আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
201 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)


আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

মুহতারাম হজরত-এর নিকট প্রশ্ন:

'মুজাররাব আমল' সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।

এই সম্পর্কে মোটামুটি যা জানতে পেরেছি, তা এই রকম -

কুরআন ও হাদিসে সরাসরি উল্লেখ নেই, কিন্তু একটি দুয়া/ওয়াযীফা/কুরআনের আয়াত বা আয়াতের একটি নির্দিষ্ট অংশ একটি নির্দিষ্ট তরতীবে (দিন ও সংখ্যা হিসেবে) পড়লে আশা করা যায় মাকসাদ বা উদ্দেশ্য পূরণ হবে। বুযুর্গানে দ্বীন এইভাবে আমল করে ফল পেয়েছেন, আশা করা যায়, ওই তরতীবে আমল করলে ঐরকম ফল পাওয়া যাবে। যেমন - সূরা ইয়াসিন এর অমুক আয়াত এতবার পড়লে কাশি দূর হয়ে যাবে, আস্তাগফিরুল্লাহ প্রতিদিন ২০০০ বার বিরতিহীন ভাবে এক বসাতে লাগাতার ৩০ দিন পড়লে যত বড় কর্জ থাকুক, আল্লাহ ব্যবস্থা করে দেবেন তা পরিশোধ এর - ইত্যাদি ইত্যাদি।

এখন অনেকেই অভিযোগ করেন, কর্জ পরিশোধের নির্ধারিত দুই বা ততোধিক দুয়া হাদিসে আছে, এর বাহিরে অন্য আমল করার দরকার নেই, সেইটা দ্বারা এইটা বুঝানো হচ্ছে যে , আল্লাহর নবী (সাঃ) এর হাদিস এর উপর একীন কম বলে অন্য আমল এর দিকে দৌড়াচ্ছে, যেইটার উল্লেখ কুরআন-হাদিস এ নেই !

একটু ব্যাখ্যা স্বাপেক্ষে বুঝিয়ে দিলে উপকৃত হতাম। 

জাযাকাল্লাহ খায়রা,

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কুরআন হাদীসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যে সমস্ত বিবরণ এসেছে, হুবহু সেই বিবরণ সাপেক্ষ্যে আমাদেরকে আ'মল করতে হবে। যেভাবে আসবে,সেভাবেই আমল করতে হবে। কমানো বাড়ানো যাবে না। কোনো সংখ্যা দ্বারা নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত করা যাবে না।

কিছু দু'আ র বেলায় হাদীসে সংখ্যার উল্লেখ রয়েছে।সুতরাং সেগুলোকে উক্ত সংখ্যায় পড়াই সুন্নাত।অন্যদিকে কিছু দু'আ এমন রয়েছে যেগুলোতে সংখ্যার উল্লেখ আসেনি।সুতরাং সেগুলো কে বিশেষ কোনো সংখ্যা দ্বারা আখ্যায়িত করা,বা উক্ত সংখ্যার সাথে জরুরী মনে করা ঠিক হবে না।এমনকি বাড়াবাড়ি করলে বেদ'আত পর্যন্ত হুকুম আসবে।
হ্যা পূর্ববর্তী কিছু নেককার বান্দাগণ(সালাফে সালেহীন) তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু সংখ্যার পরামর্শ দেন বা পদ্ধতির পরামর্শ দেন,সেগুলোকে জরুরী বা সুন্নত মনে না করে আ'মলে নেয়া যেতে পারে।তবে এক্ষেত্রে এমন মনোভাব রাখতে হবে যে,উক্ত সংখ্যা বা পদ্ধতি আমাদের উদ্দেশ্য নয় বরং আমাদের উদ্দেশ্য হল, বেশী বেশী করে পড়া।কিন্তু কতটুকু পড়ালে বেশী হবে?সেটা তো আমরদের জানা নেই।তাই নেককার বান্দাদের পরামর্শকৃত একটা সংখ্যা বা পদ্ধতিকে আপাতত আমরা বেশীর মানদন্ড হিসেবে ধরে নিচ্ছি।এবং সাথে সাথে নিজেকে খালিছভাবে আল্লাহর সামনে উপস্থাপন করছি।হয়তো এই বেশী পড়ার মনোভাব থাকায় আল্লাহ আমাদের দু'আ কে কবুল করে নিতে পারেন।জাযাকুমুল্লাহ। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1104

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কর্জ পরিশোধের জন্য কুরআন সহীহ হাদীসে যেই আ'মলের কথা বলা হয়েছে, সেই আ'মলকেই গ্রনণযোগ্য বিবেচনা করা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by

একটা বয়ানে শুনেছিলাম, সংখ্যার হিসেবে, অর্থাৎ কোনো একটা দুয়া, জিকির এতবার এতবার করে পড়া, এইটা সাহাবীদের (রাঃ) সময় থেকেই প্রমাণিত। উনাদের মধ্যেও এই ধরণের আমল এর অভ্যাস ছিলো এবং রাসূলুল্লাহ (সঃ) তা জেনে নিষেধ করেন নি।

 এই যে বলা হচ্ছে, সাহাবীদের (রাঃ) আমল থেকেই এইটা প্রমাণিত, এই ক্ষেত্রে কি আপনাদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি আছে ? বা আপনারা এই ব্যাপারে কি বলেন ?

by (597,330 points)
কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রমাণিত রয়েছে। যে সব ক্ষেত্রে প্রমাণিত নয়, সে সব ক্ষেত্রে সংখ্যাকে নির্দিষ্ট করা যাবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...