ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
বাসায় কুরআন থাকলে তার মর্যাদার প্রতি খেয়াল রাখা, যেন তা নিচে পড়ে না যায় বা নাপাক কিছুর সঙ্গে স্পর্শ না হয়, আর ধুলাবালি থেকে নিয়মিত পরিচ্ছন্ন করা প্রয়োজন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهٰذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِه اٰخَرِينَ
উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাব কুরআনের মাধ্যমে কোন কোন জাতিকে উন্নতি দান করেন। আবার অন্যদেরকে করেন অবনত।
(মুসলিম ৮১৭, ইবনু মাজাহ ২১৮, আহমাদ ২৩২, দারিমী ৩৪০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫১২৫, শু‘আবূল ঈমান ২৪২৮, সহীহাহ্ ২২৩৯।)
(০১)
কোনো গরিব অসহায়কে দান করে দিতে পারেন।
মাদ্রাসার কোনো গরিব ছাত্রকে দিতে পারেন।
তবে এ দান করা আবশ্যক নয়,দান না করে ঘরে যত্ন ও আদব সহকারে রেখে দিলেও কোনো সমস্যা নেই।
(০২)
তিলাওয়াত হওয়াই মুখ্য হোক যেকোনো মাধ্যম থেকে হোক।
সবগুলো কপি থেকে তিলাওয়াত হওয়া জরুরি নয়।
(০৩)
নতুন কপি কিনতে পারবেন,সমস্যা নেই।
তবে আগের কপি গুলোর যেনো যত্ন নেয়া হয়।
(০৪)
এটি অযু ছাড়া এবং নাপাক অবস্থায় স্পর্শ করা যাবেনা।
এমতাবস্থায় কোথাও নিয়ে যাওয়া যাবেনা।
(০৫)
এক্ষেত্রে বাসাতেই রেখে যাবেন।
বলে যাবেন যেনো এগুলোর যত্ন নেয়া হয়।
আর নিজে পড়ার জন্য নুন্যতম এক কপি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।