আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (27 points)
edited by
১.হুজুর রিয়া কি ছোট শিরক? রিয়া কখন শিরকে আকবরে পরিনত হয়?

২.হুজুর সাধারণত আমি তারাবির নামাজ ৮,১২,১৪ রাকাত এই রকম পড়ি, আমার বাড়িতে মেহমান আসার কারনে মেহমানের সাথে মসজিদে নামাজ পরতে যাই, আমার আত্মীয় ২০রাকাত তারাবি পরে, হুজুর মসজিদ আমার বাড়ি থেকে একটু দুরে,তাই আত্মীয়  নামাজ শেষ করে   একা কিভাবে আসবে বা একসাথে আসব বলে   অই দিন আমি ও নামাজ শেষ করে  আসি। এখেত্রে আমার কি রিয়া হয়েছে? রিয়া থেকে কি শিরকে আকবর হয়েছে?এর কারনে কি ঈমান ভংগ হবে ?

৩.হুজুর আমি সাধারণত ফজরের নামাজ বাড়িতে পড়ি,কিন্তু মেহমান আসার কারনে,মেহমান যেহেতু মসজিদে ফজরের নামাজ পরে, তাই আমি ভাবছি যদি আমার কারনে মেহমান যদি ফজরের নামাজ বাড়িতে পরে তাহলে তো আমার গুনাহ হবে, এজন্য আমি ফজরের নামাজ মসজিদে পড়েছি। এখেত্রে আমার কি রিয়া হয়েছে? রিয়া থেকে কি শিরকে আকবর হয়েছে? এর কারনে কি ঈমান ভংগ হবে?

 
৪.হুজুর আল্লাহ ছাড়া কারো শরিরের কোন অংগ ছুয়ে  মিথ্যা  কসম খেলে কি শিরকে আকবর হবে?এখত্রে কি কাফফারা দিতে হবে?

৫.এখেত্রে ব্যাক্তি যদি কসম খেতে জোরাজুরি করে তাহলেও কি একি হুকুম প্রযোজ্য হবে?

৬.হুজুর আমি ঈমান ভংগের কারন সমন্ধে জানতাম না, কিন্তু জানার পর বিভিন্ন কথা মনে পরছে, এখত্রে পরিত্রানের উপায় কি?

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
যদি শুধুমাত্র লোক দেখানো ইবাদত হয়,তাহলে এমন রিয়া ছোট শিরক।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمًا إِلَى مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَجَدَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَاعِدًا عِنْدَ قَبْرِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبْكِي فَقَالَ مَا يُبْكِيكَ قَالَ يُبْكِينِي شَىْءٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّ يَسِيرَ الرِّيَاءِ شِرْكٌ وَإِنَّ مَنْ عَادَى لِلَّهِ وَلِيًّا فَقَدْ بَارَزَ اللَّهَ بِالْمُحَارَبَةِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الأَبْرَارَ الأَتْقِيَاءَ الأَخْفِيَاءَ الَّذِينَ إِذَا غَابُوا لَمْ يُفْتَقَدُوا وَإِنْ حَضَرُوا لَمْ يُدْعَوْا وَلَمْ يُعْرَفُوا قُلُوبُهُمْ مَصَابِيحُ الْهُدَى يَخْرُجُونَ مِنْ كُلِّ غَبْرَاءَ مُظْلِمَةٍ " .

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক দিন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মসজিদে গিয়ে মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কবরের পাশে উপবিষ্ট অবস্থায় কান্নারত দেখতে পান। তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি কাঁদছো কেন? তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শ্রুত কিছু বিষয় আমাকে কাঁদাচ্ছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ সামান্যতম কপটতাও শিরক। যে ব্যক্তি আল্লাহর কোন বন্ধুর (ওলী) সাথে শত্রুতা করলো, সে যেন আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলো। নিশ্চয় আল্লাহ ভালোবাসেন সৎকর্মপরায়ণ আল্লাহভীরু আত্মগোপনকারী বান্দাদের, যারা দৃষ্টির অন্তরাল হলে কেউ তাদের খোঁজ করে না, সামনে উপস্থিত থাকলে কেউ তাদের আপ্যায়ন করে না এবং তাদের পরিচয়ও নেয় না। তাদের অন্তরসমূহ হেদায়াতের আলোকবর্তিকা। তারা সব ধরনের অন্ধকারাচ্ছন্ন কদর্যতা থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাবে।
(ইবনে মাজাহ ৩৯৮৯)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

রিয়া কখন শিরকে আকবার হয়,ইসলামী স্কলারগন এর জবাবে বলেছেনঃ 

رياء المنافقين؛ الذي يبطن الشرك ويظهر الإسلام، هذا الشرك الأكبر، رياء المنافقين؛ باطنهم الكفر وظاهرهم الإسلام، هؤلاء في الدرك الأسفل من النار،
সারমর্মঃ  
এটি মুনাফিকদের ইবাদত।
যারা শিরক গোপন রাখে,আর ইসলাম প্রকাশ করে,এটা শিরকে আকবার।  

(০২)
এখানে তো আল্লাহর সন্তুষ্টিও উদ্দেশ্য ছিলো তাই এটি রিয়া হবেনা।  
এতে শিরক হয়নি।
ঈমান ভেঙ্গের যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা।  

(০৩)
এখানেও তো আল্লাহর সন্তুষ্টিও উদ্দেশ্য ছিলো তাই এটি রিয়া হবেনা।  
এতে শিরক হয়নি।
ঈমান ভেঙ্গে যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা।  

(০৪)
এতে কাফফারা দিতে হবেনা।
শিরকে আকবার হবেনা।

(০৫)
একই হুকুম।

(০৬)
আগের যাবতীয় কাজ,চিন্তাভাবনা হতে তওবা করে সঠিক ভাবে চলতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...