জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
কোন পুরুষের জন্য অন্য কোন বেগানা মহিলার পুরো শরীরটিই সতর। তবে কোন পুরুষের জন্য তার কোন মাহরাম (যাকে চিরতরে বিবাহ্ করা তার জন্য হারাম) মহিলার সতর ততটুকুই যতটুকু কোন মহিলার জন্য অন্য কোন মহিলার সতর।
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَا يَنْظُرُ الرَّجُلُ إِلَى عَوْرَةِ الرَّجُلِ، وَلَا الـْمَرْأَةُ إِلَى عَوْرَةِ الْمَرْأَةِ، وَلَا يُفْضِيْ الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ فِيْ ثَوْبٍ وَاحِدٍ، وَلَا تُفْضِيْ الـْمَرْأَةُ إِلَى الْمَرْأَةِ فِيْ الثَّوْبِ الْوَاحِدِ.
‘‘কোন পুরুষ অন্য কোন পুরুষের সতরের দিকে একেবারেই তাকাবে না এবং কোন মহিলা অন্য কোন মহিলার সতরের দিকে একেবারেই তাকাবে না। তেমনিভাবে কোন পুরুষ অন্য কোন পুরুষের সাথে একই কাপড়ের নিচে অবস্থান করবে না এবং কোন মহিলা অন্য কোন মহিলার সাথে একই কাপড়ের নিচে অবস্থান করবে না’’। (মুসলিম ৩৩৮)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মহিলাদের জন্য মাহরাম পুরুষদের সামনে সতর হল, সতর হল, মাথা, চুল, গর্দান, কান, হাত, পা, টাখনু, চেহারা, গর্দান সংশ্লিষ্ট সিনার উপরের অংশ ছাড়া বাকি পূর্ণ শরীর সতর।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
(وَمِنْ مَحْرَمِهِ) هِيَ مَنْ لَا يَحِلُّ لَهُ نِكَاحُهَا أَبَدًا بِنَسَبٍ أَوْ سَبَبٍ وَلَوْ بِزِنًا (إلَى الرَّأْسِ وَالْوَجْهِ وَالصَّدْرِ وَالسَّاقِ وَالْعَضُدِ إنْ أَمِنَ شَهْوَتَهُ) (رد المحتار، كتاب الحظر والاباحة، فصل فى النظر والمس-9/527-528)
যার সারমর্ম হলো যদি ফিতনার আশংকা না থাকে,তাহলে মাহরামদের সামনে উক্ত অঙ্গ গুলো খোলা রাখা জায়েজ আছে, কোনো সমস্যা নেই।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
★পায়ের পাতা ও পা এর সংযোগ গীরে বলে যেটাকে, ঐটাকে টাখনু বলে।
(০২)
★ফিকাহ শাস্ত্রঃ
ফিকাহ্ একটি আরবী শব্দ এর অভিধানিক অর্থ হলো জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও উপলদ্ধি।
শরীআতের পরিভাষায় যে শাস্ত্র দ্বারা বিশদ প্রমাণাদি যোগে শরীআতের মৌল আহকাম ও বিধান জানা যায় তাকে ইলমুল ফিকাহ্ বলে।
★‘মাওলানা’ বা ‘মওলানা’ শব্দটি আরবি।
এটি ‘মাওলা’ ও ‘না’ দুটি শব্দে ঘটিত। ‘না’ একটি সর্বনাম। এর অর্থ আমরা বা আমাদের। আর ‘মাওলা’ শব্দের প্রায় ৩০টি অর্থ আছে। যেমন—প্রভু, বন্ধু, সাহায্যকারী, মনিব, দাস, চাচাতো ভাই, প্রতিনিধি, অভিভাবক, নিকটবর্তী, আত্মীয়, নেতা, গুরু, প্রতিপালক, সর্দার, প্রেমিক, প্রতিবেশী, আনুগত্য, প্রার্থনা, নীরবতা, ইবাদত, দণ্ডায়মান ইত্যাদি। (সূত্র : বাদায়িউল ফাওয়ায়িদ : ৪/৯৭৮, ফাতাওয়ায়ে আশরাফিয়া, পৃষ্ঠা ৭০, উমদাতুর রিআয়াহ : ২/৩২৮, লিছানুল আরব : ৮/৪৫২, আল-মিসবাহুল মুনির, পৃষ্ঠা ৫৯১)
উর্দু ভাষায় ‘মাওলানা’ শব্দটি উস্তাদ ও আলেমে দ্বিন অর্থেও ব্যবহূত হয়। (সূত্র : আল-হাদিয়্যাতুল মারযিয়্যা, পৃষ্ঠা ১১৭, ফিরুজুল লুগাত, পৃষ্ঠা ৬৬৪)
আল্লাহর ক্ষেত্রে ‘মাওলানা’ অর্থ হলো আমাদের প্রভু বা প্রকৃত অভিভাবক আর আলেমদের ক্ষেত্রে তার অর্থ হচ্ছে আমাদের ধর্মীয় অভিভাবক। (সূত্র : কিতাবুল ফাতাওয়া : ১/২২৮, আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ২/৬৩৮)
★আল্লামা।
আরবি ইলম (علم) শব্দের অর্থ জ্ঞান। এখান থেকে এসেছে আলিম (عالم) বা জ্ঞানী। আলিম শব্দের মুবালাগা বা সুপারলেটিভ ডিগ্রি হচ্ছে আল্লামা(علامة); যার অর্থ অত্যন্ত জ্ঞানী বা মহাজ্ঞানী।
★হযরত শব্দের হল, মাননীয়, মহামান্য, সম্মানিত। আমরা বাংলায় জনাব বলতে যা বুঝাই হযরত অর্থও তা’ই।
প্রসিদ্ধ উর্দু অভিধান “ফিরুজুল লুগাত”এ “হযরত”শব্দের অর্থ করা হয়েছে উক্ত শব্দগুলো দিয়ে। সেখানে আরেকটি বিষয়ও লেখা হয়েছে, সেটি হল এটি সম্মানসূচক একটি শব্দ। {ফিরুজুল লুগাত-৩০৪}
এ উপমহাদেশে সম্মান বুঝাতে হযরত শব্দ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি কোন ব্যক্তি বিশেষ বা কোন ডিগ্রির সাথে খাস কোন শব্দ নয়। তাই যেকোন সম্মানিত ব্যক্তির ক্ষেত্রেই তা ব্যবহার করা যাবে। এতে কোন সমস্যা নেই।
(কিছু তথ্য সংগৃহীত।)