আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
বিষয় : দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে কোরআন এবং হাদীস এর শরিয়া মোতাবেক জিজ্ঞাসা।
শ্রদ্ধেয়
শায়খ/ মুফতি,
প্রথমেই অনুরোধ,  আপনারা মেহেরবানী করে আমার পুরো ঘটনা ভালো করে পড়বেন।
আমার স্বামী অনেক দিন থেকেই নানাবিধ শারীরিক এবং মানুষিক অসুস্থতায় ছিলো।
আমার স্বামী আগে মাঝেমধ্যে ঝগড়াঝাটি হলে গায়ে হাত তুলতো,  বা গালাগালি করতো। সে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি উত্তেজিত হয়ে যেতো।  কিন্তু সেটা দীর্ঘস্থায়ী হতো না, ম্যানেজ করে ফেলতো।  অনেক সময় সিরিয়াস কিছু হলে আমার অভিভাবকে জানাতাম, সে এসেও বুঝিয়ে বলতো বা, তার এসব আচরণ যে সাভাবিক নয় সেটাও তাকে বুঝানো হতো। তার নানাবিধ মানুষিক সমস্যা অনেকদিন থেকেই হয়ে আসছিলো যা আমি বুঝতে পারলেও সে বুঝতে পারতো না। অনেক সময় আমি ব্যাথা পেলেও তাকে বললে সে মনে করতে পারতো না এরকম সে করেছিলো কি না। কিন্তু আমার কাছে তা কস্ট লাগতো এই ভেবে, কেন সে এমন আচরণ করে এমন অসাভাবিক হয়ে যায়। এমন কয়েকবার হয়েছিল যে, তিনি হাতের কাছে যা থাকতো তাই নিয়েই মারতে আসতো বা মারবে এরকম করতো (ছুরি,কাচি,লাঠি)। আবার আমি ভয়ে পেলে কান্নাকাটি করলে থেমে যেতো।  কিন্তু রেগে যেতো খুব অল্প সময়ের মধ্যে। পরে জিজ্ঞেস করলে বা আমি বললে সে তা মনে করতে পারতো না।  অল্পতে বেশি রেগে যাওয়া বা কথা মনে না থাকা এটা তার অনেকদিনের সমস্যা ছিলো কিন্তু সে চিকিৎসা করায়নি আমি বললেও। মেয়েটা এর আগেও অনেকবার একটু ব্যাথা পেয়েছিল বা বেশি,  কিন্তু এরকম উম্মাদের মতো জ্ঞ্যানবুদ্ধিহীন আর হয়নাই! হয়তো বকেছে বা একটা চড় দিয়েছে রেগে গেছে এ পর্যন্তই।  এ অবস্থার মধ্যে সংসার করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু জুনের ২১ রাতের যে ঘটনা ঘটে,  সেদিন সে নিজের উপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলো এক পর্যায়ে আমার নিজের মানুষিক বিপর্যয় কাটিয়ে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরে যা মনে হয়েছে।

