আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
240 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
১.দেওয়ানবাগীর একটি ভিডিওতে দেখলাম সে বলছে ফাতেমা রাঃ এর সাথে তার বিয়ে হয়েছে। এই ছাড়াও এক ওয়েবসাইটে দেখলাম সে তার লিখা বইতে বলেছে আল্লাহ এবং জিব্রাইল একই। আরো বিভিন্ন কুফরি কথা ছিলো। তার এসব কথার উপর ভিত্তি করে সে বেঁচে থাকা অবস্থায় অনেক হুজুর তাকে কাফির বলেছে বলে আমি দেখেছি। এখন সে যেহেতু মারা গেছে আর আমরা জানি না সে তওবা করেছে কি না এর উপর ভিত্তি করে আমরা কি বলবো তার ব্যপার আল্লাহ জানে নাকি তাকে কাফির বলবো?

২. অন্যদিকে তার ছেলে বলে বেড়ায় কেউ যদি বলে দেওয়ানবাগী মারা গেছে তাহলে সে বেঈমান হয়ে যাবে। তার ছেলে এখন তার স্থলাভিষিক্ত। ইউটিউব ভিডিওতে দেখলাম। এটুকু বুঝা যায় সে ও তার বাবার আকিদা পোষণ করে সম্ভবত। এর জন্য কি তাকে কাফির বলা যাবে নাকি আগে তার সাথে কথা বলে তাকফির এর মূলনীতিগুলো বাস্তবায়ন করে তবে তাকে তাকফির করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
তার মৃত্যুর পর্ব পর্যন্ত তার যে সব কথাবার্তা আমরা শুনেছি, ও তার লিখা আমরা পড়েছি, এগুলো দ্বারা অনুমেয় হয় যে, সে কাফির। সে তাওবাহ করেছে কি না?  তা তো জানিনা। তবে সাধারণত সে তাওবাহ করলে জনাসম্মুখে প্রকাশ করতো।তার ভুল সে বুঝতে পারলে অবশ্যই সে জনগনকে বলতো। কিন্তু যেহেতু সে বলেনি, প্রকাশ্যে তাওবাহ করেনি, এটা দ্বারা বুঝা যায় যে, সে গোপনেও তাওবাহ করেনি।বাদবাকী হকিকত আল্লাহই ভালো জানেন।আমরাতো শুধু ধারণা করেই কথা বলে থাকি।


(২)
তার সাথে কথা বলে, বাস্তবতা জেনে শুনেই তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আল্লাহ তাদেরকে হেদায়ত দান করুক।এবং আমাদেরকে হেদায়তের উপর অটল অবিচল রাখুক।আমীন,ছুম্মা আমীন।


মনে রাখবেন,
তাকে বা অরো যাদের কুফরি আকিদা রয়েছে, তাদেরকে কাফির ফাতাওয়া দেওয়া বা তাকফির করার পূর্বের তাদের সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
তাহলে কি দেওয়ানবাগীকে কাফির ভাববো?
by (590,550 points)
জ্বী, এমন আকিদার লোককে তো কাফির ভাবা যাবেই।
by (42 points)
উস্তাদ, এরা তো কাফির, এদেরকে নতুন করে তাকফির করা প্রয়োজন আছে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...