আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
145 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
edited by
১)ধরুন পরিক্ষায় নকল করে পাশ করে নতুন ক্লাসে উঠে গেছি।

এখন তাওবা করব।

ভবিষ্যতে আর করব না এটা মনস্থির করলাম।গুনাহ স্বীকার করলাম।

আল্লাহর কাছে মাফ চাইলাম।কিন্তু
যেহেতু গুনাহর দ্বারা পাশ করছি,তাই সেভাবে অনুতপ্ত ফিল হচ্ছে না।

তাওবা কবুল হবে বলে আশা করা যায়??
নতুন ক্লাসে পরা যাবে নাকি আবার আগের ক্লাসে যাওয়া লাগবে??

মানে গুনাহ স্বীকার করে,আর কোন দিন করব না ওয়াদা করে,মাফ চাইছি।

কিন্তু মন খারাপ,বা লজ্জা, এগুলা অনুতাপ এগুলা হচছে না গুনাহ  থেকে দুনিয়াবি ফায়দা পাওয়ার কারনে।

তাওবা কবুল হবে বলে আশা করা যায়??
ক্লাস ৮ এ পরব নাকি ৭ এই পরব??

২)ধরুন, সাদমার মনে হইল,আল্লাহ যদি কখনো এমন অবস্থায় ফেলে যে যদি সাদমা তার মা কে হত্যা না করে,তবে সাদমা র শিরক হবে।

তখন সাদমার মনে হইল সে তার মা কে হত্যা করতে পারবে না।

এখন কি সাদমা মুশরিক হিসেবে গন্য হবে??

৩)সেদিন মনে হইল,যদি এমন ব্যাবস্থা থাকত যে নিজের পছন্দের কোন মানুষ কে গালি দিয়ে অসন্তুষ্ট করলে জজীবন এর সকল শিরক নিশ্চিত ভাবে মাফ হয়ে যাবে,তবে কত ভাল হইত।

সব শিরক মাফ করা যাইত।

পরে মনে হইল, না। পছন্দের মানুষকে অসন্তুষ্ট না করে তাওবা করার যে উপায় আল্লাহ দিছেন,সেটা ই ভালো। এতে পছন্দের মানুষকে অসন্তুষ্ট করা লাগে না।

এতে কি শিরক হয়??


৪)ধরুন,এমন একটা অবস্থায় পরলাম যে ভিডিও দেখলেও শিরক হওয়ার সম্ভাবনা আছে, না দেখলেও শিরক হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তখন আমার মনে হইল,যদি আম্মু কে বা নিজের পছন্দের কোন মানুষকে কুরবানি করার মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে বের হতে পারতাম তবে কেমন হত?

তখন মনে হইল না।নিজের পছন্দের কাউকে হারাতে চাই না।এটা কষ্টকর।শিরকের সম্ভাবনা অন্যভাবে দুর করার চেষ্টা করি


এতে কি শিরক হয়??

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا [٤:١٧] وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا [٤:١٨

অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন,যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে,অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,রহস্যবিদ। আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে,এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়,তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। {সূরা নিসা-১৭-১৮}

عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ»

হযরত ইবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, গোনাহ থেকে তওবাকারী গোনাহ করে নাই ব্যক্তির মত হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০] 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
খাঁটিভাবে তাওবা করলে আল্লাহ্ তাআলা অতীতের ছোট বড় সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। তবে বান্দার কোন হক নষ্ট করে থাকলে তাওবার পাশাপাশি তাকে তার হক তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া জরুরী।

 তওবা তিনটি জিনিসের সমন্বয়-
(বান্দার হক থাকলে আগে সেটি আদায় করে আসতে হবে,বা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে আসতে হবে।)

এক. পূর্বের গোনাহের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া। আর অপরের হক নষ্ট করলে তা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া।

দুই. ভবিষ্যতে গোনাহ না করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করা।

তিন. আল্লাহ্ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত শর্তগুলি মেনে তওবা করলে আপনার তওবা কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ। 
,  
আরো জানুনঃ 
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নতুন ক্লাসে পরা যাবে।
আবার আগের ক্লাসে যাওয়া লাগবেনা।
তওবা কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ।   

(০২)
এতে সাদমা মুশরিক হিসেবে গন্য হবেনা।

(০৩)
এতে শিরক হয়না।

(০৪)
এতেও শিরক হয়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...