আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
আসসআলামু আলাইকুম শায়েখ।

ফেরেশতাদের আল্লাহ কেন সৃষ্টি করেছেন??

যেমন আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের মাধ্যমে বৃষ্টি বর্ষণ করান,ফেরেশতার মাধ্যমে তাঁর বান্দার রুহ কবজ করান ইত্যাদি আরো বিভিন্ন কাজে তারা নিয়োজিত।

প্রশ্ন হলো আল্লাহ সুবহানআল্লাহ তায়ালা তিনি তো সর্বশক্তিমান।তাহলে ফেরেশতাদের কেন বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত রাখলেন??ফেরেশতাদের ছাড়া তো আল্লাহ পাক এই সমস্ত কাজ পরিচালনা করতে সক্ষম।

জানার জন্য প্রশ্ন করা শায়েখ।

1 Answer

0 votes
by (682,000 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَتْ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ خُلِقَتِ المَلاَئِكَةُ مِنْ نُورٍ وَخُلِقَ الجَانُّ مِنْ مَارِجٍ مِنْ نَارٍ وَخُلِقَ آدَمُ مِمَّا وُصِفَ لَكُمْ رواه مسلم

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ফিরিশতাদেরকে জ্যোতি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। জিন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে অগ্নিশিখা হতে। আর আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে সেই বস্তু থেকে, যা তোমাদেরকে বর্ণনা করা হয়েছে। (অর্থাৎ, মাটি থেকে)।
(মুসলিম ৭৬৭৮)

আল্লাহ তায়ালা ইবাদত বান্দেগীর জন্য সর্বপ্রথম ফেরেশতাদের সৃষ্টি করেছেন।
দুনিয়া সৃষ্টির পূর্বেই তাদের সৃষ্টি করেছেন,একমাত্র ইবাদত এখানে উদ্দেশ্য। 

যেসমস্ত দায়িত্ব তাদের দেয়া হয়েছে,এগুলো সবই আল্লাহর আদেশ মানা ও তার ইবাদত করারই অন্তর্ভুক্ত।    

মহান আল্লাহর সমস্ত হুকুম তামিল করেন ফেরেশতারা। তারা মহান আল্লাহর আরশে সর্বদা আল্লাহর প্রশংসাগীতিতে নিমগ্ন থাকেন ফেরেশতারা। 

তাঁরা আল্লাহর আরশের সৌন্দর্য। আল্লাহর আরশ বহন করেন সম্মানিত ফেরেশতারা। ইরশাদ হয়েছে, ‘(কিয়ামতের দিন) ফেরেশতারা আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে। সেদিন আটজন ফেরেশতা তোমার রবের আরশকে ধারণ করবে তাদের ঊর্ধ্বে।’ (সুরা : হাক্কাহ, আয়াত : ১৭)

ফেরেশতা সৃষ্টির আরো একটি হিকমত হলো, তাঁরা মানবজাতির সামনে অনুকরণীয় আদর্শ। মানুষের বোঝার সুবিধার্থে মহান আল্লাহ জোড়ায় জোড়ায় সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। যেমনঃ রাত-দিন, ওপর-নিচ, ডান-বাম, ভালো-মন্দ, আলো-আঁধার, মিঠা-তিতা, গরম-ঠাণ্ডা, সূর্য-চন্দ্র, আসমান-জমিন ও জীবন-মৃত্যু।
মানুষের বিপরীতে মহান আল্লাহ ফেরেশতা ও শয়তান সৃষ্টি করেছেন। ফেরেশতারা পাপাচার করতেই জানেন না। সব সময় তাঁরা পুণ্যময় কাজে নিমগ্ন থাকেন। আর শয়তান সর্বদা শয়তানি ও পাপাচারে লিপ্ত থাকে। শয়তানের জাতিসত্তায় আছে অপরাধপ্রবণতা। এর বিপরীতে মানুষকে স্বাধীন সত্তায় সৃষ্টি করা হয়েছে। 
মানুষ পাপও করতে জানে, পুণ্যও করতে পারে। ফেরেশতা ও শয়তান।
এই দুই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে বিশেষ হিকমতে, যাতে মানুষ সতর্ক হতে পারে।
(কিছু তথ্য সংগৃহীত)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...