আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
153 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
edited by
১.স্বামী যদি বলে যদি আমার ঘরে থাকতে চাও পড়াশোনা করতে পারবানা যদি পড়াশোনা করো তাহলে আমার ঘরে থাকতে পারবা না এ কথা দ্বারা কি শর্তযুক্ত তালাক পতিত হবে??আমার ঘরে থাকতে পারবা না এটা কি কেনায়া শব্দ?? যদিও সে এখানে চলে যেতে বলেনি।

২.স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে যদি পড়াশোনা করো তাহলে আমার ঘর করতে পারবা না এটা কি শর্তযুক্ত তালাক হবে?? আমার ঘর করতে পারবা না এটা কেনায়া শব্দ??

৩.আমার সংসারে থাকতে পারবা না যদি পড়াশোনা করো এটা কি শর্তযুক্ত তালাক হবে?আমার সংসারে থাকতে পারবা না এটা কি কেনায়া তালাকের শব্দ??

৪.১,২,৩ নম্বর প্রশ্নের মধ্যে কোন টা বলছে মনে নেই তবে ঐ স্ত্রীর ১ নং প্রশ্নের কথাটা যদি পড়াশোনা করো তাহলে আমার ঘরে থাকতে পারবা না এটার ব্যাপারে অনেকটা নিশ্চিত ছিল কিন্তু এখন তার মনে সন্দেহ হচ্ছে যে এটা বলছে কিনা নাকি অন্য কিছু আবার স্বামীর কাছে জিজ্ঞেস করতে ভয় পাচ্ছে যে স্বামী রেগে না যায় উল্টাপাল্টা কিছু বলে যদি কারন আগে ও অনেক যামেলা হয়েছে তাদের মধ্যে।তাছাড়া স্বামীর মনে নাও থাকতে পারে এমতাবস্থায় ঐ স্ত্রীর স্বামীর কাছে জিজ্ঞেস করা কি ঠিক হবে??এমুহূর্তে কি করবে সে??

৫.ইফতারের টাইম হয়ে যাওয়ায় স্ত্রী স্বামীর কাছে বলে যে এখন আমি যাই তখন স্বামী বললো যাও।এখানে এখন আমি যাই এটা বলার সময় নাকি বলার পর তালাকের কথা সেটা নিয়ে স্ত্রীর সন্দেহ হচ্ছে।তবে তালাকের কথা মাথায় এসেছে।ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী স্বামীর শুধু যাও শব্দটা বলাতে কি তালাক হবে??

৬.তালাকের বিষয় নিয়ে স্বামীকে পেরেশানি করার কারণে স্বামী বলেছে তুমি ফতোয়া নেও।তারপর ফোন দিয়ে বলে যদি চলে যাও/যাবা সকাল সকাল/তাড়াতাড়ি যাও আমি আর কস্ট নিতে পারছিনা বা কস্ট হচ্ছে আমার এই টাইপের কথা বলছে অনেকটা।এখন স্বামী যে বলছে যদি চলে যাও/যাবা তাড়াতাড়ি যাও এটা বলাতে কি সরাসরি তালাক হয়ে যাবে?

৭.কোনো মানু্ষ কোনো একটা বিষয় হালাল নাকি হারাম তা নিয়ে অনিশ্চিত জানা নেই। এমতাবস্থায় সে মনে মনে বলে এটা যদি হারামও হয় তাহলেও আমি এ কাজটা করবো কিছু হবেনা এমনটা ভাবার কারনে কি তার ইমান চলে যাবে?দ্বীন থেকে বের হয়ে যাবে কি??এখন পর্যন্ত সে ঐকাজটার ব্যাপারে অনিশ্চিত।

1 Answer

0 votes
by (566,100 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক খুবই মারাত্মক একটি বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
এ কথা দ্বারা শর্তযুক্ত তালাক পতিত হবেনা।

প্রশ্নের বিবরণ মতে এটি কেনায়া বাক্যের অন্তর্ভুক্ত হবেনা।

(০২)
এ কথা দ্বারা শর্তযুক্ত তালাক পতিত হবেনা।

প্রশ্নের বিবরণ মতে এটি কেনায়া বাক্যের অন্তর্ভুক্ত হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এটি কেনায়া বাক্যের অন্তর্ভুক্ত হবেনা।

(০৪)
জিজ্ঞাসা করা ঠিক হবেনা।

(০৫)
ঘটনার বিবরন অনুযায়ী এতে তালাক হবেনা।

(০৬)
এতে সরাসরি তালাক হবেনা।

(০৭)
এতে তার ঈমান চলে যাবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...