জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ফরয গোসলে নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌঁছানো জরুরি।
নাকের ভিতর পানি পৌঁছানোর উত্তম তরীকা হল, ডান হাতে পানি নিয়ে তা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে নাকের নরম স্থান পর্যন্ত টেনে নেওয়া। হাত দিয়েও পানি ভেতরে দেওয়া যেতে পারে। অতঃপর বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল দ্বারা নাকের ভিতরটা পরিষ্কার করে নেওয়া, যেন কোনো অংশ শুকনা না থেকে যায়।
(সুনানে আবু দাউদ ১/১৯; আলবাহরুর রায়েক ১/২১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/১০৮)
★অনুরূপভাবে গড়গড়াসহ কুলি করা জরুরি, যাতে পানি গলার হাড় পর্যন্ত পৌঁছে।
ইমাম নববী রহ. বলেন,
المضمضة والاستنشاق واجبتان في الغسل دون الوضوء ، وهو قول أبي حنيفة وأصحاب
গড়গড়া কুলি ও নাকে পানি দেয়া গোসলের ক্ষেত্রে এ দুইটি পালন করা ওয়াজিব; ওযুর ক্ষেত্রে নয়। (কননা, ওযুর ক্ষেত্রে এ দুইটি ওয়াজিব নয় বরং সুন্নাত।) এটি ইমাম আবু হানিফা রহ. ও তাঁর সাথীবর্গের অভিমত। (আল-মাজমু ১/৪০০)
★হাদীস শরীফে ফরজ গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছেঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، عَنْ خَالَتِهِ، مَيْمُونَةَ قَالَتْ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم غُسْلاً يَغْتَسِلُ بِهِ مِنَ الْجَنَابَةِ فَأَكْفَأَ الإِنَاءَ عَلَى يَدِهِ الْيُمْنَى فَغَسَلَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا ثُمَّ صَبَّ عَلَى فَرْجِهِ فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِشِمَالِهِ ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدِهِ الأَرْضَ فَغَسَلَهَا ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ صَبَّ عَلَى رَأْسِهِ وَجَسَدِهِ ثُمَّ تَنَحَّى نَاحِيَةً فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ فَنَاوَلْتُهُ الْمِنْدِيلَ فَلَمْ يَأْخُذْهُ وَجَعَلَ يَنْفُضُ الْمَاءَ عَنْ جَسَدِهِ . فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لإِبْرَاهِيمَ فَقَالَ كَانُوا لَا يَرَوْنَ بِالْمِنْدِيلِ بَأْسًا وَلَكِنْ كَانُوا يَكْرَهُونَ الْعَادَةَ
মায়মূনাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জানাবাতের গোসলের জন্য পানি রাখলাম। তিনি পানির পাত্র কাত করে ডান হাতে পানি ঢেলে তা দু’বার বা তিনবার ধুলেন। এরপর লজ্জাস্থানে পানি ঢেলে তা বাম হাতে ধুলেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষে ধুয়ে নিলেন, কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, মুখমন্ডল ও দু’হাত ধুলেন। তারপর মাথায় এবং সমগ্র শরীরে পানি ঢাললেন। তারপর ঐ স্থান থেকে একটু সরে গিয়ে উভয় পা ধুলেন। আমি (শরীর মোছার জন্য) তাঁকে রুমাল দিলাম। তিনি তা গ্রহণ করলেন না বরং শরীর থেকে পানি ঝেড়ে ফেলতে লাগলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বিষয়টি ইবরাহীমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ সাহাবীগণ গামছা ব্যবহার করা অপছন্দ করতেন না, বরং তাঁরা (গামছা ব্যবহার) অভ্যাসে পরিণত করা অপছন্দ করতেন।
{বুখারী (অধ্যায়ঃ গোসল, অনুঃ একবার গোসল করা, হাঃ ২৫৭), মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ জানাবাতের গোসলের নিয়ম) উভয়ে আ‘মাশ সূত্রে। আবু দাউদ ২৪৫)}