আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
463 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (7 points)
কেও যদি ইভ্যালির ডিসকাউন্ট কার্ড কিনেছে (পূর্বে প্রশ্নের উত্তর অনুযায়ী যা না জায়েজ বা হারাম) এবং এখন সে বিক্রি করতে ইচ্ছুক। এখন তার সাথে কথা হল যে, দোকানে গিয়ে পুরো টাকার পণ্য পছন্দ করে তাকে জানালে সে পেমেন্ট করে দিবে ঐ ডিসকাউন্ট কার্ড দিয়ে। বিনিময়ে তাকে পরবর্তীতে টাকা দিতে হবে।
এখন,  যে কিনতে চায় তার হুকুম কি? আর যে বিক্রি করতে চাচ্ছে তার হুকুম কি?'
জাজাকাল্লাহ্।

1 Answer

0 votes
by (708,800 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/15499 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,আপনি প্রথমে টাকা দিচ্ছেন।১/২মাস পর প্রডাক্ট হাতে পাবেন।এটার নাম হল,বয়ে সালাম।অর্থাৎ টাকা আগে দেওয়া এবং মাল পরবর্তীতে হস্তগত হওয়া।বয়ে সালাম জায়েয।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا إِذَا تَدَايَنْتُمْ بِدَيْنٍ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى فَاكْتُبُوهُ
হে মুমিনগণ! যখন তোমরা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঋনের আদান-প্রদান কর, তখন তা লিপিবদ্ধ করে নাও এবং তোমাদের মধ্যে কোন লেখক ন্যায়সঙ্গতভাবে তা লিখে দেবে; লেখক লিখতে অস্বীকার করবে না।(সূরা বাকারা-২৮২)

হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عباس رضي الله عنهما قال : " قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَدِينَةَ وَهُمْ يُسْلِفُونَ بِالتَّمْرِ السَّنَتَيْنِ وَالثَّلاَثَ، فَقَالَ: ( مَنْ أَسْلَفَ فِي شَيْءٍ، فَفِي كَيْلٍ مَعْلُومٍ، وَوَزْنٍ مَعْلُومٍ، إِلَى أَجَلٍ مَعْلُومٍ)
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদীনায় আসেন তখন মদীনাবাসী ফলে দু’ ও তিন বছরের মেয়াদি সালাম ব্যবসা করত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কোন ব্যক্তি সালাম ব্যবসা করলে সে যেন নির্দিষ্ট মাপে এবং নির্দিষ্ট ওজনে নির্দিষ্ট মেয়াদে সালাম করে।(সহীহ বোখারী-২২৪০,সহীহ মুসলিম-৪২০২)

ইবনে হজর মক্কী রাহ বলেন,
"واتفق العلماء على مشروعيته إلا ما حكي عن ابن المسيب "
ইবনুল মুসাইয়্যিব রাহ ব্যতীত সমস্ত উলামায়ে কেরাম, বয়ে সালাম জায়েয হওয়ার বিষয়ে একমত।(ফাতহুল বারী-৭/৭৬)

পশ্নে উল্লিখিত সূরত হল,ক্রয়বিক্রয়ের প্রসিদ্ধ পদ্ধতি ব'য়ে সালাম।তথা মূল্যকে পূর্বে দিয়ে দেয়া।এবং পরবর্তীতে মালকে হস্তগত করা।এ পদ্ধতির ক্রয়বিক্রয় শরীয়তে অনুমোদিত। (ফাতাওয়া মাহমুদিয়্যাহ-বয়ে সালাম-১৬/২০৯)

সুতরাং এভাবে ব্যবসা করা যাবে। এবং অগ্রীম মূল্য গ্রহণ করা যাবে।এভাবে অগ্রীম মূল্য গ্রহণ করলে  গ্রহণকারী সে মূল্যর মালিক হয়ে যাবে।উক্ত গৃহীত মূল্য দ্বারা যদি কোনো অবৈধ কাজ করা হয়,তাহলে সেই অবৈধ কাজের দায়ভার সেই গ্রহীতা বিক্রেতা ব্যক্তির-ই হবে।ক্রেতা বা মূল্যদান কারী ব্যক্তির এতে কোনো গোনাহ হবে না। ইভ্যালি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1536

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বয়ে সালাম জায়েয। তবে এখানে যেহেতু পণ্য নির্দিষ্ট নয়, বরং অনির্দিষ্টভাবে একটি গিফট ভাউচার ক্রয় করা হচ্ছে, তাই এ ক্রয় বিক্রয় জায়েয হবে না। কেননা তাতে সুদ ও জুওয়া এর অর্থ বিদ্যমান রয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
জাজাকাল্লাহ্ শায়েখ।  

প্রশ্নটিকে আমি বুঝাতে পারিনি আসলে। এর আগে প্রশ্ন করেছিলাম https://ifatwa.info/15491/  এর পরিপ্রেক্ষিতে এই সম্পূরক প্রশ্নটি করেছিলাম। 

ব্যাপারটি এমন কেও বাটা কোম্পানির পাঁচ হাজার টাকার গিফট ভাউচার দুই হাজার টাকায় কিনল বয়ে সালাম পদ্ধতিতে। আপনার উত্তর অনুযায়ী পণ্যের উল্লেখ না থাকায় তা নাজায়েজ বা হারাম।  এখন সে ঐ গিফট ভাউচার বিক্রি করতে চাচ্ছে। তার সাথে আমার কথা হল আমি দোকানে গিয়ে ঐ পাঁচ হাজার টাকার জুতো পছন্দ করে নিলে সে গিফট ভাউচার দিয়ে পেমেন্ট করে দিবে। এবং এর পরিবর্তে আমার তাকে আড়াই হাজার টাকা দিতে হবে। এখন আমার জন্য এই এই কেনাকাটা করা জায়েজ হবে কিনা? 

বারবার প্রশ্ন করে বিরক্ত করবার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী শায়েখ। 
by (708,800 points)
আপনার বর্ণিত পদ্ধতিতে এ বেছাকেনার মাধ্যমে শুধুমাত্র আপনার আসল টাকা ঐ কম্পানি থেকে তুলে নিতে পারবেন। যখন আপনার আসল টাকা আপনি ঐ কম্পানি  থেকে তুলে নিবেন, তখন আর বেছাকেনা জায়েয হবে না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 74 views
...