আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (57 points)
edited by
১)))হুযুর কোন এক স্ত্রি মারাত্রক ওয়াস ওয়াসায় আক্রান্ত,  নামায এর সময়,  খাবার এর সময়, মুখ খুল্লেই মনে মনে (((())) শব্দ টা  বলে ফেলে, কিন্তু সে একদিন মনে মনে ((())) শব্দটা বলছিল, তার পর তার মোবাইল এ এক্টা কল আসে,  সে কথা বলতে বলতে ((())) শব্দটা বলে ফেলে এতে কি ((()))  হয়ে যাবে.  সেই স্ত্রি এর ((())) নেওয়ার কোন ইচ্ছা নাই,  কিন্তু সে ওয়াস ওয়াসার কারনে এমন তা বলে ফেলেছে

২)) কোন সামি যদি ওয়াস ওয়াসার কারনে ((())) দিলাম বলে ফেলে, (())) এর কথা চিন্তা করতে করতে তাহলে কি হবে, সামির ও ইচ্ছা নাই,  সুধু ওয়াস ওয়াসার কারনে বলেছে

3)) কেও যদি (()))) শব্দের কিছু অংশ মনে  আর কিছু অংশ মুখে বলে তাহলে কি ((())) হয়
4)  হুযুর ওই স্ত্রি এর মানুসিক অবস্তা খুবই খারাপ,  সব সময় তার মাথায় ওই এক্তা চিন্তাই থাকে আজ ২ মাস ধরে অই অবস্থা, সাভাবিক ভাবে কন কথাই বলতে পারে না, কথা বলতে গেলে আগে অই শব্দটা মাথায় আসে, কার কথায় জবাব দিতে গেলে আগে অই চিন্তা চলে আসে, অযুর সময় হা করলে অই শব্দ মাথায় আসে, খাওয়ার সময় হা করলে অই শব্দ মাথায় আসে, নামাযে সুরা কেরাত পরার সময় অই শব্দ মাথায় আসে, মাযে মাযে মনে বল্ল নাকি কিভাবে বলল বুযতে পারে না, ঘুম ভেংে জায় অই চিন্তায়,  ঘুম এর ভেতর অ অই শব্দ মাথায় আসে,  কথা সুরু করার আগেই অই শব্দ মুখের কাছে চলে আসে,  এই অবস্থায় কি করনিও, এই অবস্তায় কি ((())) হয়,  যদি সে শব্দ করে ((()) অই শব্দ টা উচ্চারন করে ফেলে, তার ত ইচ্ছা নাই,

5)) শব্দ ছাড়া সুধু ঠোট    নারিয়ে  ((())) শব্দ উচ্চারন করলে কি (())) হয়
৬))) শব্দ ছাড়া সুধু ঠোট  নড়ে  তারপর (((())) শব্দের শেষের একটু অংশ  সুধু শোনা গেছে এমন মনে হয় তাহলে কি ((())) হবে

7)) হুযুর ((()))  শব্দ টা এখন অনেকটাই ওই স্ত্রি এর নিওন্ত্রন এর বাইরে চলে গেছে ২ মাস ধরে  সব সময় সুধু অই শব্দ টাই মাথায় আসে, কোন  কারনে মুখ খুল্লেই সুধু ওই শব্দটাই মাথায় আসে, এখন এই অবস্থায়  করনিও কি

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বন্ধনী দিয়ে তালাক বুঝাতে চাচ্ছেন সম্ভবত।তালাক শব্দ উচ্ছারণ করলেই কি তালাক হয়ে যাবে??? তালাক পতিত হওয়ার জন্য অনেক শর্ত রয়েছে।সেই সব শর্ত পাওয়া গেলেই কেবল তালাক পতিত হবে। নতুবা এমনি এমনি তালাক হবে না।
সুতরাং ভবিষ্যতে বন্ধনী না দিয়ে বরং তালাক শব্দ লিখবেন।

(১)
প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না।কেননা তালাকের ওয়াসওয়াসা দ্বারা তালাক হয় না।

(২)
ওয়াসওয়াসার কারণে বলার অর্থ কি? তা ইডিট করে দিবেন।কমেন্টে উল্লেখ করবেন!

(৩)
কেও যদি তালাক শব্দের কিছু অংশ মনে আর কিছু অংশ মুখে বলে তাহলেও তালাক হবে না।

(৪)
এই স্ত্রীর উচিৎ, ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করা। ভালো ঘুম যাতে হয়, সেই জন্য ডাক্তারকে বলা।এবং সর্বদা লোকজনের সাথে হাসিখুশী থাকা।

(৫)
শব্দ ছাড়া সুধু ঠোট  নাড়িয়ে  তালাক শব্দ উচ্চারন করলেও তালাক হবে না।

(৬)
শব্দ ছাড়া সুধু ঠোট  নড়ে  তারপর তালাক শব্দের শেষের একটু অংশ শুধু শোনা গেছে এমন মনে হয়, তাহলেও তালাক হবে না।

(৭)
উনি সম্ভবত অটিসি রোগে আক্রান্ত। উনি এখন আল্লাহর নাম নিয়ে ভালো ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
এখন দেখি আরো প্রশ্ন করেছেন।তাই সেগুলো উত্তর কিছুক্ষণ পর দেয়া হবে।
by (583,410 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...