আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in পবিত্রতা (Purity) by (136 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম।

1. ব্রণ এর জমাট বাঁধা শক্ত শাল যেটা পানিতে ছড়ায় না শক্ত হয়ে থাকে, মুখ পানি দিয়ে মুছে দেওয়া বা চেপে চেপে পানি দিয়ে ধোয়ার সময় যদি খসে পড়ে ও মুখের অন্যান্য জায়গায় লেগে তারপর পড়ে যায়, এই কারণে কি মুখ নাপাক হয়ে যাবে? ধোয়ার পানি ছিটে আসলে কি তা নাপাক? গড়িয়ে পড়ার মত পরিমাণ এ না।
2. খুব এ সামান্য পরিমাণ ক্ষতের তরল, বিন্দু পরিমাণ প্রায়। ধোয়ার সময় বেসিন এর পানির ছিটা কি নাপাক হবে? কাপড়ে বা শরীরে লাগলে? দয়া করে জানাবেন।


3। পূর্বের এই প্রশ্নের 3 নম্বর উত্তর এর সাথে সংশ্লিষ্ট https://ifatwa.info/48957/
আসলে আসর যে ওয়াক্তে আট মিনিট বাকি থাকতে কুদরা দেখি, এর পরের ওয়াক্তে ই আমার হায়েজ এর 10 দিন 10 রাত পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল। তাই এই আসর ওয়াক্তে যে আট মিনিট বাকি থাকতে দেখি যে হায়েজ আছে কিন্তু এর এক দুই মিনিট পরে সাদা দেখি, এই জন্য জানতে চাচ্ছি যে আসর ওয়াক্তে হায়েজ শেষ ধরবো নাকি মাগরিব ওয়াক্তেই 10 দিন হিসেবে হায়েজ শেষ ধরবো? ওই 6 7 মিনিট এ ফরয গোসল দিয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিলনা বলেই আমি জানি। দয়া করে বিস্তারিত বলবেন। পরবর্তী হায়েজ শুরুর ওয়াক্তে জানার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমার এখনো ইস্তেহাজা চলছে।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
و في حاشية ابن عابدين تحت قوله (ولم يخرج) 
وفي السراج عن الينابيع: الدم السائل على الجراحة إذا لم يتجاوز. قال بعضهم: هو طاهر حتى لو صلى رجل بجنبه وأصابه منه أكثر من قدر الدرهم جازت صلاته وبهذا أخذ الكرخي وهو الأظهر. وقال بعضهم: نجس، وهو قول محمد اهـ ومقتضاه أنه غير ناقض لأنه بقي طاهرا بعد الإصابة، وإن المعتبر خروجه إلى محل يلحقه حكم التطهير من بدن صاحبه فليتأمل
ইবনে আবেদীন রাহ, আরেকটু পরিস্কার করে লিখেন,যখমে প্রবাহিত রক্ত যখন সেটা তার স্বস্থানকে ত্যাগ করবে না,তখন অজু ভঙ্গ হবে না।কেউ কেউ এই রক্তকে পবিত্র রক্ত বলে থাকেন।এমনকি যদি এমন রক্ত যখমে থাকাবস্থায় উক্ত ব্যক্তির পাশে কেউ নামায পড়ে নেয়,এবং পাশের ব্যক্তির শরীর বা কাপড়ে এক দিরহাম থেকে বেশী উক্ত রক্ত লেগে যায়,তাহলেও উক্ত ব্যক্তির নামায হবে।এটাই ইমাম কারখী রাহ এর মত।এটাই বিশুদ্ধতম অভিমত।তবে কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম বলেন,এই রক্ত অপবিত্র।এটা ইমাম মুহাম্মদের মত।

উপরের আলোচনার সারমর্ম হল, উক্ত রক্ত বের হলে অজু ভঙ্গ হবে না। বের হওয়ার পর স্বস্থান ত্যাগ করে অন্যত্র গড়িয়ে গেলে অজু ভঙ্গ হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2142



সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ব্রণ এর জমাট বাঁধা শক্ত শাল যেটা পানিতে ছড়ায় না শক্ত হয়ে থাকে, মুখ পানি দিয়ে মুছে দেওয়া বা চেপে চেপে পানি দিয়ে ধোয়ার সময় যদি খসে পড়ে ও মুখের অন্যান্য জায়গায় লেগে তারপর পড়ে যায়, এই কারণে মুখ নাপাক হবে না। ধোয়ার পানি ছিটে আসলে তাও নাপাক হবে না।

(২)
খুবই সামান্য পরিমাণ ক্ষতের তরল, বিন্দু পরিমাণ প্রায়। ধোয়ার সময় বেসিন এর পানির ছিটা নাপাক নয়। কাপড়ে বা শরীরে লাগলে নাপাক হবে না।

(৩)
যেহেতু হায়েয শুরু হওয়ার সময়ে আসরের নামায আপনার উপর ফরয ছিলো।আপনি পরবর্তীতে কাযা করবেন।তাই হায়েযের শেষ সময়ে আসরের নামায আপনার উপর ফরয হবে না।বরং মাগরিবের নামায ফরয হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (136 points)
উস্তাদ পরবর্তী হায়েজ কি তাহলে 16 তম দিন মাগরিব থেকে ধরবো নাকি আসর থেকে? দয়া করে জানাবেন।
by (583,410 points)
আপনার যদি হায়েয শুরু হয়, আসরের সময়ে তাহলে ঐ আসরের নামায কাযা করবেন। এবং ১৬ তম দিনে মাগরিবের নামাযকে থেকে পবিত্র গণ্য করবেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...