জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " الإِمَامُ ضَامِنٌ وَالْمُؤَذِّنُ مُؤْتَمَنٌ اللهُمَّ أَرْشِدِ الأَئِمَّةَ وَاغْفِرْ لِلْمُؤَذِّنِينَ "
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম হচ্ছেন যিম্মাদার এবং মুয়াজ্জিন (ওয়াক্তের) আমানাতদার। ‘হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন এবং মুয়াজ্জিনদের ক্ষমা করে দিন।’
তিরমিযী (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ ইমাম যিম্মাদার এবং মুয়াজ্জিন আমানতদার, হাঃ ২০৭), আহমাদ (২/২৩২/২৮৪), ইবনু খুযাইমাহ (১৫২৮), ইবনু হিববান (৩৬৩), বায়হাক্বী (১/৪৩০), ত্বাবারানী ‘সাগীর’ (১/২১৪)।
ইমামতির শর্ত সমূহ।
১। পুরুষ হওয়া।
২। মুসলমান হওয়া।
৩। বালেগ হওয়া। নাবালকের ইমামতি শুদ্ধ নয়।
৪। বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়া। পাগলের ইমামতি শুদ্ধ নয়।
৫। নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কেরাত শুদ্ধভাবে পড়তে সক্ষম হওয়া। সুতরাং যে ব্যক্তি নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য যতটুকু কেরাত পড়া প্রয়োজন, ততটুকু পড়তে সক্ষম নয়, ওই ব্যক্তির ইমামতি শুদ্ধ নয়।
৬। নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার যতগুলো শর্ত আছে, তার মধ্য থেকে যদি শুধু একটি শর্তও পাওয়া না যায়, তাহলে তার ইমামতি শুদ্ধ হবে না।
৭। ওজর তথা নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া, প্রস্রাব ঝরা, সর্বক্ষণ বায়ু নির্গত হওয়া ইত্যাদি যাবতীয় অপারগতামুক্ত হওয়া।
৮। শব্দের সঠিক উচ্চারণে সক্ষম হওয়া।
আরো জানুনঃ
★সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে উক্ত ব্যাক্তি ইমামতি করতে পারবে,জুমুয়ার খুতবাও দিতে পারবে।
তবে এক্ষেত্রে বয়ান ইত্যাদির জন্য বিজ্ঞ ইসলামী স্কলারদের কিতাবাদী থেকে বলবে।
নিজ থেকে বক্তব্য দিবেনা।
কেউ মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করলে জবাব নিজে না দিয়ে বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামদের স্বরনাপন্ন হতে বলবে।
বা তাদের থেকে হুবহু সেই মাসয়ালা সম্পর্কে প্রশ্ন করে তার জবাব হুবহু শুনাবে।