গত জুনের ২১ তারিখে একদম ই তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সে আমাকে মারাত্মকভাবে মেরে আঘাত করে। আমার পোনে তিন বছরের মেয়ে মোবাইল নিয়ে খেলছিল খাটের উপরে বসে। আমিও খাটের আরেক পাশে একটু দূরে বসে মোবাইলে কাজ করছিলাম।  আর মেয়ের বাবাও আরেক পাশে মেয়ের কাছাকাছি ই বসে ছিলো,  সে সময় তার শরীরে সে স্কিনের সমস্যার জন্য ক্রিম লাগিয়ে বসে ছিলো।  এমতাবস্থায় মেয়ে হঠাৎ আমার হাতে থাকা মোবাইলটা নিতে যিদ করে, কিন্তু আমি তা দেইনি যেহেতু সে আগেই একটি দিয়ে কার্টুন দেখছিল। তখন মেয়ে যিদ করে,মাথা পিছন দিকে উলটে পড়লে খাটের পাশে লেগে মাথায় ব্যাথা পায়, মেয়ের বাবা চাইলেই তাকে ধরতে পারতো কিন্তু সে ওই ক্রিম লাগিয়েছে এ জন্য ধরেনি মেয়ে কিছুটা ব্যাথা পায়, তখন সে মেয়েকে কোলে নিয়ে ফেলে আমিও ধরতে গেলে আমার গালে জোরে একটা থাপ্পড় মেরে বাথরুমে গিয়ে মেয়েকে মাথায় পানি দিয়ে আর আমাকে বকা শুরু করে। আমি তাকে বলছিলাম,  মেয়ে তো এরকম যেদ প্রায়ই করে, কিন্তু সে আমার আর কোন কথাই শুনে নি, এলোপাথাড়ি আমাকে থাপ্পড় ঘুষি মারতে থাকে,  আমি তখন তাকে ধাক্কা দেই কেন আমাকে কিছু হলেই এভাবে মারে এই বলে। তখন তার জুতা এনে তা দিয়েও আমাকে মারতে থাকে, আমি নিজেকে বাচাতে ধস্তাধস্তি করি, তখন সে আরও খেপে আমার গলাই চিপে ধরে দেয়ালের সাথে মাথার পিছনে বাড়ি দেয়া শুরু করে এবং শ্বাস রোধ করতে চেষ্টা করে বলতে থাকে আজকে তোকে মাইরাই ফেলমু, শেষ কইরা ফেলমু। আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল,  আমি তার বুকে জোরে হাত দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে রুমে ঢুকে মোবাইল নিতে যাই, তখন সে আরেক রুম থেকে কাঠের টুকরো এনে( ব্লক প্রিন্টিং এর ডাইস) আমার কপালে জোরে আঘাত করলো।  আর মোবাইল দুটো কেড়ে নিল।( যে মেয়ে সামান্য ব্যাথার কারণে  এরকম করছিলো,  সেই মেয়ের এতো চিতকার কান্না তার কানেই যায়নি মনে হয়।) আমার মোবাইলটা ছুড়ে মাটিতে ফেলে দেয়, আমি চিৎকার করতে থাকি মোবাইলটা নেয়ার জন্য, সে রুমের দরজা জানালাও বন্ধ করে দেয় যেন বাইরে আওয়াজ না যায়। সে পা দিয়ে মোবাইলটা ধরে রাখে, এই সময় আমি কয়েক মিনিটের জন্য মাটিতে পড়ে ছিলাম এবং আবারও কেদে উঠে মোবাইল নিতে চেষ্টা করি। আমি বারবার বলছিলাম মোবাইল দিতে আমি আমার মা, ভাইকে খবর দিব তুই তো আমাকে মেরে ফেলছিস। এক পর্যায়ে আমি ওয়্যারড্রপ এর উপরে লেপটপ ছিলো সেটা অন করতেও চেষ্টা করলে সে তা দেয়না, তখন আমি জোরে জোরে চিতকার করতে চাইলেও সে বারবার বলছিল তোকে মাইরা আজকেই আমি চইলা যামু। আমার কপাল দিয়ে যখন রক্ত পড়ছিল,  তখন আমি শুধু বলেছিলাম তুমি এভাবে আমাকে মেরে রক্ত বের করে দিলা! সে মুহুর্তে জন্য আমার তখন আমার স্বামীকে একজন খুনী মনে হয়েছিল। আমি অনেক ধস্তাধস্তি  করে আমার মোবাইলটা হাতে নিতে পেরেছিলাম, ওই পর্যায়ে আবারও সে পাশের রুম থেকে রুটি বেলার বেলুন নিয়েও আসছিলো কিন্তু আঘাত আর করেনাই,  সে সময় আমার হাতে মোবাইলটা ছিলো, শুধু আমার মা এর নাম্বারটি দেখা যাচ্ছিলো। মা কে শুধু বলতে পেরেছি আম্মা ভাইয়াকে পাঠান,  আমাকে মেরে ফেলতেছে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সে আবারও মোবাইলটা হাত থেকে নিয়ে চুরমার করে ফেলে ছুড়ে ফেলে! দাঁড়ানো অবস্থায় দুজনের ধস্তাধস্তিতে আমি ধাক্কা খেয়ে খাটের উপরে পড়ে যাই।সে যখন একের পর এক এলোপাথাড়ি আমাকে আঘাত করতেছিল তখন আমি তার চোখ মুখ রক্তবর্ণ দেখেছিলাম যা খুবই অসাভাবিক ছিলা!
