আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–1 vote
361 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (58 points)
এক ভাইয়ের খুবই স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে জানতে চাচ্ছিলাম, ভাইটি খুবই হতাশায় আছে এসকল বিষয় নিয়ে তার কি করণীয়, আমি তার লেখাটাই হুবহু দিয়েছি।
//////

আমি ক্লাস ১ বা ২ তে থাকতেই আমার এক ভাইয়ের মাধ্যমে ওইসব বিষয় সম্পর্কে জানি। ঐ ভাই আমার পিছনে দুই রানের মাঝে উনার অঙ্গ ঘর্ষণ করে উনি বীর্য ফেলত আর কখনো মুখে লিঙ্গ প্রবেশ করাতো আর বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও দেখাতো।

বয়স অল্প, কিন্তু এই বিষয় জানতে পেরেছি তা তারা জানত না তাই যেহেতু বড় পরিবারে ছিলাম, রাত্রে বোনদের বা মহিলা মুরুব্বিদের সাথে শুতে হতো। আমি তাদের দেহের বিভিন্ন অংশ হাতাতাম, ধরতাম(যৌনাঙ্গ, বুকের অংশ)।

অন্যের মোবাইল নিয়ে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও, ঘটনা পড়া হতো আর হস্তমৈথূন ছিল নিত্য সঙ্গী। আবার কখনো কখনো নামাজ পড়তাম কিন্তু ফরয গোসল সম্পর্কে জানতাম না, তাই ওই অবস্থায় মসজিদে যেতাম, কায়দা কুরআন পড়তাম। কখনো তো এমন হয়েছে তারাবি নামাজে যাবো কিন্তু যাওয়ার ৫ মিনিট আগে হস্তমৈথূন করেছি। আবার ইফতার করতে বসবো সবার থেকে আলাদা হয়ে আমার বয়সী কিছু ভাইদের নিয়ে এক রুমে বসে অশ্লীল ভিডিও দেখতাম এরপর ইফতার করতাম।
এখন যে ঘটনা গুলো বলবো বেশিরভাগ সময় রাত্রেই হতো। একরুমে খাটে দাদী আর উনার সাথে কেউ শুয়তো। আর আমি নিচে আর আমার সাথে ২-৩ জন বা আমি আর অন্য একজনই শুইতো।

তো, একদিন সাহস করে ফুপির বুকের দুধ খাওয়ার চেষ্টা করলাম(খেয়েছি কিনা মনে করতে পারছি না)। উনার যৌনাঙ্গ ধরে ছিলাম,দেখেছিলাম। আল্লাহ তাআলা মাফ করেন আমাকে। ফুপি মারা গিয়েছে।

একদিন ফুফাতো বোনের দুধ ধরা শুরু করলাম, যৌনাঙ্গ ধরতাম। এতটুকুই ছিল। উনি এখন বিবাহিত।

বাড়িতে দাদীর জন্য একজন কাজের মেয়ে রেখেছিল। একদিন তার সাথেও এই ধরাধরি হলো। আর কিছু না। সেই কাজের মেয়েও এখন বিবাহিত।
একদিন নিজের বোনেরটা ধরা শুরু করলাম, সাহস করে তার দু পায়ের মাঝে শরীলের অংশের সাথে লিঙ্গ ঘর্ষণ করে বীর্য ফেলতাম। বোন তখন ক্লাস ৩-৪ এ হয়তো পড়ে। দিনের বেলা ঘুমালে কাপড় সরিয়ে ওর যৌনাঙ্গ দেখতাম। এইভাবে মাস থেকে বছর গেলো।
একদিন খালামনি কে(বয়সে ২-৩ বছরের বড়) ধরা শুরু করলাম। উনার যৌনাঙ্গে মুখ দেওয়া, উনি আমার টা হাত দিয়ে নেড়ে দেওয়া, তার সাথে সহবাস করতে চেয়েছিলাম কিন্তু করতে দেয়নি। এখন তার বিয়ে হয়ে গেছে। অতটুকুই ছিল। ইনিও এখন বিবাহিত।

মাঝে মাঝে মা' র উল্টো পাল্টা শুয়া দেখলে মা র সাথে এমন করতে ইচ্ছে হতো কিন্তু করা হয়নি। কিন্তু উনি মাঝে মাঝে আমাদের সামনে উনার যৌনাঙ্গ চুলকায় কাপড়ের উপর থেকে। এতটুকুই।

