১.স্বামী যদি বলে যদি আমার ঘরে থাকতে চাও পড়াশোনা করতে পারবানা যদি পড়াশোনা করো তাহলে আমার ঘরে থাকতে পারবা না এ কথা দ্বারা কি শর্তযুক্ত তালাক পতিত হবে??আমার ঘরে থাকতে পারবা না এটা কি কেনায়া শব্দ?? যদিও সে এখানে চলে যেতে বলেনি।
২.স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে যদি পড়াশোনা করো তাহলে আমার ঘর করতে পারবা না এটা কি শর্তযুক্ত তালাক হবে?? আমার ঘর করতে পারবা না এটা কেনায়া শব্দ??
৩.আমার সংসারে থাকতে পারবা না যদি পড়াশোনা করো এটা কি শর্তযুক্ত তালাক হবে?আমার সংসারে থাকতে পারবা না এটা কি কেনায়া তালাকের শব্দ??
৪.১,২,৩ নম্বর প্রশ্নের মধ্যে কোন টা বলছে মনে নেই তবে ঐ স্ত্রীর ১ নং প্রশ্নের কথাটা যদি পড়াশোনা করো তাহলে আমার ঘরে থাকতে পারবা না এটার ব্যাপারে অনেকটা নিশ্চিত ছিল কিন্তু এখন তার মনে সন্দেহ হচ্ছে যে এটা বলছে কিনা নাকি অন্য কিছু আবার স্বামীর কাছে জিজ্ঞেস করতে ভয় পাচ্ছে যে স্বামী রেগে না যায় উল্টাপাল্টা কিছু বলে যদি কারন আগে ও অনেক যামেলা হয়েছে তাদের মধ্যে।তাছাড়া স্বামীর মনে নাও থাকতে পারে এমতাবস্থায় ঐ স্ত্রীর স্বামীর কাছে জিজ্ঞেস করা কি ঠিক হবে??এমুহূর্তে কি করবে সে??
৫.ইফতারের টাইম হয়ে যাওয়ায় স্ত্রী স্বামীর কাছে বলে যে এখন আমি যাই তখন স্বামী বললো যাও।এখানে এখন আমি যাই এটা বলার সময় নাকি বলার পর তালাকের কথা সেটা নিয়ে স্ত্রীর সন্দেহ হচ্ছে।তবে তালাকের কথা মাথায় এসেছে।ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী স্বামীর শুধু যাও শব্দটা বলাতে কি তালাক হবে??
৬.তালাকের বিষয় নিয়ে স্বামীকে পেরেশানি করার কারণে স্বামী বলেছে তুমি ফতোয়া নেও।তারপর ফোন দিয়ে বলে যদি চলে যাও/যাবা সকাল সকাল/তাড়াতাড়ি যাও আমি আর কস্ট নিতে পারছিনা বা কস্ট হচ্ছে আমার এই টাইপের কথা বলছে অনেকটা।এখন স্বামী যে বলছে যদি চলে যাও/যাবা তাড়াতাড়ি যাও এটা বলাতে কি সরাসরি তালাক হয়ে যাবে?
৭.কোনো মানু্ষ কোনো একটা বিষয় হালাল নাকি হারাম তা নিয়ে অনিশ্চিত জানা নেই। এমতাবস্থায় সে মনে মনে বলে এটা যদি হারামও হয় তাহলেও আমি এ কাজটা করবো কিছু হবেনা এমনটা ভাবার কারনে কি তার ইমান চলে যাবে?দ্বীন থেকে বের হয়ে যাবে কি??এখন পর্যন্ত সে ঐকাজটার ব্যাপারে অনিশ্চিত।