আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
394 views
in সালাত(Prayer) by (32 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম
প্রশ্নটি মুফতি ইমদাদুল হক হুজুর এর কাছে, কারন আলহনে জালির ক্ষেত্রে উনার মাসালা ফলো করি। তাই অন্য কারো কাছে গেলে ইমদাদুল হক হুজুর এর কাছে হস্তান্তর এর অনুরোধ জানাচ্ছি।

★ ইমদাদুল হক হুজুর লাহনে জালি সম্পর্কে বলেনঃ-

তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

এখন প্রশ্নঃ-
    ১) এমন কি কখনো হতে পারে?..যে, ভুলে বা ইচ্ছাকৃত(যে পারেনা বা গাফেল) নিকটবর্তি মাখরাজ উচ্চারন হল কিন্তু অর্থ বিগড়ে গেছে?বা লাহনে জালি হয়েছে?
নাকি, সবসময় মানে যেকোন জায়গায় যেকোন ক্ষেত্রে যদি নিকটবর্তী মাখরাজ উচ্চারণ হলে কখন-ই অর্থ বিগড়ে যায়না বা লাহনে জালি হয় না?

২) যদি, এমন হয় যে নিকটবর্তী মাখরাজ উচ্চারণ হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অর্থ বিগড়ে যায় বা লাহনে জালি হয়। তাহলে আমরা যারা অর্থ জানি না তারা কেমনে বুঝব যে লাহনে জালি হয়েছে?

৩) দুরবর্তী মাখরাজ উচ্চারণ হলেই কি লাহনে জালি হবে নাকি অর্থ বিগড়ে যাওয়া আবশ্যক? অর্থাৎ, দুইটা একইসাথে হতে হবে নাকি যেকোনো একটি হলেই লাহনে জালি হবে?

বহু মসজিদ আছে, যেখানে ঈমাম সঠিক নির্বাচন করে না বা ঈমাম সঠিক নির্বাচন করলেও সে গাফেল বা ঈমাম ভালো হলেও যখন সে ছুটিতে যায় তখন তার দায়িত্ব ভালো ভাবে পালন করে না, এমন কাওকে রেখে যায় যার উচ্চারন সঠিক না আরো বড়  দোষ এলাকার মানুষের। আজ হয়ত অনেক জেনারেল পড়ুয়া ভাই, যাদের উচ্চারনে আলহামদুলিল্লাহ কোন সমস্যা নাই তারাএমন পরিস্থিতির শিকার। এবং, যারা আল্লাহ ভীরু, নামাজের প্রতি অনেক যত্নশীল তারা বুঝতে পারে না যে কি করবে। নামাজ ঠিক হলো কি না এই নিয়ে হতাশায় ভোগে। (এখানে উল্লেখ্য যে অনেকে পানের থেকে চুন খসলে ঈমাম কে দায়ী করে বা নামাজ আবার আদায় করে, এদের কথা বলছি না)।
তো আপনারা ওলামায়ে কেরাম। আসলে আপনারা বড় বড় মসজিদে নামাজ পড়েন, শহরে পড়েন।আপনাদের চোখে এই সমস্যা টা তেমন পড়ে না আর পড়লেও আপনারা কুরআন এর অর্থ বুঝেন আরবি জানেন তাই সমস্যা টা অতটা প্রকট হয় না।কিন্তু যারা আমাদের মত তাদের অনেক সমস্যা হয় পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে মসজিদ গুলায় সমস্যার শেষ নায়।
বিদ্রঃ শুধু মসজিদ না আমাদের নিজের ব্যাক্তিগত ভাবে ভুল হতেই পারে কখনো।

