আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in সালাত(Prayer) by (28 points)
edited by
আসসালামুয়ালআইকুম
আমার গ্যাসের সমস্যা থাকায় কিছুক্ষণ পরপর বায়ু বের হয়। বিশেষ করে ওজু করার পর থেকে নামাজের সময় এটা বেশী হয়। যার কারণে বেশিরভাগ সময়ই আমার নামাজের মাঝে ওজু ভেঙ্ঘে যায়। কিন্তু  প্রতি ওয়াক্তে দুই থেকে তিনবার কিংবা তার থেকেও বেশিবার ওজু করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে নামাজ আদায় করি তাই। কিন্তু কখনো ওয়াক্ত পার হয় না। যার কারণে নিজেকে মাজুরও দাবি করতে পারিনা।
দুই তিনবার ওজু করে শুধু ফরজ নামাজ পড়তে আমার কষ্ট লাগে না। কিন্তু আমি আগে নামাজ ধীরে সুস্থে আদায় করতে পছন্দ করতাম। বর্তমানে আমাকে অনেক দ্রুত নামাজ শেষ করতে হয় গ্যসের সমস্যার কারণে। এমনকি অনেক সময় শেষ বৈঠকে দরুদ "আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মদ" বলা শেষ করেই সালাম ফিরিয়ে নিতে হয়।

দ্রুত নামাজ পড়ার কারণে আর নামাজ ভেঙ্গে যায় কিনা এই চিন্তার কারণে আমার খুশু খুজু নামাজে নেই বললেই চলে। যার কারণে দিন দিন নামাজের প্রতি অনীহা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার অনেক সময় জামাতে ওযু ভেঙ্গে গেলেও ইমানের দুর্বলতার কারণে সাথে সাথে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পারিনা। সবার সাথে সালাম ফিরিয়ে পরে আবার নামাজ পড়ে নেয়।

অনেকবার মনে হয়েছে নামাজ পড়ে কী লাভ। এরকম খুশুখুজুবিহীন নামাজ এমনিতেই বিফলে যাবে।
আমি মানসিকভাবে খুবই বিধ্বস্ত। জীবনে ভেবেছিলাম কোনোদিন নামাজ কাজা করব না। এখন দিন দিন এমন অবস্থা হচ্ছে ফরয নামাজ পড়তেই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে কারণ নামাজ পড়ে কোনো আনন্দ পাচ্ছি না।

নামাজ অবনতির দিকে থাকায় অন্যান্য আমলেও অনাগ্রহ প্রকাশ পাচ্ছে।
আমাকে কিছু পরামর্শ দিন।

1 Answer

0 votes
by (681,640 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ: شُكِيَ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم الرَّجُلُ يَجِدُ الشَّىْءَ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى يُخَيَّلَ إِلَيْهِ فَقَالَ " لَا يَنْفَتِلُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا " . - صحيح : 

‘আব্বাদ ইবনু তামীম হতে তাঁর চাচার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে অভিযোগ করল যে, কখনো সলাতের মধ্যে কিছু একটা সন্দেহ হয় যে, তার অযু হয়ত নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বললেন, (বায়ু নির্গত হওয়ার) শব্দ না শুনা কিংবা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত সলাত ছাড়বে না।

বুখারী (অধ্যায়ঃ উযু, অনুঃ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সন্দেহ বশতঃ উযু করতে হবে না, হাঃ ১৩৭), মুসলিম ৩৬২ (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ পবিত্রতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর উযু নষ্ট হওয়ার সন্দেহ হলেও ঐ অবস্থায় সালাত আদায় করা জায়িয,মিশকাতুল মাসাবিহ ৩০৬)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসিনে কেরামগন বলেছেনঃ

قَوْلُهٗ (حَتّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَو يَجِدَ رِيْحًا) (যতক্ষণ না সে বায়ু বের হওয়ার শব্দ বা নির্গত বায়ুর গন্ধ পাবে ততক্ষণ নামাজ ছেড়ে আসবে না)। এর অর্থ হলো যতক্ষণ না সে শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়া বা অন্য যে কোন পন্থায় তার বায়ু নির্গত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় ততক্ষণ নামাজ পরিত্যাগ করবে না বা ছেড়ে আসবে না। 

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য করনীয় হলো নামাজের মধ্যে যদি আপনি বায়ু বের হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হোন,তাহলে তার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

বায়ু বের হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হলেই নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
পুনরায় অযু করে আসতে হবে। 
এসে বাকি নামাজ আদায় করতে হবে।
মাঝ পথে কোনো কথাবার্তা বলা যাবেনা। 

অযু করে এসে নামাজ যেই অবস্থায় রেখে গিয়েছেন,সেখান থেকেই আদায় করবেন।
শুরু থেকে আদায় করতে হবেনা।

আরো জানুনঃ- 
https://ifatwa.info/28090/
,
আর যদি আপনি বায়ু বের হওয়া সম্পর্কে  নিশ্চিত না হোন,এট যদি শুধুমাত্র তার মনের সন্দেহ হয়,তাহলে নামাজ চালিয়ে যাবেন। 

★তবে আপনি যদি মা'যুর হোন তাহলে বিধান ভিন্ন হবে।
সেক্ষেত্রে প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য একবার অযু করলেই হবে,ঐ একবার অযু দিয়ে ঐ ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।

আপনি মা'যুর কিনা, এ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে জানুনঃ   

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
সর্বপরি ডাক্তারের নিকট গিয়ে চিকিৎসা গ্রহনের জন্য আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 148 views
...