জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত হান্নাদ [রহঃ] আম্মাজান আয়েশা [রাঃ]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে যাহা বুঝা যায়,তা হলো, আপনি ইস্তেহাজা চালাকালিন সময় গুলোতে উক্ত স্থান না ধুয়ে নাপাক কাপড়েই নামাজ পড়েছেন।
এক্ষেত্রে ইস্তেহাজার দিন গুলি ব্যাতিত অন্যায় দিন গুলোর নামাজের কাজার তো কোনো প্রয়োজন নেই।
,
আর ইস্তেহাজার দিন গুলোর ক্ষেত্রেঃ
যদি আপনার অবস্থা এমন ছিলো যে সেই ইস্তেহাজার দিন গুলোতে স্রাব অনবরত আসতে ছিলো,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে প্রতি ওয়াক্তের জন্য অযু করে থাকলে সেই নামাজ গুলি আদায় হয়ে গিয়েছে।
★উক্ত নামাজ গুলোর কাজা আদায় করতে হবেনা।
আর যদি সেই দিন গুলোতে ইস্তিহাজার স্রাব অনবরত না এসে থাকে,তাহলে নেপকিনে/পোশাকে নাপাকি লেগে থাকা অবস্থায় নামাজ আদায় করে থাকলে উল্লেখিত সেই নামাজ গুলোর আনুমানিক একটি হিসেবে কষে সেই নামাজ গুলির কাজা আদায় করবেন।