আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায,

একজন যদি মাদ্রাসায় পড়া চলমান অবস্থায় ঈমাম বা খতিবের দায়িত্ব পালন করে সে সূরা কিরাত মোটামুটি পারে,কুরআন শুদ্ধ পড়তে পারে,এছাড়া কিছু মাসয়ালামাসায়েল জানে।এ অবস্থায় সে ঈমামতি বা জুমুয়ার খুতবা দিতে পারবে?

অথবা,ঈমাম বা খতিব হওয়ার জন্য কিকি যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন দয়া করে জানাবেন ইনশাআল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


 হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " الإِمَامُ ضَامِنٌ وَالْمُؤَذِّنُ مُؤْتَمَنٌ اللهُمَّ أَرْشِدِ الأَئِمَّةَ وَاغْفِرْ لِلْمُؤَذِّنِينَ "

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম হচ্ছেন যিম্মাদার এবং মুয়াজ্জিন (ওয়াক্তের) আমানাতদার। ‘হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন এবং মুয়াজ্জিনদের ক্ষমা করে দিন।’
তিরমিযী (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ ইমাম যিম্মাদার এবং মুয়াজ্জিন আমানতদার, হাঃ ২০৭), আহমাদ (২/২৩২/২৮৪), ইবনু খুযাইমাহ (১৫২৮), ইবনু হিববান (৩৬৩), বায়হাক্বী (১/৪৩০), ত্বাবারানী ‘সাগীর’ (১/২১৪)।

ইমামতির শর্ত সমূহ।

১। পুরুষ হওয়া।
২। মুসলমান হওয়া।
৩। বালেগ হওয়া। নাবালকের ইমামতি শুদ্ধ নয়।
৪। বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়া। পাগলের ইমামতি শুদ্ধ নয়।
৫। নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কেরাত শুদ্ধভাবে  পড়তে সক্ষম হওয়া। সুতরাং যে ব্যক্তি নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য যতটুকু কেরাত পড়া প্রয়োজন, ততটুকু পড়তে সক্ষম নয়, ওই ব্যক্তির ইমামতি শুদ্ধ নয়। 

৬। নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার যতগুলো শর্ত আছে, তার মধ্য থেকে যদি শুধু একটি শর্তও পাওয়া না যায়, তাহলে তার ইমামতি শুদ্ধ হবে না। 
৭। ওজর তথা নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া, প্রস্রাব ঝরা, সর্বক্ষণ বায়ু নির্গত হওয়া ইত্যাদি যাবতীয় অপারগতামুক্ত হওয়া। 
৮। শব্দের সঠিক উচ্চারণে সক্ষম হওয়া। 

আরো জানুনঃ 

★সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে উক্ত ব্যাক্তি ইমামতি করতে পারবে,জুমুয়ার খুতবাও দিতে পারবে।

তবে এক্ষেত্রে বয়ান ইত্যাদির জন্য বিজ্ঞ ইসলামী স্কলারদের কিতাবাদী থেকে বলবে।
নিজ থেকে বক্তব্য দিবেনা।

কেউ মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করলে জবাব নিজে না দিয়ে বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামদের স্বরনাপন্ন হতে বলবে।
বা তাদের থেকে হুবহু সেই মাসয়ালা সম্পর্কে প্রশ্ন করে তার জবাব হুবহু শুনাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...