বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া শর্ত নয় এবং এক বৎসর অতিবাহিত হওয়াও শর্ত নয়।যেভাবে সদকাতুল ফিতরের নেসাব ঠিক এভাবে কুবানিরও নেসাব। বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/1811
https://www.ifatwa.info/1203 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
শুধু স্বর্ণ থাকলে স্বর্ণের নেসাব পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত আসবে।আর শুধু রূপা থাকলে রূপার নেসাব পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত আসবে।টাকা থাকলে রূপার নেসাব সমপরিমাণ হলে যাকাত আসবে।
কিছু স্বর্ণ এবং কিছু রূপা থাকলে স্বর্ণ এবং রূপাকে মিলিত করে উভয়টির মূল্য যদি রূপার নেসাব সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলে যাকাত আসবে।
(কিতাবুল-ফাতাওয়া-৩/২৭৭)
(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-৬/৮৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি নিত্যপ্রয়োজনের বাইরে এই জমিন হয়। অর্থাৎ কারো কাছে এই পরিমাণ নেসাব পরিমাণ জমি যাকে, যেই ক্ষেতের ফসল না হলেও তার জীবন চলবে, তাহলে উক্ত জমি নেসাব পরিমাণ হওয়ার কারণে একটি বকরি ওয়াজিব হবে।প্রয়োজনে জমির কিছু অংশ বিক্রি করে হলেও কুরবানি দিতে হবে। আর নিত্যপ্রয়োজনের অন্তর্গত হলে, সেই জমি থাকার কারণে কুরবানি ওয়াজিব হবে না।