আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in পবিত্রতা (Purity) by (98 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
পিরিয়ড শেষ হওয়ার সম্ভবত  ৯ থেকে ১১ দিন পর আবার পিরিয়ড হয়! আগে কখনোই এরকম হয় নি!  সবসময় মাস শেষে হতো!
জানি যে পিরিয়ড শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পিরিয়ড হলে সেটাকে ইস্তেহাজা বলে এবং এই অবস্থায় নামাজ ইবাদত করতে হয়!

১.  কিন্তু এই ইস্তিহাজা সম্পুর্ন পিরিয়ডের মতো হয়েছে এবং নরনালি পিরিয়ড ৭ দিন থাকে, ইস্তিহাজাও ৭ দিন ছিলো!পিরিয়ড যেরকম ধীরে ধীরে শেষ হয়, ইস্তিহাজাও সেভাবেই শেষ হয়েছে!  এখন কনফিউজড এটা কি পিরিয়ড ছিলো নাকি ইস্তিহাজা?!

( বি দ্রঃ  ইস্তিহাজা যেদিন হয়েছে তার পরের দিন সকাল থেকে ইস্তিহাজার রুকাইয়া করা শুরু করি!  ইস্তিহাজা তো অনেকের অনেক দিনও থাকে! রুকাইয়ার কারণে কি ৭ দিনে ভালো হয়ে গেলো নাকি পিরিয়ড ছিলো বুঝতে পারছি না! একদম পিরিয়ডের মতোই ছিলো)
২.আমি তো নামাজ পরেছি এই অবস্থায়!  ৭  দিন পর ইস্তিহাজা যে ভালো হলো এখন কি ফরজ গোসল করতে হবে?
৩. পিরিয়ড এর তারিখ মাসের ২৩ থেকে ২৫ তারিখের আশেপাশে!  আর ইস্তিহাজা ভালো হয়েছে ১৯ তারিখ! এখন পরবর্তীতে পিরিয়ড এর তারিখ কোনটা ধরবো?!  আগের তারিখ অনুযায়ী ই হবে?

৪. ১৯ তারিখ যে ইস্তিহাজা ভালো হলো এটা  তো পিরিয়ড না জানি!  কিছুদিন পর পিরিয়ডের তারিখ আসছে! তখন পিরিয়ড হলে সেটাকে তো পিরিয়ড ই মনে করবো তাই না? নাকি ইস্তিহাজা শেষ  হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পিরিয়ড  হলে সেটাও ইস্তিহাজা?!

৫. ইস্তিহাজার কারণে কি পিরিয়ডের তারিখ চেইঞ্জ হতে পারে?!  মানে ১৯ তারিখ ইস্তিহাজা শেষ হলো আর ২৫ তারিখের ভিতর আগে পরে পিরিয়ড হওয়ার তারিখ ছিলো !  এখন যদি এই তারিখে পিরিয়ড না হয় এই মাসে তাহলে কোন তারিখ অনুযায়ী পিরিয়ড এর সময় হিসাব করবো?!
জাজাকাল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔
দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।(রদ্দুল মুহতার-১/২৮৫)
:ومن جملۃذٰلک الدم المتخلل فی اقل مدۃ الطھرولا یمکن معرفقہ ذٰلک الّا بعد معرفۃ اقل الطھرواقلہ خمسۃ عشر یوماً عندنا۔
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমার মধ্যে
 দমে মুতাখাল্লিল এর বিধানের সারাংশ হলো পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন হিসেবে ধরে তার পরিচয় জানা যাবে। (তাতারখানিয়া-১/৩২১)
وأقل الطہر بین الحیضتین أو النفاس والحیض خمسة عشر یوماً ولیالیہا إجماعاً (درمختار: ۱/۴۷۷، ط: زکریا دیوبند) 
والناقص عن أقلہ والزائد علی أکثرہ أو أکثر النفاس أو علی العادة وجاوز أکثرہما ․․․․․․ استحاضة ۔ (المصدر السابق)
হায়েজের সর্বনিম্ন সীমার থেকে কম বা বেশি,নেফাসের 
সর্বোচ্চ সীমার থেকে বেশি ইস্তেহাজা।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) যেহেতু ১৫ দিনের পূর্বে শুরু হয়েছে, তাই এটা ইস্তেহাযা।

(২)
না, ইস্তেহাযা শেষ হওয়ার পর গোসল ফরয নয়।হ্যা আপনি চাইলে গোসল করতে পারবেন।

(৩)
আগের তারিখ থেকেই আপনি হায়েয গণ্য করবেন।কেননা হায়েযের পর ১৫ দিনের পর তিন পর্যন্ত রক্তস্রাব স্থায়ী ছিলনা।তাই আগের সময়কেই আপনি গণ্য করবেন।

(৪)
ইস্তেহাযা শেষ হওয়ার পর ১৫ দিন পবিত্রতা শর্ত নয়।বরং হায়েয থেকে ১৫ দিন পবিত্রতা শর্ত।

(৫)
১৯ তারিখের পর যখনই রক্তস্রাব তিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে,তখনই সেটাকে হায়েয গণ্য করা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
 সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...