১)ধরুন পরিক্ষায় নকল করে পাশ করে নতুন ক্লাসে উঠে গেছি।
এখন তাওবা করব।
ভবিষ্যতে আর করব না এটা মনস্থির করলাম।গুনাহ স্বীকার করলাম।
আল্লাহর কাছে মাফ চাইলাম।কিন্তু
যেহেতু গুনাহর দ্বারা পাশ করছি,তাই সেভাবে অনুতপ্ত ফিল হচ্ছে না।
তাওবা কবুল হবে বলে আশা করা যায়??
নতুন ক্লাসে পরা যাবে নাকি আবার আগের ক্লাসে যাওয়া লাগবে??
মানে গুনাহ স্বীকার করে,আর কোন দিন করব না ওয়াদা করে,মাফ চাইছি।
কিন্তু মন খারাপ,বা লজ্জা, এগুলা অনুতাপ এগুলা হচছে না গুনাহ থেকে দুনিয়াবি ফায়দা পাওয়ার কারনে।
তাওবা কবুল হবে বলে আশা করা যায়??
ক্লাস ৮ এ পরব নাকি ৭ এই পরব??
২)ধরুন, সাদমার মনে হইল,আল্লাহ যদি কখনো এমন অবস্থায় ফেলে যে যদি সাদমা তার মা কে হত্যা না করে,তবে সাদমা র শিরক হবে।
তখন সাদমার মনে হইল সে তার মা কে হত্যা করতে পারবে না।
এখন কি সাদমা মুশরিক হিসেবে গন্য হবে??
৩)সেদিন মনে হইল,যদি এমন ব্যাবস্থা থাকত যে নিজের পছন্দের কোন মানুষ কে গালি দিয়ে অসন্তুষ্ট করলে জজীবন এর সকল শিরক নিশ্চিত ভাবে মাফ হয়ে যাবে,তবে কত ভাল হইত।
সব শিরক মাফ করা যাইত।
পরে মনে হইল, না। পছন্দের মানুষকে অসন্তুষ্ট না করে তাওবা করার যে উপায় আল্লাহ দিছেন,সেটা ই ভালো। এতে পছন্দের মানুষকে অসন্তুষ্ট করা লাগে না।
এতে কি শিরক হয়??
৪)ধরুন,এমন একটা অবস্থায় পরলাম যে ভিডিও দেখলেও শিরক হওয়ার সম্ভাবনা আছে, না দেখলেও শিরক হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তখন আমার মনে হইল,যদি আম্মু কে বা নিজের পছন্দের কোন মানুষকে কুরবানি করার মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে বের হতে পারতাম তবে কেমন হত?
তখন মনে হইল না।নিজের পছন্দের কাউকে হারাতে চাই না।এটা কষ্টকর।শিরকের সম্ভাবনা অন্যভাবে দুর করার চেষ্টা করি
এতে কি শিরক হয়??