আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
158 views
in পবিত্রতা (Purity) by (12 points)
আলহামদুলিল্লাহ, আমি দশ বছর বয়স থেকে নামাজ পড়েছি। কিন্তু গত এক বছর আগে আমি সাদাস্রাবসংক্রান্ত মাসআলা জানতে পেরেছি। আমার এই সমস্যা নামাজ পড়া শুরু করার সময় হতে ছিল। তখন আমার মাকে জিজ্ঞেস করলেও উনি আমাকে ভুল তথ্য দেওয়ায় আমি সেসব বিষয় আমলে নেই নি।খুব কম সময় এই সমস্যা দেখা দেয় না।তাই আমি  পরোক্ষভাবে কাপড় পাক বা শরীর পাকের মতো ফরজ বিধান না মেনে সালাত আদায় করেছি।ফরজ ইলম অর্জনও করা  উচিত ছিল আমার,কিন্তু দ্বীনের বুঝ তখনো আসে নি।আমার বয়স ১৯ হওয়ার পর আমি এ বিষয়ক মাসআলা জেনে তার উপর আমল করছি।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


হাদীস শরীফে এসেছেঃ

হযরত হান্নাদ [রহঃ] আম্মাজান আয়েশা [রাঃ]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নের বিবরণ মতে যাহা বুঝা যায়,তা হলো, আপনি ইস্তেহাজা চালাকালিন সময় গুলোতে উক্ত স্থান না ধুয়ে নাপাক কাপড়েই নামাজ পড়েছেন।
  
এক্ষেত্রে ইস্তেহাজার দিন গুলি ব্যাতিত অন্যায় দিন গুলোর নামাজের কাজার তো কোনো প্রয়োজন নেই।
,
আর ইস্তেহাজার দিন গুলোর ক্ষেত্রেঃ
যদি আপনার অবস্থা এমন ছিলো যে সেই ইস্তেহাজার দিন গুলোতে স্রাব অনবরত আসতে ছিলো,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে প্রতি ওয়াক্তের জন্য অযু করে থাকলে সেই নামাজ গুলি আদায় হয়ে গিয়েছে।

★উক্ত নামাজ গুলোর কাজা আদায় করতে হবেনা।

আর যদি সেই দিন গুলোতে ইস্তিহাজার স্রাব অনবরত না এসে থাকে,তাহলে নেপকিনে/পোশাকে নাপাকি লেগে থাকা অবস্থায় নামাজ আদায় করে থাকলে উল্লেখিত সেই নামাজ গুলোর আনুমানিক একটি হিসেবে কষে সেই নামাজ গুলির  কাজা আদায় করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...