বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আরাফার রোযা হলো যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ এর রোযা।
তাই বাংলাদেশে বসবাস কারীগণ আজ শনিবার রোযা রাখবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ غَيْلاَنَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ
কুতয়াবা ও আহমাদ ইবনু আবদা আদ-দাববী (রহঃ) ...... আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছনঃ আরাফা দিবসের সিয়াম সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে আশা করি যে, তিনি এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী বছর এবং পরবর্তী বছরের গুনাহসমূহের কাফফারা করে দিবেন।
(তিরিমিজি ৭৪৭.ইবনু মাজাহ ১৭৩০, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৭৪৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(ক) হানাফি মাযহাব মতে মাসের সূচনা চাঁদ দেখার উপরই নির্ভর করে।তাই প্রত্যেক এলাকায় চাঁদ দেখার পরই সেখানে হিজরী মাস শুরু হবে।
(খ)বাকী তিন মাযহাব মতে কোথাও চাঁদ দেখা গেলে সবার জন্য হিজরী মাস শুরু হয়ে যাবে।
হানাফি মাযহাবের উলামায়ের কেরামগনের বক্তব্য-
শরীয়তে কিছু ইবাদতের সম্পর্ক চাঁদের সাথে আর কিছুর সম্পর্ক সূর্যের সাথে।
পৃথিবীর সকল জায়গায় একসাথে সূর্যোদয় হয় না এবং সূর্যাস্তও হয় না।এবং তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত এক সাথে হয় না।হাদীসে এসেছে,শেষ রাত্রে আল্লাহ বান্দাকে ডেকে বলেন,আছো কি কেনো গোনাহগার?আমি ক্ষমা করে দেবো।অথচ পৃথিবীর সকল জায়গায় এক সাথে তাহাজ্জুদ হয় না।লাইলাতুল কদরের আলোচনা কুরআনে এসেছে,অথচ সারা পৃথিবীতে এক সাথে রাত্র হয় না।
উপরোক্ত বিষয়গুলোতে আমরা অবশ্যই একথা বলবো,যে এই ইবাদত গুলি,যেমন লাইলাতুল কদর ইত্যাদির সম্পর্ক স্থানের সাথে।জিলহজ্বের মাসের নয় তারিখের নাম হল,ইয়াউমুল আরাফাহ।হাদীসে আরাফাহর দিন রোযা রাখার কথা বলা হয়েছে।
সুতরাং আরাফাহ তথা ৯জিলহজ্বের সম্পর্ক স্থানের সাথে।যে যেখানে অবস্থান করবে,সেখানের হিসেবেই ৯জিলহজ্ব অনুযায়ী রোযা রাখবে।
অন্যদিকে যারা সারা পৃথিবীতে একই সাথে হিজরী বর্ষ গণনার পক্ষে মতামত দিয়ে থাকেন।তারা মূলত সৌদিকে মানদন্ড হিসেবে সাব্যস্ত করেন। সুতরাং যে দিন সৌদিতে মাসের সূচনা হবে। সেদিন সারা পৃথিবীতেও মাসের সূচনা হবে।এ হিসেবে আরাফাহ তথা ৯জিলহজ্ব সেদিনই হবে যেদিন সৌদিতে ৯জিলহজ্ব হবে। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১, আরাফার রোযা হলো যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ এর রোযা। তাই বাংলাদেশে বসবাস কারীগণ আজ শনিবার রোযা রাখবে। কারণ আজকে বাংলাদেশে যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ৷
২, অধিকাংশ আলেমের মতে যেহেতু আরাফার রোজা বাংলাদেশে আজকে শনিবার৷ তাই আজকে রোজা রাখলে আরাফার রোজা বলে ধর্তব্য হবে৷ সুতরাং আপনি অধিকাংশ আলেমের মতের উপর আমল করে আজকে রোজা রাখবেন৷ তবে যেহেতু এই রোজা নফল রোজা, ফরজ-ওয়াজিব নয়৷ তাই আপনার জন্য কষ্টকর হলে ভেঙ্গে ফেলতে পারেন৷
৩, যিলহজ্জ মাসের প্রথম ৯ রোজাই অনেক অনেক ফজিলতপূর্ণ৷ রাসূল সা, ৯ টা রোজাই রাখতেন৷ আর যেহেতু আপনি ৮ তারিখে রোজা রেখেছেন তাই তাতে আলাদা সওয়াব পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ৷ আর আরাফার রোজার ফজিলত পেতে হলে আজকের রোজাটা রেখে দিবেন৷ তবে যেহেতু এই রোজা নফল রোজা, ফরজ-ওয়াজিব নয়৷ তাই আপনার জন্য কষ্টকর হলে এখন ভেঙ্গে ফেলতে পারেন৷