ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
শরীয়তের বিধান হলো,মনের মাঝে শুধুমাত্র বাজে চিন্তা বা কুফরী চিন্তা আসলেই ব্যক্তি কাফের হয়ে যায় না।
বরং ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ দিয়ে কুফরী কথা উচ্চারণ করলেই কেবল ব্যক্তি কাফের হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلُوهُ إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ . قَالَ ” وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ ” . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ ” ذَاكَ صَرِيحُ الإِيمَانِ ”
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় সাহাবী তাঁর সমীপে এসে বললেন, আমাদের অন্তরে এমন কিছু সংশয়ের উদয় হয়, যা আমাদের কেউ মুখে উচ্চারণ করতেও মারাত্মক মনে করে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেনঃ সত্যই তোমাদের তা হয়? তারা জবাব দিলেন, জ্বী, হ্যাঁ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটই স্পষ্ট ঈমান। (কারণ ঈমান আছে বলেই সে সম্পর্কে ওয়াসওয়াসা ও সংশয়কে মারাত্মক মনে করা হয়।) [সহীহ মুসলিম-১/৭৯, হাদীস নং-১৩২, ইফাবা, হাদীস নং-২৪০]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। [সহীহ বুখারী-১/৩৪৩, হাদীস নং-২৫২৮, ইফাবা, হাদীস নং-২৩৬১]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(১-২)
আপনি নিজের অবস্থান কিছুটা পরিবর্তন করুন।
জীবনের মোড়কে পরিবর্তন করে দেয়ার চেষ্টা করুন।
আপনি সৎ সঙ্গী দের সাহচর্য গ্রহন করুন,দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হোন বা কোনো হক্কানী
শায়েখের কাছে গিয়ে তার পরামর্শ মেনে জীবন পরিচালনা করুন।
একাকিত্ব পরিহার করুন।
প্রয়োজনে চিকিৎসা নিতে পারেন।
(৩-৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
(০৫)
সাথে সাথে
أعوذ بالله من الشيطان الرجيم
পড়বেন।
ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবেননা।
অন্য কাজে বা অন্য ফিকিরে মগ্ন হয়ে যাবেন।
(০৬)
এক নং জবাব দ্রষ্টব্য।
দোয়া কতি,আল্লাহ তায়ালা যেনো দ্রুত এ সমস্যা থেকে মুক্তি দেন।
আমিন।