আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
413 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (-1 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,

শাইখ আলবানী রহ. কে আমরা মুহাদ্দিস, মুহাক্কিক হিসেবেই চিনি। কিন্তু ফিক্বহের ক্ষেত্রে শাইখের অবদান কতটুকু? শাইখ রহ. কি ফক্বীহ ছিলেন?

শাইখ আবু কাতাদা আল ফিলিস্তিনীর হাফি. একটা প্রবন্ধে দেখেছিলাম উনি শাইখ আলবানী কে ইরজাগ্রস্থ বলেছেন (তবে মুরজিয়া বলেন নি)। এব্যাপারে আপনাদের অবস্থান কি?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
 بسم الله الرحمن الرحيم 

মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী রহঃ
Muhammad Naasiruddeen al-Albani
محمد ناصر الدين الألباني

জন্মঃ
১৯১৪
এশকোদরাহ, আলবেনিয়া

মৃত্যু ২ অক্টোবর, ১৯৯৯ (৮৫ বছর বয়স)
আম্মান, জর্ডান

শায়েখ নাসীরুদ্দীন আলবানী রাহিমাহুল্লাহ (১৩৩২ হি./১৯১৪ ঈ.-১৪২০ হি./ ১৯৯৯ ঈ.) ছিলেন বিগত শতাব্দির আরব বিশ্বের প্রসিদ্ধ আলেম। জীবনের শুরুতেই তার বংশের লোকেরা আলবানিয়া থেকে হিজরত করে শামের দামেশক শহরে এসে বসবাস শুরু করেন। সেখানেই তাঁর ইলমী ব্যক্তিত্ব গঠিত হয় অনেকটা ব্যক্তিগত পড়াশোনার ভিত্তিতে। তার বিশেষ শাস্ত্র ছিল ‘ইলমে হাদীস’। যৌবনের প্রারম্ভেই এ শাস্ত্রের সাথে তার সম্পর্ক হয় এবং মৃত্যুবধি এতেই নিমগ্ন থাকেন। 

উলামায়ে কেরামদের মত হলো  ফিকহ তার ‘বিষয়’ ছিল না এবং হাদীস শাস্ত্রের মতো ফিকহ শাস্ত্রের জন্য একান্ত নিমগ্নতার সুযোগ তার হয়নি। মূলত তিনি পূর্ববর্তীদের কিছু বিচ্ছিন্ন মতামতকে একসূত্রে গেঁথে তার উপর নিজের ফিকহী ‘মানহাজে’র ভিত্তি স্থাপনে প্রয়াসী হয়েছিলেন।

★তবে অন্যান্য আরো  ইসলামী স্কলারদের মতে তিনি ফকিহ ছিলেন।
সুতরাং এটি একটি মতবিরোধপূর্ণ বিষয়।     

★মুরজিয়ারা বলে, ঈমানের সাথে আমলের কোনো সম্পর্ক নেই। ঈমান থেকে আমল বা কর্ম সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ও পৃথক। ঈমানের জন্য শুধু অন্তরের ভক্তি বা বিশ্বাসই যথেষ্ট। ইসলামের কোনো বিধিবিধান পালন না করেও একব্যক্তি ঈমানের পূর্ণতার শিখরে আরোহণ করতে পারে। আর এরূপ ঈমানদার ব্যক্তির কবীরা গোনাহ তার কোনো ক্ষতি করে না। যত গোনাহই করুক না কেন সে জান্নাতী। 

শায়খ আলবানি রহঃ বলতেন ঈমান হল কথা এবং কাজ।
মৌখিক স্বীকৃতি ও অন্তরের বিশ্বাস ঈমানের অস্তিত্বের শর্ত,ঈমান ছহীহ হওয়ার শর্ত।
,
তিনি এটার ব্যাখ্যা অন্যরকম করেছিলেন। তাই কিছু উলামায়ে কেরামদের মত হলো এভাবে তিনি ইরজার কিছু শাখাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
,
আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআত একমত যে, আমল (কর্ম) ঈমানের (বিশ্বাসের) অবিভাজ্য অংশ নয় এবং শুধু কবীরা গোনাহে লিপ্ত হওয়ার কারণে মুমিন কাফির বলে গণ্য হন না। তাহলে ঈমান ও আমলের সাথে সম্পর্ক কী? মূলধারার মুহাদ্দিসগণের মতে আমল ঈমানের অংশ, তবে অবিভাজ্য অংশ নয়, বিভাজ্য অংশ। আমল বা কর্মের ত্রুটিতে ঈমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে বিনষ্ট হয় না। কর্মের বৃদ্ধি ও পূর্ণতায় ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং পাপের কারণে ঈমান হ্রাস পায়। তবে কোনোভাবেই কোনো কবীরা গোনাহের কারণেই মুমিন কাফির হন না।
,
★তবে অনেক উলামায়ে কেরামদের মত হলো আলবানী রহঃ এর ব্যখ্যা ঠিকই ছিলো,তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...