এরপরে সে, আমাকে বলে তুই তোর মা ভাইরে খবর দিলি! আমার বাবার নাম উচ্চারণ করে তিনবার তালাক বলে। সে সময় সে, প্রচন্ড রকম উত্তেজিত ছিলো আর অস্থিরতা ছিলো। (ওই ঘটনার পরে আমি নিজেই শারীরিক এবং মানুষিকভাবে পুরোপুরি অসুস্থ ছিলাম তাৎখনিকভাবে এবং এরপর। আমি নিজেও মানুষিক এবং শারীরিকভাবে বিপর্যের মধ্যে ছিলাম প্রায় দুই মাসের অধিক।) এরপর সে আরও অনেকখন পর্যন্ত অসাভাবিক আচরণ ই করেছিলো! আমার ভাই যখন এসে তাকে একটা চড় দেয়, সে আরও অসাভাবিক হয়ে গিয়ে পাশের রুমে দৌড়ে গিয়ে চাপাতি ছুরি নিয়ে নিজের গলায় ধরে আত্বহননের চেষ্টা করে। আমি আমার ছেলে অনেক জোরাজুরি করে হাত থেকে চাপাতি নেই। সে বারবার চিতকার করতেছিল। তার সমস্ত আচরণ বিচারবুদ্ধিহীন ছিলো সেদিন।
তার ওইদিনের আচরণ অন্যান্য যেকোনো সময়ের ঝগড়াঝাটি করার সময় যেমনটা হতো,  তেমনটা ছিলো ই না। আমার মনে হইছিল কেউ আমাকে খুন করে ফেলতে চাইছে! পাগলের মতো হয়ে গেছিলো যা এর আগে এতো সময় পর্যন্ত হয়নাই। সে আনুমানিক আধ ঘন্টার মতো একের পর এক কান্ড করেছিল যা অন্য সময় সে করতো না। গায়ে হাত তুললেও পরোক্ষনেই মাফ চাইতো সরি বলতো বা ঝগড়া থেমে যেতো।  সেদিনের টা ছিলো ভয়ংকর অসাভাবিক! তার চোখ মুখের যে ভাষা ছিলো, তাকে এক মুহুর্তের জন্য আমার কাছে স্বামী মনে হয়নি, একজন খুনীর মতো লেগেছিলো। তার শরীরে যে শক্তির প্রভাব ছিলো তা কোন সাভাবিক অবস্থায় একজন মানুষের থাকেনা।
আমার নিজের শারীরিক এবং মানুষিক বিপর্যের কারণে আমি নিজেই তখন বুঝে উঠতে পারিনাই আসলেই কি ঘটেছে কিভাবে ঘটেছে! তার সাথে তখন থেকেই সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেই ঘটনা কে কেন্দ্র করে। যার কারণে প্রথমেই দুইজনের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ হয়নি।
তার মানুষিক সমস্যার গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পত্র সাথে দেয়া হয়েছে।
সে  ("সিজোফ্রেনিয়া, মতিভ্রম " সহ আরও দুটি রোগে আক্রান্ত ছিলো অনেকদিন থেকেই।  {অনেক আগে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম তখনও এমনই বলেছিল ডাক্তার, কিন্তু পরে সে বিদেশে চলে যায় চার বছর পরে ফিরে অসুস্থ অবস্থায় শারীরিক মানুষিক ভাবে। আসার পরে বছর খানিক সাভাবিক ছিলো এরপর আবারও তার ওইরকম আচরণ শুরু হয়ে যায়। }
তার কোনকিছুই মনে নেই এখনো পর্যন্ত। এরপরেও আরও অনেক ঘটনা ঘটে গেছে কিন্তু সে সবকিছু এখনো মনে করতে পারেনা। উল্লেখ্য যে, ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া হয় এবং সে অনেকদিন থেকেই মানুষিক সমস্যায় ভুগছিল যা সে বুঝতে পারেনি, আমি কিছুটা বুঝতে পারলেও ব্যবস্থা নিতে পারিনাই।
হুজুর,উল্লিখিত বক্তব্য অনুযায়ী আমি ইসলামি শরিয়া মতে একটা ফায়সালা চাই।
প্রেসক্রিপশন এর তারিখ ২১/৬/২০২১ এর ঘটনার উপরে ডাক্তার সবকিছু জেনে দিয়েছে।
নাফিয়া সুলতানা