এমনও হয়েছে রমাদানে ফরয রোজা রেখেছি কিন্তু দুপুরে গোসল এর সময় হস্তমৈথূন করে ফেলেছি। করণীয় কি এখন।

কখনো এলাকায় একটা ছোট ছেলে তাকে চকলেট দিয়ে তার পিছনে ঘষে বীর্য বের করার চেষ্টা করতাম কিন্তু হতো না। এমন কয়েকবার চেষ্টা করেছিলাম হয়নি। যখন থেকে পাশে শুধু ছোট ভাই শোয়া শুরু করলো তখন মাঝে মাঝে ওর পিছনে ঘষে বীর্য বের করেছি এতটুকুই। পায়ু পথে সহবাস হয়নি। শুধু শরীলের সাথে ঘষে করতাম।

বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও, গল্প এখনো পুরোপুরি ছেড়ে উঠতে পারিনি। চেষ্টা করে যাচ্ছি, বারবার তওবা করি আর বারবার ভাঙ্গি। প্রতিবারই এই ঘটনা হয়ে যাওয়ার পর হতাশা আফসোস ঘিরে ধরে। করণীয় কি?
আমি দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর এসব থেকে তওবা করেছি যদিও কখনো কখনো বোনেরটা আবার ধরা হয়ে গিয়েছিল। আবার তওবা করেছি কঠোর ভাবে। আমি হুরমতে মুহাশারাত সম্পর্কে জানতে পারি কিন্তু বিচ্ছিন্ন করে পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি। আমি আমার ঘটে যাওয়া সকল বিবরণ দিলাম। এখন এই ঘটনা তে শরীয়তের বিধান মতে কি কি ঘটেছে, এরজন্য কি কি এখন করা প্রয়োজন ? বান্দার হক নষ্ট হলে কিভাবে তাদের কাছে মাফ চাবো। মাঝে খুব পরিমাণে রোজা রেখেছি তাই এখন সাস্থ্য কমে গেছি, পুরো কংকাল অবস্থা এখন পর্যন্ত। এখন করণীয় কি?
ঘটনা সংক্রান্ত শরীয়তের সকল বিষয় জানতে চাচ্ছিলাম। কি কি হয়েছে, করণীয় কি এখন। এখন আমার বয়স ২২ চলতেছে।

/////

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হুরমতে মুসাহারা কার কার সাথে সাব্যস্ত হয়? এ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,
-المصاهرة: وصف شبيه بالقرابة، ويتحقق في أربع: إحداها زوجة الابن، وهي تشبه البنت. ثانيهما: بنت الزوجة، وهي تشبه البنت أيضا، ثالثها: زوجة الأب، وهي تشبه الأم، رابعها: أم الزوجة، وهي تشبه الأم أيضا.
হুরমতে মুসাহারাহ চারজন ব্যক্তির ব্যাপারে সাব্যস্ত হবে। (১) পুত্রবধু- যা মেয়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয় (২) স্ত্রীর মেয়ে- ইহাও মেয়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয়   (৩) পিতার স্ত্রী যা মায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয় (৪) স্ত্রীর মা- যা মায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয়। (আল-ফিকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা'আহ-৪/৬১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1233

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু আপনি আপনার মায়ের সাথে সাবালক হওয়ার পর কিছু করেননি।শুধুমাত্র দূর থেকে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি  দেখেছেন। তাই আপনার মায়ের সাথে হুরমতে মুসাহারা প্রমাণিত হয়।যদ্দরুণ আপনার বাবা মায়ের সম্পর্কে কোনো সমস্যা হয়নি।

তাছাড়া আরো যতগুলো বিষয় উল্লেখ করেছেন, এই গুলো দ্বারা হুরমত হবে না। তবে এগুলো কবিরা গোনাহ।আল্লাহ কাছে তাওবাহ করুন।কারো কাছ থেকে মাফ চাওয়ার প্রয়োজন নাই।কারো কাছে আর প্রকাশ করবেন না।যতদ্রুত সম্ভব পারিবারিকভাবে বিয়ের ব্যবস্থা করুন।আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...