আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
261 views
in সালাত(Prayer) by (32 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

(১) ৫ ওয়াক্ত নামাজ যদি জামাতে পড়ি, তাহলে ৫ ওয়াক্তের কোন ওয়াক্তেই কি সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা ইমামের পিছনে  থাকা অবস্থায় পড়বো না? কারন আমি শুনেছি যে, যেসকল ওয়াক্তের নামাজের সকল রাকাত ইমাম আস্তে পড়ে ও যেসকল নামাজের শেষের ২ রাকাত ইমাম আস্তে পড়ে সেসকল নামাজ বা রাকাতে নাকি ইমামের পিছে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা মিলিয়ে (শেষের ২ রাকাতে শুধু সুরা ফাতিহা) পড়া যাবে?

(২) একাকী নামাজ পড়ার সময় যোহর ও আসর নামাজে যেহেতু আস্তে আস্তে কিরাত করতে হয়, তাহলে সেই সময় কি এতটুকু জোড়ে কিরাত করা যাবে যে নিজে শুনতে পায় অথবা ২ পাশের দাড়ানো ব্যক্তিদ্বয় শুনতে পায়?

(৩) একাকী নামাজ পড়ার সময় যোহর ও আসর নামাজে যেহেতু আস্তে আস্তে কিরাত করতে হয়, তাহলে কেউ যদি ভালোভাবেই ঠোঁট নাড়িয়ে নাড়িয়ে কিরাত করে কিন্তু সেই কিরাতের শব্দ তার নিজ কান পর্যন্তই না আসে, (হয়তো ২/৩ শব্দ নিজ কানে শুনতে পায়) তাহলে কি সেই নামাজ আবার পড়তে হবে?
(কারন আমি যতটুকু জানি, আস্তে কিরাতের ক্ষেত্রেও সুরা পড়ার সময় নিজ কানে শুনতে হবে)

(৪) জামাতে নামাজ পড়ার সময় তো সুরা ফাতিহা এবং অন্য সুরা পড়তে হয়না। কিন্তু আত্তাহিয়াতু, দুরুদ শরিফ, দোয়া মাসুরা এগুলো তো পড়তে হয়। তাহলে যোহর ও আসর নামাজের ২য় ও ৪র্থ রাকাতে বৌঠকের পর যখন এগুলোর কোন একটি বা সবগুলো যখন কিরাত করা হয়, তখন কি সেই কিরাত ঠোঁট নাড়িয়ে করার পরও অন্তত নিজের কানে কিরাতের শব্দ আসতে হবে? নাকি শুধু ঠোঁট নাড়িয়ে কিরাত করলেই হবে?

(৫)আমি জামাতে নামাজে একটা জিনিস খেয়াল করে দেখেছি যে, প্রায় অনেকে মানুষই তাশাহুদ,দুরুদ শরিফ,দোয়া মাসুরা, এগুলা পড়ার সময় শুধু ঠোঁট দিয়ে দিয়ে উচ্চারণ করে। কিন্তু কোন শব্দ শুনা যায় না। তাহলে কি তাদের সেই  নামাজগুলো আবার পড়তে হবে?

(৬) জামাতে নামাজ পড়ার সময় বৌঠকে তাশাহুদ,দুরুদ শরিফ,দোয়া মাসুরা এগুলো পড়তে পড়তে ইমাম সালাম ফিরিয়ে ফেলে। অনেক সময় শুধু তাশাহুদ ও দুরুদ শরিফ পড়তে পারি। তখন হয়তো ইমামের সাথেই সালাম ফিরিয়ে ফেলি। কিন্তু মাঝে মাঝে যখন দুরুদ শরিফ পড়ার পর দোয়া মাসুরা অর্ধেক বা কিছু পড়ার পর দেখি ইমাম সালাম ফিরিয়ে ফেলেছে। না পারি সালাম ফিরাতে (কারন দোয়া মাসুরার অর্ধেক বা কিছুটা পড়েছি মাত্র), তখন না পারি দোয়া মাসুরার বাকি অংশ পড়তে (কারন ইমাম সালাম ফিরিয়ে ফেলেছে)।
তাই এমন অবস্থায় তখন করনীয় কি? দোয়া মাসুরা অর্ধেক পড়া অবস্থায়ই কি সালাম ফিরিয়ে ফেলবো?

