আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

১ পাখির শুকনো পায়খানাতে যদি হাল্কা ভেজা কাপড় লাগে।এমন ভাবে লাগে যাতে,কাপড়েও পায়খানা ভরে নি আবার পায়খানাও শুকনাই আছে , ভেজেনি।এতে কাপড়টি নাপাক হবে?

২,বিড়াল তার জিহবা দিয়ে অনেক নাপাকি চাটে,এমনকি তার নিজের প্রসাব  পরে তা দিয়ে নিজের গা চাটে।এতে কি বিড়ালের গা নাপাক হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

বিশিষ্ট তাবেয়ি শুবাহ (রহ.) বলেন-

عَنْ شُعْبَةَ ، قَالَ : سَأَلْتُ الْحَكَمَ ، وَحَمَّادًا عَنْ خُرْءِ الطَّيْرِ ؟ فَقَالاَ : لاَ بَأْسَ بِهِ

‘আমি হাকাম ও হাম্মাদ (রহ.)কে পাখির বিষ্ঠা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বলেছেন: কোন সমস্যা নেই।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ১২৬৬]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পাখির ক্ষেত্রে তাদের বিষ্ঠা নাপাক হওয়ার মূলনীতি হলোঃ
যেসব পাখির গোশত খাওয়া হালাল এবং উড়ে বেড়ায় সেগুলোর বিষ্ঠা নাপাক নয়।
রদ্দুল মুহতার ১/৩২০.আহসানুল ফাতওয়া ২/৮৪.ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ১/৩২২)
,
ফাতাওয়ায়ে শামীর ইবারতঃ

وفي “الدر المختار” مع “رد المحتار” 577:1، ط: الأزهر، ( وخرء ) كل طير لا يذرق في الهواء كبط أهلي (ودجاج ) أما ما يذرق فيه ، فإن مأكولا فطاهر وإلا فمخفف. وقال ابن عابدين رح تحت قوله: ( قوله : فإن مأكولا ) كحمام وعصفور .اهـ. 

সারমর্মঃ যেসব পাখি হাওয়ায় উড়ে বেড়ায়,সেগুলোর গোশত খাওয়া যদি হালাল হয়,তাহল তার বিষ্ঠা পাক।
অন্যথায় নাজাসাতে খফিফাহ।
গৃহপালিত হাঁস মুরগী এগুলো উড়তে পারেনা,এগুলোর বিষ্ঠা নাপাক।

বিস্তারিত  জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত পাখির বিষ্ঠা যদি নাপাকও হয়,তবুও প্রশ্নে উল্লেখিত কাপড়ে বিষ্ঠার চিন্হ/গন্ধ পাওয়া না গেলে সেই কাপড় পাক থাকবে।

(০২)
এতে বিড়ালের শরীর নাপাক হবেনা। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ حُمَيْدَةَ بِنْتِ عُبَيْدِ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ كَبْشَةَ بِنْتِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ- وَكَانَتْ تَحْتَ ابْنِ أَبِي قَتَادَةَ - أَنَّ أَبَا قَتَادَةَ، دَخَلَ فَسَكَبَتْ لَهُ وَضُوءًا، فَجَاءَتْ هِرَّةٌ فَشَرِبَتْ مِنْهُ، فَأَصْغَى لَهَا الإِنَاءَ حَتَّى شَرِبَتْ، قَالَتْ كَبْشَةُ: فَرَآنِي أَنْظُرُ إِلَيْهِ، فَقَالَ: أَتَعْجَبِينَ يَا ابْنَةَ أَخِي؟ فَقُلْتُ: نَعَمْ . فَقَالَ: إِنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّهَا لَيْسَتْ بِنَجَسٍ إِنَّهَا مِنَ الطَّوَّافِينَ عَلَيْكُمْ وَالطَّوَّافَاتِ " . - حسن صحيح

কাবশাহ বিনতু কা‘ব ইবনু মালিক (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি ছিলেন আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ)-এর পুত্রবধূ। তিনি বলেন, একদা আবূ ক্বাতাদাহ (বাহির থেকে) আসলে আমি তার জন্য অযুর পানি দিলাম। এমন সময় একটি বিড়াল এসে তা থেকে পানি পান করতে লাগল। আবূ ক্বাতাদাহ বিড়ালের জন্য পাত্রটি কাত করে ধরলেন। ফলে বিড়ালটি তৃপ্তি সহকারে পান করল। কাবশাহ বলেন, আবূ ক্বাতাদাহ দেখলেন, আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি। তিনি বললেন, হে ভাতিজী! তুমি কি আশ্চর্যবোধ করছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিড়াল নাপাক নয়। এরা সর্বদা তোমাদের কাছে ঘুরাফেরাকারী প্রাণী।

তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ বিড়ালের উচ্ছিষ্ট সম্পর্কে, হাঃ ৯২), নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ বিড়ালের উচ্ছিষ্ট, হাঃ ৬৮),আবু দাউদ ৭৫, ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হাঃ ৩৬৭), আহমাদ (৫/২৯৬, ৩০৩, ৩০৯), মালিক (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হাঃ ১৩)।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...