بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/8790/ নং ফাতওয়াতে উল্লখ করা হয়েছে য,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، - وَهَذَا لَفْظُهُ - أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ : غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم وَشَهِدْتُ مَعَهُ الْفَتْحَ، فَأَقَامَ بِمَكَّةَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ لَيْلَةً لَا يُصَلِّي إِلَا رَكْعَتَيْنِ وَيَقُولُ " يَا أَهْلَ الْبَلَدِ! صَلُّوا أَرْبَعًا فَإِنَّا قَوْمٌ سَفْرٌ "
‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি এবং মাক্কাহ বিজয়ের দিনেও তাঁর সাথে ছিলাম। তিনি মাক্কায় আঠার দিন অবস্থান করেন। এ সময় তিনি (ফারয) সলাত দু’ রাক্‘আত আদায় করেন এবং বলেনঃ হে শহরবাসী! তোমরা চার রাক‘আত সলাত আদায় করবে। কেননা আমরা মুসাফির সম্প্রদায় (তাই চার রাক‘আতের স্থলে দু’ রাকআত আদায় করেছি)। (আবু দাউদ ১২২৯, তিরমিযী (অধ্যায় : সলাত, অনুঃ সলাত ক্বাসর করা, হাঃ ৫৪৫), আহমাদ (৪/৪৩০), ইবনু খুযাইমাহ (হাঃ ১৬৪৩)
মুয়াত্তা মালিক গ্রন্থেও একই রকম হাদীস এসেছেঃ
وروى مالك في " الموطأ " (2/206) عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ : ( كَانَ إِذَا قَدِمَ مَكَّةَ صَلَّى بِهِمْ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ يَقُولُ : يَا أَهْلَ مَكَّةَ ! أَتِمُّوا صَلَاتَكُمْ فَإِنَّا قَوْمٌ سَفْرٌ )
আলোচ্য হাদীসে দলীল হলো যে, মুসাফির ব্যক্তি যখন মুক্বীমদের ইমাম হবে এবং চার রাক্‘আত বিশিষ্ট সলাতে দু’ রাক্‘আত পড়ে সালাম ফিরবে তখন মুক্বীমরা মাক্কাবাসীদের ন্যায় সলাত পূর্ণ করবে এবং এ ব্যাপারে ইজমা রয়েছে। আর সালাম ফেরার পর মুক্তাদীদের উদ্দেশে।
‘‘তোমরা সলাত পূর্ণ করো’’ এমন কথা বলা মুস্তাহাব। ইবনু ‘আবদুল বার (রহঃ) বলেন যে, মুসাফির যখন মুক্বীমদের সাথে সলাত আদায় করবে এবং দু’ রাক্‘আত শেষে সালাম ফিরবে তখন মুক্তাদীগণ সলাত পূর্ণ করবে, এ ব্যাপারে কোন ইখতিলাফ নেই।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছে,
وصح اقتداء المقیم بالمسافر في الوقت، وبعدہ فإذا قام المقیم إلی الإتمام لا یقرأ، ولا یسجد للسہو في الأصح؛ لأنہ کاللاحق، والقعدتان فرض علیہ، وقیل: لا․ (الدر مع الرد: ۲/۶۱۰-۶۱۱، ط: زکریا دیوبند)
সারমর্মঃ এক্ষেত্রে মুকিম মুক্তাদি যখন তার অবশিষ্ট নামাজ আদায়ের জন্য দাড়িয়ে যাবে, তখন সে কিরাআত পড়বেনা।
সে সেজদায়ে সাহুও আদায় করবেনা।
কেননা সে লাহেকের হুকুমে।
★সুতরাং যদি ইমাম মুসাফির থাকেন,এবং মুক্তাদিরা মুকিম থাকেন,তাহলে ইমাম সাহেব কসর করে সালাম ফিরিয়ে নেবেন।এবং মুকিম মুক্তাদিরা চার রা'কাত একা একা সমাপ্ত করবেন।তথা অবশিষ্ট দুই রা'কাতকে মুক্তাদিরা একা একা পড়ে নিবেন। এক্ষেত্রে সে কিরাআত পড়বেনা।
কারন সে এক্ষেত্রে লাহেক ব্যাক্তির মতো।
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনি ভাই / বোন!
যদি কোন মুকীম মুক্তাদী মুসাফির
ইমামের সাথে পুরো নামাযই ইক্তিদা করে তাহলে মুক্তাদীদের উক্ত নামাজ পুনরায় পড়তে হবে। কারণ, চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে মুসাফির ইমামের জন্য শেষ দুই রাকাত নফল ও প্রথম দুই রাকাত ফরজ। তাই মুকিম মুক্তাদীর জন্য তার ইক্তিদা করা সহীহ হয়নি। তাই তাদের নামায শুদ্ধ হয়নি। সুতরাং উক্ত নামায সবারই পুনরায় আবার আদায় করা আবশ্যক।
তবে দ্বিতীয় বৈঠকের পর যদি মুক্তাদীগণ ইমামের ইক্তিদা ছেড়ে দিয়ে নিজে নিজে বাকি নামায আদায় করে থাকে, তাহলে তাদের নামায শুদ্ধ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য যে, শুধু জহর, আসর ও এশার ফরজ ও বিতরের ওয়াজিব নামাজ কাযা আদায় করতে হবে। সুন্নাত বা নফল পুনরায় পড়তে হবে না।