(৬.১) নাকি ইমাম সালাম ফিরিয়ে ফেলার পরও আমি দোয়া মাসুরা সম্পুর্ণ শেষ করবো এবং এরপর সালাম ফিরাবো?

(৭) নামাজে কোন সুরা পড়ার পর যদি মনে হয় যে সুরার কোথাও ভুল পড়েছি, তখন যদি আবার সেই সুরা শুদ্ধ করে পড়ি। তারপর নামাজ শেষ করি। তাহলে প্রথমবার সুরাটি ভুল পড়ার কারনে কি নামাজটি আবার গন্য হবে না?

✔️আমি ওয়েবসাইটের কয়েকটি প্রশ্ন উত্তরই পড়েছি। কিন্তু তাও আমার পশ্নের উত্তর গুল্প মনমতো পাইনি। তাই আশা করি আমার পশ্নগুলো পড়বেন এবং পশ্ন অনুযায়ী উত্তরগুলো দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (588,600 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
من كان له إمام فقراءة الإمام له قراءة
অর্থঃ যে ব্যক্তির ইমাম থাকবে তাঁর ইমামের কিরাতই তার কিরাতের জন্য যথেষ্ট।(ইবনু আবী শাইবাহ ১/৯৭)

উচ্ছস্বরের নামায হোক বা নিম্নস্বরের নামায হোক, সকল নামাযের ক্ষেত্রেই মুক্তাদি কিরাত পড়বে না।বরং মুক্তাদি র জন্য ইমামের কিরাতই যথেষ্ট হিসেবে বিবেচিত হবে। এমনকি হানাফি ফিকহ অনুযায়ী মুক্তাদির জন্য কিরাত পড়া মাকরুহে তাহরিমী।

(২)
মুক্তাদির জন্য তো কোনো কিরাত নাই। ইমাম বা মুনফারিদ ব্যক্তি উচ্ছস্বরের জায়গায় উচ্ছস্বরে নামায পড়বে, এবং নিম্নস্বরের জায়গায় নিম্নস্বরে নামায পড়বে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2570

(৩)
যেহেতু নিজ কানে শুনে নাই,তাই উক্ত নামাযকে আবার দোহড়িয়ে পড়তে হবে।

(৪)
আপনার প্রশ্ন অসস্পষ্ট। আপনি সম্ভবত নামাযের বিভিন্ন দু'আ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। নামাযের বিভিন্ন দু'আ সম্পর্কে বলা যায়, যেই দু'আ গুলি ওয়াজিব।সেই দু'আ গুলিকে মনে মনে পড়লে হবে না,বরং এত উচ্ছস্বরে পড়তে হবে যে, নিজ কান দ্বারা শ্রবণ করা যায়। এবং সুন্নত দু'আগুলিকেও এমনভাবে পড়তে হবে, যাতেকরে নিজ কান দ্বারা শ্রবণ করা যায়, নতুবা সুন্নত আদায় হবে না।

(৫)
জ্বী, তারা নামাযকে পূনরায় দোগড়িয়ে পরবে

(৬)
মুক্তাদির তার দু'আ ইত্যাদি সমাপ্ত করার পরই পরবর্তী রুকুন আদায় করবে।

(৭)
প্রথমবার ভুল হলে শেষবার শুদ্ধ করে পড়তে হবে। এবং এজন্য সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।

কিভাবে উত্তর দিলে আপনি সন্তুষ্ট হবেন,দয়াকরে আমাদেরকে জানাবেন। প্রয়োজনে কমেন্ট করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,600 points)
সংযোজন করা হয়েছে। প্রয়োজনে কমেন্ট করবেন।অথবা এই নাম্বারে ওয়াটসাফ করবেন।
01717917686

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 152 views
...