ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআলা নিজের জন্য কখনো সীগায়ে ওয়াহিদ (একবচন) ব্যবহার করেছেন আবার কখনো সীগায়ে জমা (বহুবচন) ব্যবহার করেছেন। আবার কখনো একই আয়াতে সীগায়ে ওয়াহিদ ও জমা উভয়টি ব্যবহার করেছেন। যেমন
فَذَرْنِي وَمَنْ يُكَذِّبُ بِهَذَا الْحَدِيثِ سَنَسْتَدْرِجُهُمْ مِنْ حَيْثُ لَا يَعْلَمُونَ ، وَأُمْلِي لَهُمْ إِنَّ كَيْدِي مَتِينٌ (القلم : 44)
অতএব, যারা এই কালামকে মিথ্যা বলে, তাদেরকে আমার হাতে ছেড়ে দিন, আমি এমন ধীরে ধীরে তাদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাব যে, তারা জানতে পারবে না।(সূরা কালাম-৪৪)
ইমামুন নাহব রযীউদ্দীন মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (মৃত্যু : ৬৮৬ হি.) ‘আল ওয়াফিয়া শারহুল কাফিয়া’ গ্রন্থে (ফেয়েলে মুযারের বহছ ৪/১৮)- যা ‘শরহুর রযী’ নামে প্রসিদ্ধ- বলেন:
ويقول الواحد المعظم أيضا : نفعل وفعلنا، وهو مجاز عن الجمع لعدهم المعظم كالجماعة
অর্থাৎ সম্মানী ও মহান ব্যক্তি একজন হলেও বহুবচনের সর্বনাম ব্যবহার করে বলেন, نفعل বা فعلنا । এটি বহুবচনের রূপকার্থ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। কারণ, একজন মহান ব্যক্তি একাই অনেক জনের সমষ্টিতুল্য।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
শুধুমাত্র ইংরেজী নয়, বরং আরবীতেও আল্লাহ স্বয়ং নিজের জন্য কখনো কখনো বহুবচনের শব্দ উল্লেখ করেছেন। এটা সম্মানার্থেই ব্যবহার করা হয়েছে।