আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
১) আম্মুর সাথে কথা বলতেসিলাম আম্মু বলে অন্যদের কথা বলতেসিল যে এখন ও বেতন পাই নাই হ্যান ত্যান আরও বলতেসিল যে সবখানে এখন সমস্যা আর সমস্যা। পরে আমি এক ফাকে বলি যে এইরকম হবেই শেষ জামানায় এই রকম দূর্ভিক্ষ দেখা দিবেই।পরে আম্মু বলে হেসে হেসে বলে যে উম্ম..শেষ জামানা দাদির আমল থেকে শুনে আশতেসি শেষ জামানা কিয়ামত হবে।

এইরকম করে বলায় তার ঈমানের ক্ষতি হইসে কি?

২) কুরবানির নিয়ে সে কিছু বাক্য বলে যে,খবরদার আর একবার যদি কুরবানির কথা বলসস মুলত আব্বু কিস্তির কথা শুনে এমন উক্তি করে আর বলে যে বাপরে কি মারবি। আমি আরও আগে জানলে(কিস্তি) আরও রিয়েক্ট করতাম। আমি বলসিলাম যে আব্বুরটা আব্বু বুঝবে আব্বু দিতে পারলে দিবে তুমি এত চিল্লাও কেন এত কথা কেন বল এইরকম বললে গুনাহ হবে তোমার।
আবার আজ বলতেসে কুরবানির না দিতে পারায় নাকি তার এক্টুও কষ্ট হবে না।এক্টুও না।মুলত দাদির আচরনেই এইরকম কথা বলে।
এইখানে হয়ত সমস্যা হয় নাই কিন্তু আমি নিজেকে শান্ত করতে পারতেসিনা অনেক উলটা প্লাল্টা ভাবনা আসে আর তার আচরন নিয়ে ভয় হয়।সে তার কথা কুফুরি হল কিনা ইমানের ক্ষতি হল কিনা ইত্যাদি।

আবার একজন বলতেসে যে ছাগল কুরবানি দিতে সে বলে না না দরকার নাই আমার কষ্ট হলে হোোক।


৪) কোন মুসলমান যদি অন্য মুসলমানকে কাফের বলে আর সে যদি নিজে কাফের না হয় তাহলে তো সেটা নিজের উপর বর্তায় মানে সে কাফের হয়।এখন সে যদি বিবাহিত থাকে তাহলে কি বিবাহ ভংগ হবে?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  ঈমান চলে যাবেনা।

এখানে শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে ঠাট্রা করা হয়নি।

(০২)
দ্বীনের জরুরি কোনো বিষয় নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে সমস্যা হবে।
অন্য কোনো বিষয় নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমানের সমস্যা নেই।     

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঈমান চলে যাবেনা।

(০৩)
এই হাদীসের অনেক রকম ব্যাখ্যা রয়েছে।
অনেকের মত হলো বিষয়টি রাসুলুল্লাহ সাঃ ধমকি স্বরুপ বলেছেন।
তাই উক্ত ব্যাক্তি কাফের হবেনা।
বিবাহিত হলে বিবাহ ভঙ্গ হবেনা।

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...