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


যদি কোন সুস্থ্য ব্যক্তি রাগের বশে তালাক দেয়। তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে। কারণ তালাক সাধারণত রাগের বশেই মানুষ দিয়ে থাকে। মোহাব্বত করে তালাক দেয়না। সুতরাং তা পতিত হবে।

তালাক শব্দ। এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। এ ভয়ানক শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর এমনিতেই বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

وفي رد المحتار- ويقع طلاق من غضب خلافا لابن القيم الخ وهذا الموافق عندنا لما مر فى المدهوش، ( رد المحتار، كتاب الطلاق، مطلب فى طلاق المدهوش-4/452)

যার সারমর্ম হলো রাগ অবস্থায় তালাক দিলেও তালাক হয়ে যাবে।   

,
ইসলামী স্কলারদের মতে রাগের তিনটি অবস্থা হতে পারে:

প্রথম অবস্থা: এত তীব্র রাগ উঠা যে, ব্যক্তি তার অনুভুতি হারিয়ে ফেলা। পাগল বা উন্মাদের মত হয়ে যাওয়া। সকল আলেমের মতে, এ লোকের তালাক কার্যকর হবে না। কেননা সে বিবেকহীন পাগল বা উন্মাদের পর্যায়ভুক্ত।

দ্বিতীয় অবস্থা: রাগ তীব্র আকার ধারণ করা। কিন্তু সে যা বলছে সেটা সে বুঝতেছে এবং বিবেক দিয়ে করতেছে। তবে তার তীব্র রাগ উঠেছে এবং দীর্ঘক্ষণ ঝগড়া, গালি-গালাজ বা মারামারির কারণে সে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেনি। এগুলোর কারণেই তার রাগ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ লোকের তালাকের ব্যাপারে আলেমদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। অগ্রগণ্য মতানুযায়ী, এ লোকের তালাক কার্যকর হবে।
এ অভিমতটাই আমাদের মতে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সবচেয়ে বেশী সামঞ্জস্যশীল।

তৃতীয় অবস্থা: হালকা রাগ। স্ত্রীর কোন কাজ অপছন্দ করা কিংবা মনোমালিন্য থেকে স্বামীর এই রাগের উদ্রেক হয়। কিন্তু এত তীব্র আকার ধারণ করে না যে, এতে বিবেক-বুদ্ধি হারিয়ে ফেলে কিংবা নিজের ভাল-মন্দের বিবেচনা করতে পারে না। বরং এটি হালকা রাগ। আলেমগণের সর্বসম্মতিক্রমে এ রাগের অবস্থায় তালাক কার্যকর হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রথমেই জানা দরকার যে,আপনার স্বামী কোন শব্দে তালাক দিয়েছেন?
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ-

""এরপরে সে, আমাকে বলে তুই তোর মা ভাইরে খবর দিলি! আমার বাবার নাম উচ্চারণ করে তিনবার তালাক বলে। সে সময় সে, প্রচন্ড রকম উত্তেজিত ছিলো আর অস্থিরতা ছিলো।""

এখানে আপনার স্বামী যদি আপনাকে তালাক না দেয়,তাহলে তো স্পষ্ট,যে তালাক হবেইনা।

আর যদি এতে আপনাকেই তালাক দেয়,সেক্ষেত্রে
আপনার স্বামী যদি বাস্তবেই সেদিন  প্রচন্ড রেগে গিয়ে থাকে ও রাগের ফলে বেহুঁশ হয়ে পড়ে,আর এ অবস্থায় সে কী বলেছে তার কিছুই মনে না থাকে,
(যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে.)

তাহলে ঐ অবস্থার তালাক কার্যকর হবে না।তবে শর্ত হলো বেহুশ হয়ে যাওয়া এবং সেই সময়ের কোনো কথা মনে না থাকা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...