ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
“যে ব্যক্তি কোরবানি করতে ইচ্ছুক তার জন্য বিধান হচ্ছে- তিনি যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে নিজের চুল, নখ ও চামড়ার কোন অংশ কাটবেন না; যতক্ষণ না তিনি কোরবানি সম্পন্ন করেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُسْلِمٍ اللَّيْثِيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ، يَقُولُ: سَمِعْتُ أُمَّ سَلَمَةَ، تَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ كَانَ لَهُ ذِبْحٌ يَذْبَحُهُ فَإِذَا أَهَلَّ هِلَالُ ذِي الْحِجَّةِ فَلَا يَأْخُذَنَّ مِنْ شَعْرِهِ وَلَا مِنْ أَظْفَارِهِ شَيْئًا حَتَّى يُضَحِّيَ
উম্মে সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যার কুরবানীর পশু রয়েছে, সে যেন যিলহজ্জ মাসের নতুন চাঁদ উঠার পর থেকে কুরবানী করার পূর্ব পর্যন্ত তার চুল ও নখ না কাটে।
(সুনানে আবু দাউদ (২৭৯১) ও সহিহ মুসলিম (১৯৭৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি হাতের নখ,চুল কুরবানীর পশু জবাইয়ের পর কাটতে পারবেন।
(০২)
ঘুম থেকে উঠার পর থেকে কোনো কিছু না খাওয়া উদ্দেশ্য।
কুরবানীর গোশত দিয়ে প্রথম আহার করবে।
এটিই সুন্নাত।
মুসনাদে আহমাদে (২২৪৭৪) বুরাইদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে,
السنن الکبری للبیهقي:
"عَن بُرَيْدَةَ رَضيَ الله عنه قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْفِطْرِ لَمْ يَخْرُجْ حَتَّى يَأْكُلَ شَيْئًا، وَإِذَا كَانَ الْأَضْحَى لَمْ يَأْكُلْ شَيْئًا حَتَّى يَرْجِعَ، وَكَانَ إِذَا رَجَعَ أَكَلَ مِنْ كَبِدِ أُضْحِيَتِه".
(السنن الكبرى للبيهقي، كتاب صلاة العيدين، باب يترك الأكل يوم النحر حتى يرجع: ٣/ ۴۰١)
বুরাইদা রাঃ বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন সকালে না-খেয়ে বের হতেন না। আর ঈদুল আযহার দিন (ঈদগাহ থেকে) ফেরার আগে খেতেন না। ফিরে এসে কোরবানীর গোশত খেতেন।”
★পানি পান করলে এই সুন্নাতটি আর আদায় হবেনা।
তবে এটি আবশ্যকীয় কোনো বিধান নয়,এর উপর আমল না করতে পারলে কোনো সমস্যা নেই।
(০৩)
ঈদের দিন সূর্যাস্থের আগে কুরবানী দিলে উপরের বিধান একই থাকবে।
সূর্যাস্থের পর কুরবানী দিলে বা পরদিন কুরবানী দিলে খাওয়া পান করার বিধান পরিবর্তন হবে।
এক্ষেত্রে ঈদের দিন সে আগেই খাবার খাবে,নতুবা ঈদের দিন রোযা হয়ে যাবে,যাহা হারাম।
আর নখ চুল কাটার বিধান অপরিবর্তিত থাকবে।
কুরবানীর পশু পর দিন জবাই হলে পরদিন পসগু জবাইয়ের পর নখ চুল কাটবেন।