজুর প্রশ্নগুলো ইডিট করার সময় প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। হুজুর প্রশ্নগুলো ইডিট করে সেভ করে দিয়েছি। হুজুর এখন যদি দয়াকরে উত্তর দিতেন তাহলে খুব উপক্রিত হতাম। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...