আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
274 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

আমরা জানি বিড়ালের হাত পা ও চামড়া ও গা পাক।কিন্তু আমি বেশ কয়েকটি বিড়াল পালার সুবাদে খেয়াল করেছি তারা অনেক সময় যেখানে মল ত্যাগ করে অথবা প্রসাব করে তার পর পরেই তা হাত ও পায়ের তালু দিয়ে আচড়ে  স্বভাবত তা যদি কোনো সলিড জায়গা হয়(এমনকি নরম মাটি হলেও) এই আচড়ানোর সময় তাদের হাতে পায়ের তালুতে প্রসাব লেগে যায়। পরবর্তীতে বিড়াল তার অবসর সময়ে তার এই হাতের বা পায়ের তালু বা গায়ের অন্যান্য ভাগ চাটাচাটি করে,এটা বিড়ালের নিয়মিত অভ্যাস।প্রতিদিন বেশ কয়েকবার করে।আবার বিড়াল অনেক সময় তাদের যৌনাংগ ও মলত্যাগের জায়গাও চেটে পরিষ্কার করে।

আমার প্রশ্ন
১,হাত বা পায়ের তালু চাটার কারণে পরিষ্কার পাক  হয়ে যাবে কিনা?
২,বিড়ালের গায়ে কোনো পানি লাগলে হোক তা পাক বা নাপাক সেটা চেটে নেয়।এতে করে গায়ের সে অংশ পাক হবে কিনা।


কারণ বিড়ালের গা ত মূলগত ভাবে পাক ধরা হয়,এসব বিড়াল যেসব পোষা বিশেষত তাদের হাতে পায়ে প্রসাব লাগা স্বাভাবিক,এভাবে চাটার দারা পাক না ধরা হলে প্রতিদিন তাদের হাত পা ধুয়ে দিতে হবে, কারণ পরবর্তিতে হাত পা শুকিয়ে গেলেও বাসাবাড়িতে বিভিন্ন ভেজা ও পানি যুক্ত জায়গায় যাতায়াত করে এভাবে ঘর নাপাক হবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জরুরত অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে হালাল করে দেয়,
 ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।
যেমনঃ-কোরআন থেকে.....
 ﻭَﻣَﺎ ﻟَﻜُﻢْ ﺃَﻻَّ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﻣِﻤَّﺎ ﺫُﻛِﺮَ ﺍﺳْﻢُ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﻗَﺪْ ﻓَﺼَّﻞَ ﻟَﻜُﻢ ﻣَّﺎ ﺣَﺮَّﻡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﺍﺿْﻄُﺮِﺭْﺗُﻢْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻭَﺇِﻥَّ ﻛَﺜِﻴﺮًﺍ ﻟَّﻴُﻀِﻠُّﻮﻥَ ﺑِﺄَﻫْﻮَﺍﺋِﻬِﻢ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﻋِﻠْﻢٍ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻌْﺘَﺪِﻳﻦ
তরজমাঃ-কোন কারণে তোমরা এমন জন্তু থেকে ভক্ষণ করবে না, যার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়, অথচ আল্লাহ ঐ সব জন্তুর বিশদ বিবরণ দিয়েছেন, যেগুলোকে তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন; কিন্তু সেগুলোও তোমাদের জন্যে হালাল, যখন তোমরা নিরুপায় হয়ে যাও। অনেক লোক স্বীয় ভ্রান্ত প্রবৃত্তি দ্বারা না জেনে বিপথগামী করতে থাকে। আপনার প্রতিপালক সীমাতিক্রম কারীদেরকে যথার্থই জানেন।(সূরা আন-আম-আয়াতঃ-১১৯)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জরুরতের কারণে বিড়ালের শরীরে দৃশ্যমান নাজাসত না থাকলে তার সমস্ত শরীরকে পবিত্র বলা হয়েছে।সুতরাং এখানে অন্য কোনো দিক দেখার প্রয়োজনিয়তা নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...