এখন,  একটা অনুরোধ যে, আপনারা আই ও এম এর পক্ষ থেকে যদি লাহনে জালি ও নামাজ ফাসিদের(সকল প্রকার ইখতিলাফ মাথায় রেখে) বিষয়ে উন্মুক্ত দারস এর ব্যবস্থা করেন তো অনেক উপকার হয় বা অন্তত অনলাইন এ শীট হিসেবে যদি কিছু উন্মুক্ত করেন তাও অনেক ভালো হয়।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, এমন হতে পারে যে, ভুলে বা ইচ্ছাকৃত(যে পারেনা বা গাফেল) নিকটবর্তি মাখরাজ উচ্চারন করলো কিন্তু অর্থ বিগড়ে গেলো তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
 
(২)
কখন নামায ফাসিদ হবে আর কখন হবে না, সেটার ব্যাপক কোনো মূলনীতি নাই, তাই নামাযের কেরাতে কোনো সমস্যা হলে, আপনি সাথেই বিজ্ঞ কোনো আলেমের শরণাপন্ন হতে হবে।উনার নিকট বক্ষমান মাস'আলাকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নিতে হবে যে, নামায বিশুদ্ধ হয়েছে কি না? 


(৩)
দুরবর্তী মাখরাজ উচ্চারণ হলে এবং সাথে অর্থ বিগড়ে গেলেই লাহনে জালি হবে।মূল বিষয় হল, অর্থ বিগড়ে যাওয়া।চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী  মাখরাজ হোক।

আপনার পরামর্শকে সামনে রেখে এ বিষয়ে নতুনকরে চিন্তাভাবনা করা হবে ইনশা'আল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
+1
আবারো কিছু সংযোজন করা হয়েছে। প্রয়োজনে কমেন্ট করবেন।
by (32 points)
edited by
জ্বী,আলহামদুলিল্লাহ। 
জাঝাকাল্লাহু খইরন।
কোন ইমাম এর কিরাতে নিকটবর্তী মাখরাজ এর ভুল হয়(ক্বফ,সোয়াদ, সীন এর জায়গায় যথাক্রমে কাফ,ছা,ছা আবার ছা এর জায়গায় সীন)  এবং সীররী ক্বিরাত তো শুনা যায় না কিন্তু জাহেরী ক্বিরাতের ১-২ টা ওয়াক্ত বাদে সব ওয়াক্তে তার এমন ভুল হয় এবং কিরাতের অনেক জায়গাতেই হয়। তাশাহুদ কেমন পড়ে তাও জানিনা। 
আর মোটামুটি দূরে একটি মসজিদ আছে, কিন্তু সেখানে যাওয়াও সব ওয়াক্তে সম্ভব না পাশাপাশি ওই মসজিদে গেলে আমার এলাকায়  ফাসাদের সম্ভাবনা আছে ।(কারন আলহামদুলিল্লাহ আমি মসজিদের রেগুলার মুসল্লি এবং অধিকাংশ সময় আমি একামত দিই এবং ওইরকম অন্য মসজিদে যাওয়ার আগে এক ভায়ের সাথেও এমন হয়েছে। তাই আমি হুট করে অন্য মসজিদে গেলে সমস্যার আসংকা আছে)
এখন আমার কি করা উচিত? প্রতি ওয়াক্তে তো কি ভুল হলো তা কোন আলেমকে জানানো সম্ভব না। যেহেতু জাহেরী কিরাতে ১-২ ওয়াক্ত বাদে সব সময়ই ভুল যায় তাই সিররি কিরাতের ভুল কেমন তা তো আন্দাজ কর যায়।
এখন সার্বিকদিক বিবেচনা করে আমি যদি প্রতি  ওয়াক্ত জামায়াতে পড়ে আবার ব্যক্তিগত ভাবে পড়ি তো কি হবে? যদি আমার ভুল হয় তো কি করা যায়?
বিদ্রঃ ইমাম সাময়িক সময় এর জন্য অর্থাত রেগুলার ইমাম না।
by (597,330 points)
অর্থ না বদলিলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না। কখন অর্থ বদলাবে? তা নিশ্চয় কোনো আলেম সাহেবের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 225 views
...