আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (11 points)
কিস্তিতে লেনদেনের ক্ষেত্রে ১টাই মূল্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বেধে দেয়ার নিয়ম।
এক্ষেত্রে ধরুন, আমি একটা ৩০ হাজার টাকার প্রোডাক্ট ৬ মাসের কিস্তিতে ৩৫ হাজারে চুক্তি করলাম। কিন্তু মৌখিকভাবে বললাম যদি ৩ মাসে দিয়ে দিতে পারেন তাহলে ৩২ হাজারে ক্লোজ করতে পারবেন।
এইভাবে মৌখিকভাবে কি বলা যাবে?
৩ মাসে কেউ দিলে তাকে নিজ থেকে যদি কোম্পানি ডিস্কাউন্ট দিয়ে দেয় ৬ মাসের কিস্তির উপরে তাহলে উপরোক্ত মৌখিকভাবে বলার সুযোগ আছে কি?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কিস্তিতে অতিরিক্ত মূল্যে পন্য ক্রয় জায়েয আছে।সুদ হবে না।তবে শর্ত হল যে, দেড়ীতে মালের মূল্য পরিশোধ করার দরুণ প্রথমেই  একটি মূল্য নির্ধারণ করে নিতে হবে।যেমন -একটি ফ্রিজ, নগদ হলে চল্লিশ হাজার টাকা।আর ১২মাসের কিস্তিতে হলে পঞ্চাশ হাজার টাকা।এভাবে লেনদেনের পূর্বেই দুটি মূল্য ঠিক করে নিতে হবে।পরবর্তীতে আবার অতিরিক্ত মূল্য চার্জ করা যাবে না।কিস্তি মিস হলে অতিরিক্ত চার্জ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে।(কিতাবুল ফাতাওয়া-৫/১৯৯--৫/২২৪)

হযরত শুবা ইবনুল হাজ্জাজ রাহ. (মৃত্যু : ১৬০ হি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাকাম ইবনে উতাইবা এবং হাম্মাদ ইবনে আবু সুলাইমকে এক ক্রেতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, সে অন্যের থেকে পণ্য ক্রয় করে আর বিক্রেতা তাকে বলে যে, নগদ মূল্যে কিনলে এত টাকা আর বাকিতে কিনলে এত টাকা। (এতে কোনো অসুবিধা আছে কি?) তারা উভয়ে বললেন,  ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে যদি (মজলিস ত্যাগ করার পূর্বে) কোনো একটি (মূল্য) চূড়ান্ত করে নেয় তাহলে এতে কোনো অসুবিধা নেই।
দেখুন : মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২০৮৩৬; জামে তিরমিযী ১/১৪৭।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/325

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
৩০ হাজার টাকার কোনো প্রোডাক্ট ৬ মাসের কিস্তিতে ৩৫ হাজার টাকায় যদি চুক্তি করা হয় কিন্তু মৌখিকভাবে যদি চুক্তি করা হয় যে, ৩ মাসে দিয়ে দিতে পারলে ৩২ হাজারে ক্লোজ করা হবে, তাহলে সেটাও জায়েয হবে।মৌখিকভাবেও চুক্তি করা যিবে। দেখেন লিখিত চুক্তি হোক বা মৌখিক,চুক্তি তো চুক্তিই।হ্যা, লিখে রাখা উত্তম। মোটকথা, চুক্তি লিখিত হওয়া আবশ্যক নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 74 views
...