ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছে, আল্লাহর থেকে বেশি গায়রাতসম্পন্ন কোন সত্তা নেই। এজন্যই তিনি প্রকাশ্য- অপ্রকাশ্য সমস্ত অশ্লীলতাকে হারাম করে দিয়েছেন। (সহীহুল বুখারী, ৫২২০)
একবার সা’দ বিন উবাদা রা. বললেন, যদি আমি আমার স্ত্রীর সাথে (গাইরে মাহরাম) কোন পুরুষকে দেখি তাহলে আমি তরবারি দিয়ে তার গর্দান ফেলে দিব। রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে সা’দের এই বক্তব্য পৌঁছলে তিনি সাহাবাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমরা কি সা’দের গায়রাত দেখে আশ্চর্য হচ্ছো? আল্লাহর শপথ! আমি সা’দের থেকেও বেশি গায়রাতসম্পন্ন এবং মহান আল্লাহ তা’য়ালা আমার থেকেও বেশি গায়রাতসম্পন্ন। (সহীহুল মুসলিম, ১৩৯৮)
স্বামী স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের প্রতি ভালবাসা এবং এ ভালবাসায় অন্য কাউকে শরীক না করা,নূন্যতম কোনো শরিকানা যাতে না হয়, সেটার নাম গায়রাত।তবে গায়রাত শুধুমাত্র স্বামী স্ত্রীর নিখাদ ভালবাসার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।বরং
সকল প্রকার পাপের প্রতি ঘৃণা এবং নেকির প্রতি ভালবাসর নামই হল গায়রাত।
হযরত উকবাহ ইবনে আমের রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عقبة بن عامر: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «إياكم والدخول على النساء» فقال رجل من الأنصار: يا رسول الله، أفرأيت الحمو؟ قال: «الحمو الموت»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা গায়রে মহিলাদের ঘরে প্রবেশ থেকে বেঁচে থাকো।একজন আনসারি সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! দেবরের সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন/কি হুকুম?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,দেবর হল,মৃত্যু।(সহীহ বোখারী-৫২৩২)
সহীহ বোখারীর বিশিষ্ট টিকাকার মুস্তাফা আল-বাগা বলেন, এখানে হামউন শব্দ দ্বারা স্বামীর সকল নিকটাত্মীয় পুরুষ উদ্দেশ্য। যেহেতু এদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তাকে মানুষ তত গুরুত্ব সহকারে নেয় না, তাই এখানে ফিতনার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামীর দায়িত্ব বা গায়রাত হল, নিজ স্ত্রীকে সকল প্রকার পাপ মুক্ত পরিবেশে রাখা এবং নিজেও পাপমুক্ত থাকা।