আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু। ওস্তাদ।
১। আমি দীর্ঘ ৩.৫ বছর যাবত ওয়াসওয়াসা য় মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত। ১ ম এ ওয়াসওয়াসা আল্লাহ ও রাসূল সাঃ কে নিয়ে আজে বাজে কথা মাথায় আসতে থাকে এর থেকেই ওয়াসওয়াসা শুরু হয়।আর আস্তে আস্তে ওয়াসওয়াসা বৃদ্ধি পেতে থাকে, মাঝখানে নিজেকে পাগল মনে হইতো , একটার পর একটা নতুন নতুন ওয়াসওয়াসা আসা শুরু হয়, একটা ওয়াসওয়াসা আসতে না আসতে আরেকটা নতুন ওয়াসওয়াসা মাথায় আইসা পড়ে,  এমন এমন  দ্বীন নিয়ে ওয়াসওয়াসা আসতো যেইটা আগে কোন সময় মাথায় আসে নাই, আর ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা কাজ করতো না, কি করমু না করমু তখন, সাথে সাথে আল্লাহ এর কাছে মাফ চাইতাম।
এই সমস্যার জন্য অনেক আলেম এর সাথে কথা বলেছি কিন্তুু পারমানেন্ট ভাবে এই সমস্যা থেকে বের হতে পারি নাই।

২।  আলহামদুলিল্লাহ মাঝ খানে কিছু দিন ওয়াসওয়াসা টা কম আসতো, কিন্তুু গত ৩-৪ দিন ধরে আবার আগের ওয়াসওয়াসা আসা শুরু হয়েছে,
একদিন হঠাৎ করে মাথায় আসলে কোন মুসলিম কাউকে দেখলে মনের ভিতরে আসতো এ এ লোক মনে হয় কাফের. ( নাউজুবিল্লাহ) , এইটা কেন মাথায় আসতো আমি নিজেও বুঝতাছি না, আমি ইচ্ছা কইরা এগুলো করি না, আমি সাথে সাথে আল্লাহ কাছে মাফ চাইছি যে আমি এগুলো ইচ্ছা কইরা করতাছি না, কেউ আমাকে যেন জোর করতাছে বলার জন্য মুখ দিয়া এমন হয়, এইগুলো আসার পর আমার মাথা কাজ করে না,  কয়েক মিনিট পর আবার মোটামুটি একটু সুস্থ হইয়া যাই।
নামাজ পড়ার সময় এই সমস্যা ও এই সমস্যা টা হয়।
*আজকে নামাজ পড়ার সময় নামাজের ভিতরে হঠাৎ আবার মাথায় আসলো এইবার মনে হইলো আমি মনে হয় কাফের। ( নাউজুবিল্লাহ) , আল্লাহ আমাকে মাফ করুক । আমি আল্লাহ এর কাছে মাফ চাইছি সাথে সাথে  এগুলো আমার সাথে কেন এমন হইতাছে আমি কিছু বুঝতাছি না। এসব নিয়ে চিন্তা করতে করতে আমি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।
এছাড়া ও আরো বিভিন্ন ধরনের ওয়াসওয়াসা আসে
৩।  উপরোক্ত ঘটনার কারণে কি আমার ঈমান চলে যাবে ওস্তাদ? আমি ত এগুলো নিজের ইচ্ছায় করি নাই।
৪। ঈমান চলে গেলে আমার করনীয় কি?  কালেমা শাহাদাত পড়ে তাওবা করলে কি ঈমান নবায়ন হবে?
৫। এই রকম নতুন নতুন ওয়াসওয়াসা আসলে তখন কি করবো ওস্তাদ।
৬। ওস্তাদ দয়া করে একটু সাহায্য করুন আমাকে কিভাবে আমি এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারি, গত ৩.৫ বছর ধরে ওয়াসওয়াসা এর কারণে টেনশন করতে করতে  নিজে অনেক অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।
by (9 points)
https://youtu.be/7dtavcqR5Eg
এই ভিডিও টির সাথে আপনার সমস্যার মিল থাকলে আপনি life spring এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। 
এখানে অনলাইনে ডাক্তার বা psychologist দেখাতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। 
আপনার সুস্থতা কামনা করি এবং দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনাকে সুস্থ করে দেন।
আমিন
by (32 points)
জাযাকাল্লাহু খাইরান ভাই। 
দোয়া কইরেন আমার জন্য ভাই 

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান হলো,মনের মাঝে শুধুমাত্র বাজে চিন্তা বা কুফরী চিন্তা আসলেই ব্যক্তি কাফের হয়ে যায় না।

বরং ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ দিয়ে কুফরী কথা উচ্চারণ করলেই কেবল ব্যক্তি কাফের হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلُوهُ إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ . قَالَ ” وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ ” . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ ” ذَاكَ صَرِيحُ الإِيمَانِ ”

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় সাহাবী তাঁর সমীপে এসে বললেন, আমাদের অন্তরে এমন কিছু সংশয়ের উদয় হয়, যা আমাদের কেউ মুখে উচ্চারণ করতেও মারাত্মক মনে করে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেনঃ সত্যই তোমাদের তা হয়? তারা জবাব দিলেন, জ্বী, হ্যাঁ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটই স্পষ্ট ঈমান। (কারণ ঈমান আছে বলেই সে সম্পর্কে ওয়াসওয়াসা ও সংশয়কে মারাত্মক মনে করা হয়।) [সহীহ মুসলিম-১/৭৯, হাদীস নং-১৩২, ইফাবা, হাদীস নং-২৪০]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। [সহীহ বুখারী-১/৩৪৩, হাদীস নং-২৫২৮, ইফাবা, হাদীস নং-২৩৬১]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(১-২)
আপনি নিজের অবস্থান কিছুটা পরিবর্তন করুন।
জীবনের মোড়কে পরিবর্তন করে দেয়ার চেষ্টা করুন।
আপনি সৎ সঙ্গী দের সাহচর্য গ্রহন করুন,দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হোন বা কোনো হক্কানী
শায়েখের কাছে গিয়ে তার পরামর্শ মেনে জীবন পরিচালনা করুন।

একাকিত্ব পরিহার করুন।

প্রয়োজনে চিকিৎসা নিতে পারেন।

(৩-৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান চলে যায়নি।

(০৫)
সাথে সাথে 
أعوذ بالله من الشيطان الرجيم 
পড়বেন।
ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবেননা।
অন্য কাজে বা অন্য ফিকিরে মগ্ন হয়ে যাবেন।

(০৬)
এক নং জবাব দ্রষ্টব্য।

দোয়া কতি,আল্লাহ তায়ালা যেনো দ্রুত এ সমস্যা থেকে মুক্তি দেন।
আমিন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 109 views
...